০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

কচুয়া উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হিড়িক

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • /
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মো. রাছেল, কচুয়া :

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা পরিষদ নিবার্চন ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হিড়িক দেখা যাচ্ছে। গত বুধবার ৩য় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। এর মধ্যে চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা রয়েছে। এই দুটি উপজেলায় ইভিএমএ ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী- মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষ তারিখ ২ মে, যাচাই-বাছাই ৫ মে।
প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ ১৩ মে। ভোটগ্রহন হবে ২৯ মে। তফসীল ঘোষণা পর থেকে কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে আগ্রহী আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যাপক তৎপর হয়ে উঠেছেন। তবে মাঠে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নেমে পড়েছেন চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় রাজনীতি সূতিকাগার বলে পরিচিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক,বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান শিশির। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, বর্তমান সাধারন সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহরাব হোসেন সোহাগ চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক অ্যাড. হেলাল উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মো.মাহবুব আলম, আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি ফয়েজ আহমেদ স্বপন, ইউপি চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য ইসহাক সিকদার, সমাজসেবক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আবুল বারাকাত বাবুল।
তাঁরা এলাকায় ভোটাদের দ্বারে দ্বারে বিভিন্ন কৌশলে প্রচার প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। তাদের পোস্টার, লিফলেট ও ব্যানার এলাকায় ছেয়ে গেছে। তারা বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিয়ে গনসংযোগ চালাচ্ছেন। পাশাপাশি সিনিয়র নেতারা স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে দুই থেকে তিনজন প্রার্থী এমপি সমর্থন না পেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন তাদের সমর্থকরা। তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন পর্যন্ত দল বা স্থানীয় সংসদ সদস্য কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন দেননি। বিএনপি-জামায়াত কেন্দ্র থেকে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত আসায় বর্তমানে তারা নির্বাচনী তৎপরতা সরে দাঁড়িয়েছেন। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সকলেই সাবেক ছাত্রনেতা হওয়ায় স্থানীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন-সবাই ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। এই রকম নেতাদের হাতে স্থানীয় সরকারের নেতৃত্ব থাকলে জনগণ উপকৃত হবে ও ভবিষ্যতে জাতীয় নেতৃত¦ চলে আসবে প্রকৃত রাজনৈতিক নেতাদের হাতে। এতে কচুয়ার রাজনীতিতে ত্যাগি আওয়ামী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন বাড়বে।
নির্বাচনের প্রস্ততির ব্যাপারে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান শিশির বলেন- এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় ভাবে কাউকে প্রার্থী করা হবে না। কাজেই এইবারের নির্বাচনে দলের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবে। যার যার গ্রহন যোগ্যতা অনুযায়ী ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। গত দুই ট্রামে ভোটাররা আমাকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমি এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আমি শতভাগ আশাবাদী আমার কচুয়ার প্রাণপ্রিয় জনগন ও ভোটাররা আমাকে বিমুখ করবে না। এবারও ভোটাররা ২৯ মে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আমাকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন। সেই আশা ও বিশ^াস কচুয়ার জনগন ও ভোটারদের প্রতি আমার রয়েছে।
কচুয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বলেন, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এবারের উপজেলা নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী। আমি আশাবাদী কচুয়ার জনগন ও ভোটাররা আমাকে তরুন নেতা হিসেবে বেচে নিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করবে। আপনাদের সাংবাদিকদের মাধ্যমে কচুয়া বাসীর জনগন ও ভোটারদের আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তারুন্যের নেতৃত্বে কচুয়াকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে রূপান্তরিত করবো। আপানারা আমাকে দোয়া ও সমর্থন করবেন।
চেয়ারম্যান পদে ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী করতে দেখা গেলেও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাঠে দুইজন প্রার্থীকে চষে বেড়াতে দেখা গেছে। তারা হলেন-সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল প্রধান জালাল। আরেকজন প্রার্থী হলেন- কচুয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী রাকিবুল হাসান। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ভোটারদের সাথে কৌশল বিনিময় ও প্রচার প্রচারণা করতে দেখা গেছে, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা সহিদ, উপজেলা যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফারহানা পারভীন, চাঁদপুর জেলা কৃষক লীগের সদস্য জোসনা আক্তার ঝর্ণা, সাবেক ইউপি সদস্য আমেনা আক্তার, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি শ্যামলি খান, উপজেলা যুব ও মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকেয়া বেগম, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান কুলছুমা আক্তার। ইতিমধ্যে এই ৭জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে উপজেলা যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফারহানা পারভীন ভোটারদে দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
কচুয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন মানিক ,আনোয়ার সিকদার, মোঃ মফিজউদ্দিন রুনু জানান, ক্ষমতাসীল দল আওয়ামী লীগ এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না রাখার, মন্ত্রী এমপিদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহন না করার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য কোন প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের ইতিবাচক মনোভাব। নির্দেশনা অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছে ও ক্ষমতাসীল দলটি।
দলের এই সিদ্ধান্তগুলো সফল হলেই দেশ বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের গ্রহন যোগ্যতা ও বৃদ্ধি পাবে। এখন শুধু দেখার অপক্ষোয়, কতটুকু বাস্তাবায়ন করতে পারে তাদের এই সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ সরকার দলীয় হাইকমান্ড।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

কচুয়া উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হিড়িক

আপডেট সময় : ১০:২৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মো. রাছেল, কচুয়া :

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা পরিষদ নিবার্চন ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হিড়িক দেখা যাচ্ছে। গত বুধবার ৩য় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। এর মধ্যে চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা রয়েছে। এই দুটি উপজেলায় ইভিএমএ ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী- মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষ তারিখ ২ মে, যাচাই-বাছাই ৫ মে।
প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ ১৩ মে। ভোটগ্রহন হবে ২৯ মে। তফসীল ঘোষণা পর থেকে কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে আগ্রহী আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যাপক তৎপর হয়ে উঠেছেন। তবে মাঠে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নেমে পড়েছেন চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় রাজনীতি সূতিকাগার বলে পরিচিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক,বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান শিশির। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, বর্তমান সাধারন সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহরাব হোসেন সোহাগ চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক অ্যাড. হেলাল উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মো.মাহবুব আলম, আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি ফয়েজ আহমেদ স্বপন, ইউপি চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য ইসহাক সিকদার, সমাজসেবক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আবুল বারাকাত বাবুল।
তাঁরা এলাকায় ভোটাদের দ্বারে দ্বারে বিভিন্ন কৌশলে প্রচার প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। তাদের পোস্টার, লিফলেট ও ব্যানার এলাকায় ছেয়ে গেছে। তারা বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিয়ে গনসংযোগ চালাচ্ছেন। পাশাপাশি সিনিয়র নেতারা স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে দুই থেকে তিনজন প্রার্থী এমপি সমর্থন না পেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন তাদের সমর্থকরা। তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন পর্যন্ত দল বা স্থানীয় সংসদ সদস্য কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন দেননি। বিএনপি-জামায়াত কেন্দ্র থেকে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত আসায় বর্তমানে তারা নির্বাচনী তৎপরতা সরে দাঁড়িয়েছেন। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সকলেই সাবেক ছাত্রনেতা হওয়ায় স্থানীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন-সবাই ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। এই রকম নেতাদের হাতে স্থানীয় সরকারের নেতৃত্ব থাকলে জনগণ উপকৃত হবে ও ভবিষ্যতে জাতীয় নেতৃত¦ চলে আসবে প্রকৃত রাজনৈতিক নেতাদের হাতে। এতে কচুয়ার রাজনীতিতে ত্যাগি আওয়ামী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন বাড়বে।
নির্বাচনের প্রস্ততির ব্যাপারে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান শিশির বলেন- এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় ভাবে কাউকে প্রার্থী করা হবে না। কাজেই এইবারের নির্বাচনে দলের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবে। যার যার গ্রহন যোগ্যতা অনুযায়ী ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। গত দুই ট্রামে ভোটাররা আমাকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমি এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আমি শতভাগ আশাবাদী আমার কচুয়ার প্রাণপ্রিয় জনগন ও ভোটাররা আমাকে বিমুখ করবে না। এবারও ভোটাররা ২৯ মে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আমাকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন। সেই আশা ও বিশ^াস কচুয়ার জনগন ও ভোটারদের প্রতি আমার রয়েছে।
কচুয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বলেন, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এবারের উপজেলা নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী। আমি আশাবাদী কচুয়ার জনগন ও ভোটাররা আমাকে তরুন নেতা হিসেবে বেচে নিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করবে। আপনাদের সাংবাদিকদের মাধ্যমে কচুয়া বাসীর জনগন ও ভোটারদের আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তারুন্যের নেতৃত্বে কচুয়াকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে রূপান্তরিত করবো। আপানারা আমাকে দোয়া ও সমর্থন করবেন।
চেয়ারম্যান পদে ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী করতে দেখা গেলেও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাঠে দুইজন প্রার্থীকে চষে বেড়াতে দেখা গেছে। তারা হলেন-সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল প্রধান জালাল। আরেকজন প্রার্থী হলেন- কচুয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী রাকিবুল হাসান। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ভোটারদের সাথে কৌশল বিনিময় ও প্রচার প্রচারণা করতে দেখা গেছে, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা সহিদ, উপজেলা যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফারহানা পারভীন, চাঁদপুর জেলা কৃষক লীগের সদস্য জোসনা আক্তার ঝর্ণা, সাবেক ইউপি সদস্য আমেনা আক্তার, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি শ্যামলি খান, উপজেলা যুব ও মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকেয়া বেগম, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান কুলছুমা আক্তার। ইতিমধ্যে এই ৭জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে উপজেলা যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফারহানা পারভীন ভোটারদে দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
কচুয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন মানিক ,আনোয়ার সিকদার, মোঃ মফিজউদ্দিন রুনু জানান, ক্ষমতাসীল দল আওয়ামী লীগ এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না রাখার, মন্ত্রী এমপিদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহন না করার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য কোন প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের ইতিবাচক মনোভাব। নির্দেশনা অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছে ও ক্ষমতাসীল দলটি।
দলের এই সিদ্ধান্তগুলো সফল হলেই দেশ বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের গ্রহন যোগ্যতা ও বৃদ্ধি পাবে। এখন শুধু দেখার অপক্ষোয়, কতটুকু বাস্তাবায়ন করতে পারে তাদের এই সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ সরকার দলীয় হাইকমান্ড।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন