০২:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

আমিরের প্রতারণার শিকার হয়ে বহু প্রবাসী যুবক নিঃস্ব

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৩০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২৬
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের সাকছি পাড়া গ্রামের আমির হোসেনের আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়ে সৌদি আরবে বহু প্রবাসী যুবক নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এমনকি ছুটিতে বাংলাদেশেও আসতে পারছেন না অনেকে। বাঙালী প্রবাসীদের সাথে তার আর্থিক প্রতারণা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সৌদি আরব থেকে একাধিক প্রবাসী এ তথ্য জানিয়েছেন।
মতলব উত্তর উপজেলার রায়পুর ইসলামাবাদ গ্রামের মামুন নামে এক বাংলাদেশী প্রবাসী মুঠোফোনে বলেন, আমি সৌদি আরবের রিয়াদে থাকি। আমির হোসেন আমার সাথে কয়েকদিন কাজ করেছিল। সেই থেকে তার সাথে সম্পর্ক হয়। পরে আমাকে বলে আমার ইকামা দিয়ে মার্কেট থেকে ১০ হাজার রিয়্যাল, বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল বাকীতে ক্রয় করেছে। পরবর্তীতে অনেকবার টাকা পরিশোধের কথা বললে সে পাত্তা দেয় নি। হঠাৎ একদিন এই জায়গা থেকে পালিয়ে অন্য এলাকায় চলে গেছে। পরে গত নভেম্বর মাসে বাড়িতে আসার জন্য ছুটি নিয়েছিলাম, টিকিট কিনতে গিয়ে জানতে পারি আমার নামে মামলা হয়েছে টাকা পরিশোধ না করায়। তাকে মোবাইল নাম্বরে (+৯৬৬৫৪৩৮৭৫২৬৭) কল দিলে পাওয়া যাচ্ছে না। আমার নাম্বার ইমুতে ব্লক করে রেখেছে। আমি এখন মামলার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বাড়িতে আসতে পারছি না।
এদিকে আঃ মতিন নামে আরেক যুবক সৌদি আরবের রিয়াদে থাকেন। তিনি জানান, তার কাছ থেকে ৫ হাজার রিয়্যাল বাংলাদেশী টাকায় প্রায় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে প্রতারক আমির হোসেন। তিনি প্রথমে একজনের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে, তারপর টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করে থাকেন। আবার না বলে কারো কারো ইমাকা নিয়ে ওই ইকামা দিয়ে বিভিন্ন মার্কেট বা শোরুম থেকে বাকীতে মালামাল ক্রয় করে থাকে। এ ধরণের জালিয়াতি করেই ওই দেশে একাধিক ব্যক্তির কাছে ধরা খেয়ে বর্তমানে সৌদিতে পলাতক রয়েছে আমির হোসেন। তার পাসপোর্ট নম্বর বিএইচ০৮৩০৯৫৬।
আমির হোসেনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে এবং সকলে পাওনা টাকা ফেরৎ পেতে বাংলাদেশী দূতাবাসের সহযোগীতা কামনা করেছেন প্রবাসীরা। তার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে বাড়িতে থাকতেও মানুষের সাথে প্রতারণা করে বেড়াতো। তার পিতা ইব্রাহিম ও মাতা জীবিত নেই। বাড়িতে থাকেন স্ত্রী সন্তান। প্রবাসে গিয়েও সে কাজ না করে প্রতারণা করে দিন পার করছে। তার প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া প্রবাসী যুবকরা। বাংলাদেশ থেকে তার মুঠোফোনে (+৯৬৬৫৪৩৮৭৫২৬৭) কল করলেও পাওয়া যায় নি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

আমিরের প্রতারণার শিকার হয়ে বহু প্রবাসী যুবক নিঃস্ব

আপডেট সময় : ০৭:৩০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের সাকছি পাড়া গ্রামের আমির হোসেনের আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়ে সৌদি আরবে বহু প্রবাসী যুবক নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এমনকি ছুটিতে বাংলাদেশেও আসতে পারছেন না অনেকে। বাঙালী প্রবাসীদের সাথে তার আর্থিক প্রতারণা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সৌদি আরব থেকে একাধিক প্রবাসী এ তথ্য জানিয়েছেন।
মতলব উত্তর উপজেলার রায়পুর ইসলামাবাদ গ্রামের মামুন নামে এক বাংলাদেশী প্রবাসী মুঠোফোনে বলেন, আমি সৌদি আরবের রিয়াদে থাকি। আমির হোসেন আমার সাথে কয়েকদিন কাজ করেছিল। সেই থেকে তার সাথে সম্পর্ক হয়। পরে আমাকে বলে আমার ইকামা দিয়ে মার্কেট থেকে ১০ হাজার রিয়্যাল, বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল বাকীতে ক্রয় করেছে। পরবর্তীতে অনেকবার টাকা পরিশোধের কথা বললে সে পাত্তা দেয় নি। হঠাৎ একদিন এই জায়গা থেকে পালিয়ে অন্য এলাকায় চলে গেছে। পরে গত নভেম্বর মাসে বাড়িতে আসার জন্য ছুটি নিয়েছিলাম, টিকিট কিনতে গিয়ে জানতে পারি আমার নামে মামলা হয়েছে টাকা পরিশোধ না করায়। তাকে মোবাইল নাম্বরে (+৯৬৬৫৪৩৮৭৫২৬৭) কল দিলে পাওয়া যাচ্ছে না। আমার নাম্বার ইমুতে ব্লক করে রেখেছে। আমি এখন মামলার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বাড়িতে আসতে পারছি না।
এদিকে আঃ মতিন নামে আরেক যুবক সৌদি আরবের রিয়াদে থাকেন। তিনি জানান, তার কাছ থেকে ৫ হাজার রিয়্যাল বাংলাদেশী টাকায় প্রায় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে প্রতারক আমির হোসেন। তিনি প্রথমে একজনের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে, তারপর টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করে থাকেন। আবার না বলে কারো কারো ইমাকা নিয়ে ওই ইকামা দিয়ে বিভিন্ন মার্কেট বা শোরুম থেকে বাকীতে মালামাল ক্রয় করে থাকে। এ ধরণের জালিয়াতি করেই ওই দেশে একাধিক ব্যক্তির কাছে ধরা খেয়ে বর্তমানে সৌদিতে পলাতক রয়েছে আমির হোসেন। তার পাসপোর্ট নম্বর বিএইচ০৮৩০৯৫৬।
আমির হোসেনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে এবং সকলে পাওনা টাকা ফেরৎ পেতে বাংলাদেশী দূতাবাসের সহযোগীতা কামনা করেছেন প্রবাসীরা। তার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে বাড়িতে থাকতেও মানুষের সাথে প্রতারণা করে বেড়াতো। তার পিতা ইব্রাহিম ও মাতা জীবিত নেই। বাড়িতে থাকেন স্ত্রী সন্তান। প্রবাসে গিয়েও সে কাজ না করে প্রতারণা করে দিন পার করছে। তার প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া প্রবাসী যুবকরা। বাংলাদেশ থেকে তার মুঠোফোনে (+৯৬৬৫৪৩৮৭৫২৬৭) কল করলেও পাওয়া যায় নি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন