বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের সকল শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ১নং তেলিগাতী ইউনিয়নে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪ এর ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রিড়া,সাংস্কৃতিক, বিষয়ভিত্তিক কুইজ,কাবিং প্রতিযোগিতা ব্যাপক জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। শিশুদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া তেলিগাতী ইউনিয়ন শিক্ষক পরিবারের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে যেসকল শিক্ষক অবসরে গেছেন এবং যারা এবছর অবসরে যাবেন তাদের প্রতি স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সারাদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনা ও নির্দেশনায় ছিলেন অত্র ইউনিয়ন এর ১৫টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাদয়গণ।বিশেষ করে আব্দুর রহিম খান, শেখ জাকির হোসেন, সেখ মুজিবুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ,তাপস চক্রবর্তী, ইউসুফ মোল্লা,তানজিম ডালিয়া, ফরিদা খানম,দিলারা সুমি প্রমুখ। ক্রিড়া পরিচালনার নেতৃত্বে ছিলেন সহকারী শিক্ষক সুমন আকন।তার সহযোগিতায় ছিলেন কামরুজ্জামান, উজ্জল হাওলাদার, রাকিবুল ইসলাম,নাজমুজ্জামান সবুজ,শেখ সুজন,মিল্টন বিশ্বাস,এনামুল কবীর,মোস্তাক বিল্লাহ, মানসী মন্ডল,শারমীন সুলতানা,রোজিনা খানম,তানিয়া আক্তার,রুনা সুলতানা,ইতিকা রানী দাস,হাফিজা আক্তার।প্রতিটি বিদ্যালয়ের দপ্তরীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মোড়েলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব শেখ মুস্তাফিজুর রহমান স্যার, উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন জনাব মোর্শেদা আক্তার, চেয়ারম্যান, ১নং তেলিগাতী ইউনিয়ন পরিষদ।তাদের ব্যস্ততার কারণে উপস্থিত হতে না পারলেও তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কার্যকরী দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং অত্র ক্লাস্টার এর দায়িত্বরত সুযোগ্য সহ:শিক্ষা অফিসার জনাব সজল মহলী স্যার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ১নং তেলিগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান হাওলাদার, ইউপি সদস্য আলী আহসান, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার( ৪,৫,৬ ওয়ার্ড ) ফেরদৌসী খানম,সাবেক ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া ভাই এছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।অত্র অনুষ্ঠানের সভাপতি মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সুযোগ্য পরিশ্রমী মেধাবী সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব সজল মহলী বলেন ক্রিড়া শিশুর সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করে,শিশুদের মনে আনন্দের সঞ্চার ঘটায়,শিশুদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়ায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি কো- কারিকুমাম কার্যক্রম শিশুদের মন ভালো রাখতে সহযোগিতা করে।সকলকে বিদ্যালয়ে সবসময় কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিস চালু রাখার জন্য নির্দেশনা দেন পাশাপাশি এতো সুন্দর জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।