০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

মতলব উত্তরে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:৫২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৬
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মমিনুল ইসলাম:

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে দর্শনার্থীদের কাছে টানছে আনোয়ারপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। ৩৫ শতাংশ জমির উপর মসজিদটি নির্মাণ করতে ব্যায় হয়েছে ৪ কোটি টাকা। মসজিদটি দৈর্ঘ্যে রয়েছে ১৪৫ ফুট এবং প্রস্থে ৮৫ ফুট। ছোট বড় মিলিয়ে ৬টি মিনার এবং ৩টি গম্বুজ রয়েছে। এই মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন ২হাজারের বেশি মুসল্লি।
আনোয়ারপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটির অসাধারণ নির্মাণ শৈলী, এর রং ও লাইটিং দূর থেকেই কাছে টানছে লোকজনকে। নির্মাণের পর থেকেই প্রতিদিন মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন হাজারো দর্শনার্থীরা।
অসাধারণ লাইটিং ও মসজিদের মোহনীয় সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। মসজিদ দেখা শেষে মুগ্ধতার আবেশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও দর্শনার্থীরা। দিনের আলো, সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহুর্ত ও রাতের অন্ধকার, তিন সময়ে ভিন্নরকম সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ। তবে সন্ধ্যার পর মসজিদের লাইট জ্বালানো হলে ফুটে ওঠে এর দূতি ছড়ানো সৌন্দর্য। মসজিদটির ভিতর সেন্সর লাগানো কারনে দরজা খুলে প্রবেশ মসজিদে প্রবেশ করলেই অটো জলে ওঠে লাইট এবং এসির শীতল হাওয়া বইতে শুরু করে।
গত ২ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে মসজিদের নির্মান কাজ শুরু করে এলাকা বাসি, দীর্ঘ ৭ বছর পড়ে ২০২৩ সালের ১৯ মে শুক্রবার নির্মিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদ টির ফলক উন্মোচন এবং ফিতা কেটে মসজিদ শুভ উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
ছেংগারচর পৌর এলাকা থেকে মসজিদটি দেখতে আসা সাব্বির লস্কর বলেন, এরকম সুন্দর মসজিদ আমি কখনও দেখিনি। আমার মনে হয় পুরো চাঁদপুর জেলায় এরকম সুন্দর দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নেই। এখানে নামাজ পড়ে মনে অনেক প্রশান্তি পাই। এখান থেকে ঘরে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে না।
চাঁদপুর থেকে থেকে আসা আবদুল্লাহ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ মসজিদটি দেখে চোখ আটকে যায়। মোটরসাইকেল এক মূহুর্তের জন্য দেখেছিলাম। এখন সময় নিয়ে দেখতে এসেছি।
এই মসজিদের মুসল্লী মো. মেহেদি হাসান রনি বলেন, আমাদের পুরনো যে মসজিদটি ছিল ওইখানে জায়গা কম থাকার কারণে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দে নামাজ আদায় করতে পারেনি। এখন এই মসজিদটি নির্মিত হওয়ায় আমরা স্বা”ছন্দ্যবোধ ভাবে নামাজ আদায় করতে পারছি এবং দূর-দূরান্ত থেকেও মুসল্লিরা এখানে এসে নামাজ পড়ছে।
আনোয়ারপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক মাসুদ আলম কাজল বলেন, আল্লাহর ইচ্ছে ও গ্রামবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আল্লাহর ঘর মসজিদ নানন্দিক এবং দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করতে পেরেছি। আমাদের গ্রামের পুরতান মসজিদটি ১৯৪৩ সালে নির্মিত। পুরাতন মসজিদটিতে মুসল্লীদের জায়গা না হওয়ায় আমার এবং গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো বড় পরিসরে একটি মসজিদ নির্মাণ করা। সেই স্বপ্ন বুকে ধারণ করে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ২০১৬ সালে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করি।
করোণাকালীন সময়ে কাজের কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর আমাদের স্বপ্নের প্রতিফলন মসজিদটি আজকে উদ্বোধন করতে পেরেছি। এ জন্য আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া আদায় করছি। তিনি আরো বলেন, শুধু মসজিদ নির্মাণ করলেই হবে না আমাদের মসজিদের নান্দনিকতা বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। মসজিদে নিয়মিত মুসল্লী সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রামের সকলকে মসজিদ মুখী হতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমি ব্যবসায়িক কাজে যখন তুর্কি এবং দুবাইতে যাই সেখানে গিয়ে এরকম দৃষ্টিনন্দন মসজিদ দেখতে পাই। পরে দেশে এসে তুর্কি স্টাইলে এবং মার্বেল পাথর দ্বারা মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মতলব উত্তরে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

আপডেট সময় : ০৮:৫২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মমিনুল ইসলাম:

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে দর্শনার্থীদের কাছে টানছে আনোয়ারপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। ৩৫ শতাংশ জমির উপর মসজিদটি নির্মাণ করতে ব্যায় হয়েছে ৪ কোটি টাকা। মসজিদটি দৈর্ঘ্যে রয়েছে ১৪৫ ফুট এবং প্রস্থে ৮৫ ফুট। ছোট বড় মিলিয়ে ৬টি মিনার এবং ৩টি গম্বুজ রয়েছে। এই মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন ২হাজারের বেশি মুসল্লি।
আনোয়ারপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটির অসাধারণ নির্মাণ শৈলী, এর রং ও লাইটিং দূর থেকেই কাছে টানছে লোকজনকে। নির্মাণের পর থেকেই প্রতিদিন মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন হাজারো দর্শনার্থীরা।
অসাধারণ লাইটিং ও মসজিদের মোহনীয় সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। মসজিদ দেখা শেষে মুগ্ধতার আবেশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও দর্শনার্থীরা। দিনের আলো, সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহুর্ত ও রাতের অন্ধকার, তিন সময়ে ভিন্নরকম সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ। তবে সন্ধ্যার পর মসজিদের লাইট জ্বালানো হলে ফুটে ওঠে এর দূতি ছড়ানো সৌন্দর্য। মসজিদটির ভিতর সেন্সর লাগানো কারনে দরজা খুলে প্রবেশ মসজিদে প্রবেশ করলেই অটো জলে ওঠে লাইট এবং এসির শীতল হাওয়া বইতে শুরু করে।
গত ২ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে মসজিদের নির্মান কাজ শুরু করে এলাকা বাসি, দীর্ঘ ৭ বছর পড়ে ২০২৩ সালের ১৯ মে শুক্রবার নির্মিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদ টির ফলক উন্মোচন এবং ফিতা কেটে মসজিদ শুভ উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
ছেংগারচর পৌর এলাকা থেকে মসজিদটি দেখতে আসা সাব্বির লস্কর বলেন, এরকম সুন্দর মসজিদ আমি কখনও দেখিনি। আমার মনে হয় পুরো চাঁদপুর জেলায় এরকম সুন্দর দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নেই। এখানে নামাজ পড়ে মনে অনেক প্রশান্তি পাই। এখান থেকে ঘরে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে না।
চাঁদপুর থেকে থেকে আসা আবদুল্লাহ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ মসজিদটি দেখে চোখ আটকে যায়। মোটরসাইকেল এক মূহুর্তের জন্য দেখেছিলাম। এখন সময় নিয়ে দেখতে এসেছি।
এই মসজিদের মুসল্লী মো. মেহেদি হাসান রনি বলেন, আমাদের পুরনো যে মসজিদটি ছিল ওইখানে জায়গা কম থাকার কারণে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দে নামাজ আদায় করতে পারেনি। এখন এই মসজিদটি নির্মিত হওয়ায় আমরা স্বা”ছন্দ্যবোধ ভাবে নামাজ আদায় করতে পারছি এবং দূর-দূরান্ত থেকেও মুসল্লিরা এখানে এসে নামাজ পড়ছে।
আনোয়ারপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক মাসুদ আলম কাজল বলেন, আল্লাহর ইচ্ছে ও গ্রামবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আল্লাহর ঘর মসজিদ নানন্দিক এবং দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করতে পেরেছি। আমাদের গ্রামের পুরতান মসজিদটি ১৯৪৩ সালে নির্মিত। পুরাতন মসজিদটিতে মুসল্লীদের জায়গা না হওয়ায় আমার এবং গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো বড় পরিসরে একটি মসজিদ নির্মাণ করা। সেই স্বপ্ন বুকে ধারণ করে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ২০১৬ সালে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করি।
করোণাকালীন সময়ে কাজের কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর আমাদের স্বপ্নের প্রতিফলন মসজিদটি আজকে উদ্বোধন করতে পেরেছি। এ জন্য আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া আদায় করছি। তিনি আরো বলেন, শুধু মসজিদ নির্মাণ করলেই হবে না আমাদের মসজিদের নান্দনিকতা বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। মসজিদে নিয়মিত মুসল্লী সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রামের সকলকে মসজিদ মুখী হতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমি ব্যবসায়িক কাজে যখন তুর্কি এবং দুবাইতে যাই সেখানে গিয়ে এরকম দৃষ্টিনন্দন মসজিদ দেখতে পাই। পরে দেশে এসে তুর্কি স্টাইলে এবং মার্বেল পাথর দ্বারা মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন