০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

ইলিয়াস কাঞ্চনকে ‘প্ল্যানবাজ’ বললেন জায়েদ খান

প্রতিদিনের বিনোদন :
  • আপডেট সময় : ০৯:৫২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৯
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের বিনোদন :

চিত্রনায়ক ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে বড় ‘প্ল্যানবাজ’ লোক বলে মন্তব্য করেছেন ভাইরাল নায়ক জায়েদ খান। বুধবার (৬ মার্চ) শাহবাগ, আজিজ মার্কেটে একটি শোরুম উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

জায়েদ খান ইলিয়াস কাঞ্চনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তিনি একুশে পদক পাওয়া একজন লোক। আমাদের সবার সিনিয়র। নিপুণ যতই কান্নাকাটি করুক না কেনো, নির্বাচন নিয়ে ঝামেলার পুরো দ্বায়িত্বই তার কাঁধে নিতে হবে? আমি নির্বাচিত হওয়ার পর তার সাথে চ্যানেল আইতে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করলাম। আমি কাঞ্চন ভাইকে ফোন দিয়েও বললাম, কাঞ্চন ভাই, চলেন আমরা শপথগ্রহন করি।

উনি বললেন ২/৩ টা দিন একটু অপেক্ষা করো। তিনি এই ২/৩ দিন সময় দিয়েছেন এই পরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনকে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এদিক সেদিন ঘুরে ঘুরে এই নোংরামিটা করে, নির্বাচিত হয়ে তার কারনে একটা ছেলে চেয়ারে বসতে পারল না। চেয়ার নিয়ে কত কিছু হল। মামলা গড়ালো শুধু তার কারনে।’

শিল্পী সমিতির সদস্য পদ বাতিল নিয়ে জায়েদ খান বলেন, “ কাঞ্চন ভাইকে আমি প্রথমবারের চাঁদা দিতে ফোন দিয়েছি, তিনি বলেন আমি মাত্র বিদেশ থেকে ফিরেছি, কি জানি রেজুলেশন লেখা বাকি, ২ দিন পরে আমি জানাই চাঁদাটা আমি কবে দেবো। মানে, উনার মাঝেই প্রি প্ল্যান ঘুরছে উনি এটা করবেন। শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের কথা টেনে তিনি বলেন, ৭ এর ক ধারায় আছে সংগঠনের পরিপন্থী, সংগঠনের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী, এবং সংগঠনের বিরোধী কোনো কার্যক্রম করিলে তার সদস্যপদ স্থগিত হবে।

তারা বলছে আমি নিপুণকে ইউটিউবে, ফেসবুকে বাজে কথা বলেছি, উনিতো এরচেয়ে বেশি বলেছে আমাকে। উনি তো ‘কুরকুরানি’ শব্দটাও সাংবাদিকদের বলেছে। তার বিচার কি হবে? আর ব্যক্তিকে কিছু বলা তো তার সংগঠনকে কিছু বলা না। সংগঠন নিয়ে যদি কথা বলতাম, শিল্পী সমিতি বাটপার, ভুয়া সংগঠন তাহলে বলা যেতো আমি সংগঠনকে ছোট করেছি। এই সংগঠন আমার প্রাণের সংগঠন। এখানে আমি তিনবার নির্বাচিত হয়েছি। আপনারাই ভাবেন, একটা মানুষ জোর করে যখন চেয়ারটা ছিনিয়ে নেয় আরেকজনের, জোর করে ছিনিয়ে নেয়, সেই মানুষটাকে নিয়ে আমি কথা বলেছি। সেই কারনে পুরাই ৮-১০ জন একত্রিত হয়েৃ অঞ্জনা আপা, উনি বলেন না না না আমি জানি না এটা। অথচ উনি ওই মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন। দ্বায়ভার নিলেন না।

তারমানে জিনিসটাই অন্যায় এটা প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারী জানে। প্রেসিডেন্ট সাহেব বলেন যে, একটা পদের জন্য এতকিছুর কি আছে, তাহলে আপনি একটা পদকে আনতেন না। আপনি এজিএস দিয়ে চালিয়ে যেতেন। তাহলে দুইটা ভাইস-প্রেসিডেন্ট কেনো? এজিএস এর কাজ কি? মান্না ভাই যখন মারা গেলেন তখন কি আবার নির্বাচন হয়েছিল? মান্না ভাইয়ের পরিবর্তে যিনি এজিএস ছিলেন চুন্নু ভাই উনি পুরো ২ বছর দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। আসলে ইলিয়াস কাঞ্চন একটা প্ল্যানবাজ। তার কারনে এতো কিছু হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ইলিয়াস কাঞ্চনকে ‘প্ল্যানবাজ’ বললেন জায়েদ খান

আপডেট সময় : ০৯:৫২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের বিনোদন :

চিত্রনায়ক ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে বড় ‘প্ল্যানবাজ’ লোক বলে মন্তব্য করেছেন ভাইরাল নায়ক জায়েদ খান। বুধবার (৬ মার্চ) শাহবাগ, আজিজ মার্কেটে একটি শোরুম উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

জায়েদ খান ইলিয়াস কাঞ্চনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তিনি একুশে পদক পাওয়া একজন লোক। আমাদের সবার সিনিয়র। নিপুণ যতই কান্নাকাটি করুক না কেনো, নির্বাচন নিয়ে ঝামেলার পুরো দ্বায়িত্বই তার কাঁধে নিতে হবে? আমি নির্বাচিত হওয়ার পর তার সাথে চ্যানেল আইতে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করলাম। আমি কাঞ্চন ভাইকে ফোন দিয়েও বললাম, কাঞ্চন ভাই, চলেন আমরা শপথগ্রহন করি।

উনি বললেন ২/৩ টা দিন একটু অপেক্ষা করো। তিনি এই ২/৩ দিন সময় দিয়েছেন এই পরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনকে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এদিক সেদিন ঘুরে ঘুরে এই নোংরামিটা করে, নির্বাচিত হয়ে তার কারনে একটা ছেলে চেয়ারে বসতে পারল না। চেয়ার নিয়ে কত কিছু হল। মামলা গড়ালো শুধু তার কারনে।’

শিল্পী সমিতির সদস্য পদ বাতিল নিয়ে জায়েদ খান বলেন, “ কাঞ্চন ভাইকে আমি প্রথমবারের চাঁদা দিতে ফোন দিয়েছি, তিনি বলেন আমি মাত্র বিদেশ থেকে ফিরেছি, কি জানি রেজুলেশন লেখা বাকি, ২ দিন পরে আমি জানাই চাঁদাটা আমি কবে দেবো। মানে, উনার মাঝেই প্রি প্ল্যান ঘুরছে উনি এটা করবেন। শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের কথা টেনে তিনি বলেন, ৭ এর ক ধারায় আছে সংগঠনের পরিপন্থী, সংগঠনের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী, এবং সংগঠনের বিরোধী কোনো কার্যক্রম করিলে তার সদস্যপদ স্থগিত হবে।

তারা বলছে আমি নিপুণকে ইউটিউবে, ফেসবুকে বাজে কথা বলেছি, উনিতো এরচেয়ে বেশি বলেছে আমাকে। উনি তো ‘কুরকুরানি’ শব্দটাও সাংবাদিকদের বলেছে। তার বিচার কি হবে? আর ব্যক্তিকে কিছু বলা তো তার সংগঠনকে কিছু বলা না। সংগঠন নিয়ে যদি কথা বলতাম, শিল্পী সমিতি বাটপার, ভুয়া সংগঠন তাহলে বলা যেতো আমি সংগঠনকে ছোট করেছি। এই সংগঠন আমার প্রাণের সংগঠন। এখানে আমি তিনবার নির্বাচিত হয়েছি। আপনারাই ভাবেন, একটা মানুষ জোর করে যখন চেয়ারটা ছিনিয়ে নেয় আরেকজনের, জোর করে ছিনিয়ে নেয়, সেই মানুষটাকে নিয়ে আমি কথা বলেছি। সেই কারনে পুরাই ৮-১০ জন একত্রিত হয়েৃ অঞ্জনা আপা, উনি বলেন না না না আমি জানি না এটা। অথচ উনি ওই মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন। দ্বায়ভার নিলেন না।

তারমানে জিনিসটাই অন্যায় এটা প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারী জানে। প্রেসিডেন্ট সাহেব বলেন যে, একটা পদের জন্য এতকিছুর কি আছে, তাহলে আপনি একটা পদকে আনতেন না। আপনি এজিএস দিয়ে চালিয়ে যেতেন। তাহলে দুইটা ভাইস-প্রেসিডেন্ট কেনো? এজিএস এর কাজ কি? মান্না ভাই যখন মারা গেলেন তখন কি আবার নির্বাচন হয়েছিল? মান্না ভাইয়ের পরিবর্তে যিনি এজিএস ছিলেন চুন্নু ভাই উনি পুরো ২ বছর দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। আসলে ইলিয়াস কাঞ্চন একটা প্ল্যানবাজ। তার কারনে এতো কিছু হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন