০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

জুড়ীতে প্রবাসীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • /
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জসিম উদ্দিন জুড়ী :

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে এক প্রবাসীর উপর সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রবাসী জহিরুল ইসলাম।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) জুড়ীতে নিজ বাসায় তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ এতে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর যাবত একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে প্রবাসী ছিলাম। জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় তিন থেকে চার কোটি টাকার অনুদান প্রবাস থেকে সংগ্রহ করে দিয়েছি। সম্প্রতি এলাকার লোকজন মধ্য নয়াগ্রাম মসজিদের ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব আমার উপর অর্পণ করেন। এলাকাবাসীর অনুরোধে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি। দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর ২৯ মার্চ শুক্রবার পূর্বের কমিটির নিকট হিসাব বুঝিয়ে দিতে অনুরোধ করি। তাদের নিকট হিসাব চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রামের কাদির মিয়ার পুত্র মো. শাসন মিয়ার নেতৃত্বে তার ভাই মানিক মিয়া, দেলোয়ার হোসেন এবং মতিউর রহমান আমার উপর হামলা করে জখম করে। হামলার ঘটনায় তাদের নামে থানায় মামলা দায়ের করি (জি.আর ২৯/২৪ইং)। এতে আসামীগণ আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হন। আসামিগণ ঈদের আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে আমাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পনা মত সুযোগ খুঁজতে থাকে। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে উপরে উল্লেখিত চারজন আসামি স্টিলের প্রায় দুই- তিন ফুট লম্বা লোহার পাইপ নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। আসামী শাসন মিয়ার হাতে থাকা লোহার পাইপের দ্বারা আঘাত করলে বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করি। এতে আমার বাম হাতের কব্জি ভেঙ্গে যায়। আসামী মানিক মিয়া তার হাতে থাকা স্টিলের লোহার পাইপ দ্বারা আঘাত করিলে আমার বাম হাতের তালুর বিপরীত দিকের হাড় ভেঙ্গে যায়। আমার আর্তচিৎকারে আমার ভাই, বোন ও ছেলে এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালায়। এতে তারাও আহত হন। পরবর্তীতে আমাকে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে আমি ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলাম। আমার উপর হামলাকারীরা আমাদের পরিবারের উপর সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় আমার ভাই বর্তমানে জেলে রয়েছে। বর্তমানে সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার এবং লাশ গুম করার হুমকি দিচ্ছেন। তাদের ভয়ে আমরা বর্তমানে নিজ বাড়িতে যেতে পারছি না। একরকম পালিয়ে কোনমতে দিনপাত করছি। আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সহ প্রশাসনের নিকট এর বিচার চাই এবং আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

জুড়ীতে প্রবাসীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৮:৫৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জসিম উদ্দিন জুড়ী :

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে এক প্রবাসীর উপর সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রবাসী জহিরুল ইসলাম।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) জুড়ীতে নিজ বাসায় তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ এতে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর যাবত একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে প্রবাসী ছিলাম। জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় তিন থেকে চার কোটি টাকার অনুদান প্রবাস থেকে সংগ্রহ করে দিয়েছি। সম্প্রতি এলাকার লোকজন মধ্য নয়াগ্রাম মসজিদের ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব আমার উপর অর্পণ করেন। এলাকাবাসীর অনুরোধে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি। দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর ২৯ মার্চ শুক্রবার পূর্বের কমিটির নিকট হিসাব বুঝিয়ে দিতে অনুরোধ করি। তাদের নিকট হিসাব চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রামের কাদির মিয়ার পুত্র মো. শাসন মিয়ার নেতৃত্বে তার ভাই মানিক মিয়া, দেলোয়ার হোসেন এবং মতিউর রহমান আমার উপর হামলা করে জখম করে। হামলার ঘটনায় তাদের নামে থানায় মামলা দায়ের করি (জি.আর ২৯/২৪ইং)। এতে আসামীগণ আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হন। আসামিগণ ঈদের আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে আমাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পনা মত সুযোগ খুঁজতে থাকে। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে উপরে উল্লেখিত চারজন আসামি স্টিলের প্রায় দুই- তিন ফুট লম্বা লোহার পাইপ নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। আসামী শাসন মিয়ার হাতে থাকা লোহার পাইপের দ্বারা আঘাত করলে বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করি। এতে আমার বাম হাতের কব্জি ভেঙ্গে যায়। আসামী মানিক মিয়া তার হাতে থাকা স্টিলের লোহার পাইপ দ্বারা আঘাত করিলে আমার বাম হাতের তালুর বিপরীত দিকের হাড় ভেঙ্গে যায়। আমার আর্তচিৎকারে আমার ভাই, বোন ও ছেলে এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালায়। এতে তারাও আহত হন। পরবর্তীতে আমাকে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে আমি ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলাম। আমার উপর হামলাকারীরা আমাদের পরিবারের উপর সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় আমার ভাই বর্তমানে জেলে রয়েছে। বর্তমানে সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার এবং লাশ গুম করার হুমকি দিচ্ছেন। তাদের ভয়ে আমরা বর্তমানে নিজ বাড়িতে যেতে পারছি না। একরকম পালিয়ে কোনমতে দিনপাত করছি। আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সহ প্রশাসনের নিকট এর বিচার চাই এবং আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন