০৮:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

প্রতিপক্ষের হয়ে নির্বাচনে কাজ করায় উত্তরাধিকার সনদ না দেওয়ার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • / ১০
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলাধীন বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদারের বিরুদ্ধে ওয়ারিশান ও চারিত্রিক সনদপত্র না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের কলুঙ্কা গ্রামের জাহাঙ্গীর খান উপজেলা নামের এক ব্যক্তি মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর খান অভিযোগ করে বলেন, পারিবারিক কারণে আমার ওয়ারিশান সনদ প্রয়োজন হয়। গত ২০ মার্চ নিয়মানুযায়ী স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে যাচাই করে সনদপত্র তৈরি করে মেম্বারের সিল-স্বাক্ষর নিয়ে চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদারের কাছে গেলে তিনি ওই সনদপত্রে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি আমাদের পরিবারের কোনো বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে না বলে জানান।
সনদ না দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নির্বাচনে আমি ও আমার পরিবার বর্তমান চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদারের বিপক্ষে অন্য প্রার্থীর হয়ে নির্বাচন করেছি। সেই রাগে তিনি আমাদের পরিবারের লোকজনকে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা থেকে বঞ্চিত করছেন।
তিনি আরও বলেন, সনদ না দেওয়ার বিষয়টি মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র পরামর্শ অনুযায়ী আমি জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদার বলেন, ‘অভিযোগটি বানোয়াট। ওয়ারিশান সনদের জন্য যখন গিয়েছিল তখন আমি এলাকার বাইরে ছিলাম। ফোনে বলেছি দুইদিন পর পরিষদে এসে নিয়ে যেতে। তারপরও অভিযোগ করেছে। এটা দুঃখজনক।’ মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, ওয়ারিশান সনদ-চারিত্রিক সনদ এসব প্রাপ্তি একজন মানুষের নাগরিক অধিকার। একজন চেয়ারম্যান কোনোভাবেই নাগরিকের অধিকার বঞ্চিত করতে পারেন না। অভিযোগের বিষয়টি মৌখিকভাবে ডিসি স্যারের কাছ থেকে জেনেছি। লিখিতভাবে বিষয়টি এখনও পাইনি। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

প্রতিপক্ষের হয়ে নির্বাচনে কাজ করায় উত্তরাধিকার সনদ না দেওয়ার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলাধীন বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদারের বিরুদ্ধে ওয়ারিশান ও চারিত্রিক সনদপত্র না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের কলুঙ্কা গ্রামের জাহাঙ্গীর খান উপজেলা নামের এক ব্যক্তি মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর খান অভিযোগ করে বলেন, পারিবারিক কারণে আমার ওয়ারিশান সনদ প্রয়োজন হয়। গত ২০ মার্চ নিয়মানুযায়ী স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে যাচাই করে সনদপত্র তৈরি করে মেম্বারের সিল-স্বাক্ষর নিয়ে চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদারের কাছে গেলে তিনি ওই সনদপত্রে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি আমাদের পরিবারের কোনো বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে না বলে জানান।
সনদ না দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নির্বাচনে আমি ও আমার পরিবার বর্তমান চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদারের বিপক্ষে অন্য প্রার্থীর হয়ে নির্বাচন করেছি। সেই রাগে তিনি আমাদের পরিবারের লোকজনকে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা থেকে বঞ্চিত করছেন।
তিনি আরও বলেন, সনদ না দেওয়ার বিষয়টি মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র পরামর্শ অনুযায়ী আমি জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদার বলেন, ‘অভিযোগটি বানোয়াট। ওয়ারিশান সনদের জন্য যখন গিয়েছিল তখন আমি এলাকার বাইরে ছিলাম। ফোনে বলেছি দুইদিন পর পরিষদে এসে নিয়ে যেতে। তারপরও অভিযোগ করেছে। এটা দুঃখজনক।’ মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, ওয়ারিশান সনদ-চারিত্রিক সনদ এসব প্রাপ্তি একজন মানুষের নাগরিক অধিকার। একজন চেয়ারম্যান কোনোভাবেই নাগরিকের অধিকার বঞ্চিত করতে পারেন না। অভিযোগের বিষয়টি মৌখিকভাবে ডিসি স্যারের কাছ থেকে জেনেছি। লিখিতভাবে বিষয়টি এখনও পাইনি। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন