০৬:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

সুনামগঞ্জে কুস্তি খেলা দেখার জন্য টিকিট ফ্রি করে দিলেন: সেলিম আহমেদ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:২৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৭
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে দুইদিন ব্যাপি কুস্তি প্রতিযোগিতা। মাদক থেকে বর্তমান যুব সমাজকে দূরে রাখতে এবং সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী এ কুস্তি খেলার প্রসার ও প্রচারের লক্ষ্যে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে সুনামগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা।জেলার একমাত্র স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এ প্রতিযোগিতা। তবে এ প্রতিযোগিতায় দর্শকদের জন্য ভিন্নধর্মী ব্যবস্থা করেছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদ। দুইদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত এ কুস্তি প্রতিযোগিতায় তার নির্বাচনী এলাকা তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা থেকে খেলা দেখতে আসা সকলের টিকেট ব্যয় নিজেই বহন করবেন বলে বার্তা দিয়েছেন।সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদ বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলার মধ্যে একটি হল কুস্তি। এটি দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের গ্রামেগঞ্জে চর্চা করে আসা হচ্ছে, এ খেলার বিশেষত্ব হল এ গ্রামের মানুষ আরেক মানুষকে দাওয়াত করে কুস্তি খেলার জন্য, তারা যায় খাওয়া দাওয়া হয় গ্রামের লোকজন আসে খেলা দেখতে, এটি সামাজিক ভাববিনিময়ের একটি মাধ্যম হিসেবেও পরিচিত। তবে কিছুদিন হল জেলা প্রশাসক ও ক্রীড়া সংস্থা কুস্তি খেলার আয়োজন করেছেন, কিন্তু তারা ফান্ড ক্রাইসেস এর জন্য টিকেট প্রথা চালু করেছেন, যা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে বিতর্ক হচ্ছে, কিন্তু আমরা চাই যেনো এই খেলাটি হারিয়ে না যাক সেজন্য যখন টিকিটের কথাবার্তা আসলো তখন আমি চার উপজেলা অর্থাৎ তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর এলাকার মানুষের জন্য টিকেট ফ্রি করে দিয়েছি। তারা মাঠে এসে কোন টাকা ছাড়াই খেলা দেখতে পারবেন। ৪টি উপজেলায় টিকিট ফ্রি করে দেয়ার ব্যাপারে সেলিম আহমদ বলেন, খেলাটি জনপ্রিয় গ্রামবাংলার মানুষের কাছে, শহরের মানুষে যতটা না আগ্রহ তার বেশি আগ্রহ গ্রামের মানুষের তবে টিকিটের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সেই টাকা দিয়ে শ্রমজীবী ও কৃষক ভাইয়েরা আসবেন না, সেজন্য আমি তাদের কথা চিন্তা করে আমি ৪ উপজেলার মানুষের দায়িত্ব নিয়েছি, আমি চাইবো এভাবে যদি জেলার ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এগিয়ে আসেন তাহলে একদিকে আমাদের ঐতিহ্যবাহী খেলাটি বাঁচিয়ে রাখা যাবে অন্যদিকে যার জন্য আয়োজন সেটিও উন্নয়ন হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সুনামগঞ্জে কুস্তি খেলা দেখার জন্য টিকিট ফ্রি করে দিলেন: সেলিম আহমেদ

আপডেট সময় : ০৭:২৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে দুইদিন ব্যাপি কুস্তি প্রতিযোগিতা। মাদক থেকে বর্তমান যুব সমাজকে দূরে রাখতে এবং সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী এ কুস্তি খেলার প্রসার ও প্রচারের লক্ষ্যে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে সুনামগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা।জেলার একমাত্র স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এ প্রতিযোগিতা। তবে এ প্রতিযোগিতায় দর্শকদের জন্য ভিন্নধর্মী ব্যবস্থা করেছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদ। দুইদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত এ কুস্তি প্রতিযোগিতায় তার নির্বাচনী এলাকা তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা থেকে খেলা দেখতে আসা সকলের টিকেট ব্যয় নিজেই বহন করবেন বলে বার্তা দিয়েছেন।সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদ বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলার মধ্যে একটি হল কুস্তি। এটি দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের গ্রামেগঞ্জে চর্চা করে আসা হচ্ছে, এ খেলার বিশেষত্ব হল এ গ্রামের মানুষ আরেক মানুষকে দাওয়াত করে কুস্তি খেলার জন্য, তারা যায় খাওয়া দাওয়া হয় গ্রামের লোকজন আসে খেলা দেখতে, এটি সামাজিক ভাববিনিময়ের একটি মাধ্যম হিসেবেও পরিচিত। তবে কিছুদিন হল জেলা প্রশাসক ও ক্রীড়া সংস্থা কুস্তি খেলার আয়োজন করেছেন, কিন্তু তারা ফান্ড ক্রাইসেস এর জন্য টিকেট প্রথা চালু করেছেন, যা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে বিতর্ক হচ্ছে, কিন্তু আমরা চাই যেনো এই খেলাটি হারিয়ে না যাক সেজন্য যখন টিকিটের কথাবার্তা আসলো তখন আমি চার উপজেলা অর্থাৎ তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর এলাকার মানুষের জন্য টিকেট ফ্রি করে দিয়েছি। তারা মাঠে এসে কোন টাকা ছাড়াই খেলা দেখতে পারবেন। ৪টি উপজেলায় টিকিট ফ্রি করে দেয়ার ব্যাপারে সেলিম আহমদ বলেন, খেলাটি জনপ্রিয় গ্রামবাংলার মানুষের কাছে, শহরের মানুষে যতটা না আগ্রহ তার বেশি আগ্রহ গ্রামের মানুষের তবে টিকিটের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সেই টাকা দিয়ে শ্রমজীবী ও কৃষক ভাইয়েরা আসবেন না, সেজন্য আমি তাদের কথা চিন্তা করে আমি ৪ উপজেলার মানুষের দায়িত্ব নিয়েছি, আমি চাইবো এভাবে যদি জেলার ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এগিয়ে আসেন তাহলে একদিকে আমাদের ঐতিহ্যবাহী খেলাটি বাঁচিয়ে রাখা যাবে অন্যদিকে যার জন্য আয়োজন সেটিও উন্নয়ন হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন