০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গাজীপুরে যুগান্তর স্বজন সাংগঠনিকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলায় মানববন্ধন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৯৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রবিউল আলম, গাজীপুর :

গাজীপুরে দৈনিক যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেদ সরকার রাকিবের নামে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্বজনরা। রোববার সকাল ১০ টায় যুগান্তর স্বজন সমাবেশের পূবাইল শাখা অফিসের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়দের সাথে এতে অংশগ্রহণ করেন বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরাও।

জানা যায়, পূবাইলের মিরের বাজার চৌরাস্তায় ২০১৩ সালে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে এলোপাতাড়ি গুলিতে কয়েকজন গুরুতর আহতের ঘটনায় চলতি মাসের ৩ নভেম্বর পূবাইল থানায় একটি মামলা হয়।অভিযোগ উঠেছে ওই মামলায় সংশ্লিষ্ট অনেককেই বাদ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে নিরপরাধ অনেকের নাম এসেছে। যাদের রাজনৈতিক কোন পরিচয় নেই। এমনকি ওই ঘটনার সময় এলাকায় ছিলেন না এদেরকেও আসামি করা হয়েছে। এমন ঘটনার বলি হয়েছেন স্বজনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেদ সরকার।তার নাম মামলায় তালিকাভুক্ত করেছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

এ বিষয়ে মামলার বাদি পূবাইল থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন জানান নামের তালিকা আমি দেইনি।আমি সাহেদ সরকারকে চিনিনা। পূবাইল থানা ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নাম দিয়েছে।আমি শুধু বাদি হয়েছি।

পূবাইল থানা বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন বকুল বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। নিরপরাধ সাহেদ হয়রানি হবেনা।

মানব বন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, পূবাইল যুগান্তর স্বজন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে সারাদেশব্যপী দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে আসছে সংগঠনটি। মানুষের মনে একটি আস্থার যায়গা হিসেবে পরিনত হয়েছে অরাজনৈতিক এ সংগঠনটি।তারই অংশ হিসেবে ১১ বছর ধরে দেশের এবং মানুষের দূ:সময়ে কাজ করে যাচ্ছে পূবাইলের স্বজনরা। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ আগষ্ট পূবাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি করেন এতে বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী স্বজনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেদ সরকার রাকিব সংহতি জানায়। শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেয়ায় এর পর থেকে টাকাসহ বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে স্বজন সদস্যকে।সকল ভাবে ব্যর্থ হয়ে এতদিন লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করা প্রধান শিক্ষিক তার পদ বহাল রাখতে কৌশলে আশ্রয় নেয় বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর কাছে। এর পর পূবাইল থানার কয়েকজন শীর্ষ নেতা স্বজন সদস্য কে ফোন করে স্কুলের বিষয় থেকে সড়ে যেতে বলেন এতে রাজি না হওয়ার তার প্রতি ক্ষিপ্ত হন তারা। ফলে ৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামিলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে বিএনপির পক্ষ থেকে পূবাইলের বিন্দান এলাকার আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে পূবাইল থানায় রাজনৈতিক মামলা দায়ের করেন এতে ৫১ নাম্বার আসামী করেন স্বজন সদস্য সাহেদ সরকার রাকিব কে।যিনি একজন চাকরিজীবী ও সমাজ সেবক যে কিনা কখনোই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলনা।

পূবাইল স্বজনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বার্থান্বেষীরা চায় সত্যকে দমিয়ে রাখতে দৈনিক যুগান্তর কখনো অন্যায় অনিয়ম কে প্রশ্রয় দেয়নি, যুগান্তর পরিবার হিসেবে আমরাও কোনো অন্যায় কে প্রশ্রয় দিতে পারিনা।আমরা এই হয়রানি মূলক মিথ্যে মামলার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করে মামলায় স্বজন সদস্যের নাম জড়ানোদের বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

যুগান্তর স্বজন সমাবেশের মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, স্বজন সভাপতি মামুন মিয়া, প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস বেপারি,কামাল হোসেন, সহেদ সরকার,কামরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, হাসান, লিওয়ন সরকার প্রমূখ।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পূবাইল থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, সাহেদ সরকারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তার নাম তদন্ত করে বাদ দেয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

গাজীপুরে যুগান্তর স্বজন সাংগঠনিকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলায় মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৫:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রবিউল আলম, গাজীপুর :

গাজীপুরে দৈনিক যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেদ সরকার রাকিবের নামে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্বজনরা। রোববার সকাল ১০ টায় যুগান্তর স্বজন সমাবেশের পূবাইল শাখা অফিসের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়দের সাথে এতে অংশগ্রহণ করেন বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরাও।

জানা যায়, পূবাইলের মিরের বাজার চৌরাস্তায় ২০১৩ সালে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে এলোপাতাড়ি গুলিতে কয়েকজন গুরুতর আহতের ঘটনায় চলতি মাসের ৩ নভেম্বর পূবাইল থানায় একটি মামলা হয়।অভিযোগ উঠেছে ওই মামলায় সংশ্লিষ্ট অনেককেই বাদ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে নিরপরাধ অনেকের নাম এসেছে। যাদের রাজনৈতিক কোন পরিচয় নেই। এমনকি ওই ঘটনার সময় এলাকায় ছিলেন না এদেরকেও আসামি করা হয়েছে। এমন ঘটনার বলি হয়েছেন স্বজনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেদ সরকার।তার নাম মামলায় তালিকাভুক্ত করেছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

এ বিষয়ে মামলার বাদি পূবাইল থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন জানান নামের তালিকা আমি দেইনি।আমি সাহেদ সরকারকে চিনিনা। পূবাইল থানা ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নাম দিয়েছে।আমি শুধু বাদি হয়েছি।

পূবাইল থানা বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন বকুল বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। নিরপরাধ সাহেদ হয়রানি হবেনা।

মানব বন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, পূবাইল যুগান্তর স্বজন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে সারাদেশব্যপী দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে আসছে সংগঠনটি। মানুষের মনে একটি আস্থার যায়গা হিসেবে পরিনত হয়েছে অরাজনৈতিক এ সংগঠনটি।তারই অংশ হিসেবে ১১ বছর ধরে দেশের এবং মানুষের দূ:সময়ে কাজ করে যাচ্ছে পূবাইলের স্বজনরা। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ আগষ্ট পূবাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি করেন এতে বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী স্বজনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেদ সরকার রাকিব সংহতি জানায়। শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেয়ায় এর পর থেকে টাকাসহ বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে স্বজন সদস্যকে।সকল ভাবে ব্যর্থ হয়ে এতদিন লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করা প্রধান শিক্ষিক তার পদ বহাল রাখতে কৌশলে আশ্রয় নেয় বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর কাছে। এর পর পূবাইল থানার কয়েকজন শীর্ষ নেতা স্বজন সদস্য কে ফোন করে স্কুলের বিষয় থেকে সড়ে যেতে বলেন এতে রাজি না হওয়ার তার প্রতি ক্ষিপ্ত হন তারা। ফলে ৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামিলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে বিএনপির পক্ষ থেকে পূবাইলের বিন্দান এলাকার আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে পূবাইল থানায় রাজনৈতিক মামলা দায়ের করেন এতে ৫১ নাম্বার আসামী করেন স্বজন সদস্য সাহেদ সরকার রাকিব কে।যিনি একজন চাকরিজীবী ও সমাজ সেবক যে কিনা কখনোই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলনা।

পূবাইল স্বজনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বার্থান্বেষীরা চায় সত্যকে দমিয়ে রাখতে দৈনিক যুগান্তর কখনো অন্যায় অনিয়ম কে প্রশ্রয় দেয়নি, যুগান্তর পরিবার হিসেবে আমরাও কোনো অন্যায় কে প্রশ্রয় দিতে পারিনা।আমরা এই হয়রানি মূলক মিথ্যে মামলার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করে মামলায় স্বজন সদস্যের নাম জড়ানোদের বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

যুগান্তর স্বজন সমাবেশের মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, স্বজন সভাপতি মামুন মিয়া, প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস বেপারি,কামাল হোসেন, সহেদ সরকার,কামরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, হাসান, লিওয়ন সরকার প্রমূখ।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পূবাইল থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, সাহেদ সরকারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তার নাম তদন্ত করে বাদ দেয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন