০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

বরিশালে নতুন সাজে দায়িত্ব গ্রহন নগরপিতা: খোকন সেরনিয়াবাত

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৫
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ রানা সন্যামত, বরিশাল ব্যুরো:

বরিশাল নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে বরণে নতুন রুপে সেজেছে বরিশাল শহর। ১২ জুন বিপুল ভোটে তিনি জয়লাভ করলেও দায়িত্বগ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে হয় তিন মাসের অধিক সময়। সোমবার (১৪ নভেম্বর) নতুন মেয়রসহ তাঁর পরিষদের কাউন্সিলদের অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষে গোটা নগরী সাজসাজ রব। লাল-নীল আলোয়ে যেনো রঙিন হয়ে উঠেছে রাতে বরিশাল। শহরের মোড়ে মোড়ে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ, রাস্তার উভয় পাশে তার সমর্থিত নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুনে পাল্টে গেছে সেই চিরচেনা রুপ। এখন অপেক্ষা শুধু সেই মাহেন্দক্ষণের, কখন দায়িত্বভার গ্রহণ করে নগরপিতার আসনে অধিষ্ঠিত হবেন সৎ-স্বচ্ছ মানসিকতার ব্যক্তিত্ব খোকন সেরনিয়াবাত।
শহর ঘুরে দেখা যায়, নয়া মেয়রসহ তার পরিষদের সদস্যদের সিটি কর্পোরেশনের সম্মুখে ফজলুল হক অ্যাভিনিউ রোডের একাংশে নিমাণ করা হয়েছে বিশালাকায় মঞ্চ। পাশে কালেকটরেট পুকুর পাড়সহ সড়কের দুই পাশে নেতাকর্মীদের টাঙানো লাল-সবুজ বিভিন্ন রঙের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। অধিকাংশ সড়ক আলোক সজ্জায় সজ্জিত। বিশেষ করে ১৩ নভেম্বর অর্থাৎ মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের একদিন আগে রাতের নগরী দেখলে যে কেউ মনে করতে পারেন হয়তো গোটা বরিশাল শহরবাসী ১৪ নভেম্বরের অপেক্ষায় ছিলেন।
বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, ১২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে খোকন সেরনিয়াবাত বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হলেও চতুর্থ পরিষদের মেয়াদ শেষ না হওয়ায় তিনি দায়িত্বগ্রহণ করতে পারেননি। তবে মেয়াদ পূর্ণ না করেই ৪ দিন আগে অর্থাৎ ১০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন থেকে বিদায় নেন মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। নতুন মেয়র খোকন এবং সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। সাদিক আব্দুল্লাহ বিদায় নিলেও প্রাতিষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতার জন্য খোকন যোগদান করতে পারেননি। একদিন ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১ নং প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল ইসলাম লিটু। ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটুর কাছ থেকেই সোমবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১০টার পর দায়িত্ব বুঝে নিবেন নয়া মেয়র।
জানা গেছে, নতুন মেয়রের দায়িত্বগ্রহণের আগেই জরাজীর্ণ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ভবনকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ভাঙাচোরা ভবন সংস্কারসহ আসবাবপত্র বৃদ্ধি করা হয়। পাশাপাশি মেয়রের যাতায়াত সুবিধার্থে গাড়িও বরাদ্দ এসেছে। অবশ্য এর তিনদিন পূর্বেই বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের চাবিগুচ্ছ মেয়র খোকনের হাতে তুলে দেয় সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা। পাশাপাশি নতুন মেয়র আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশের এনেক্স ভবনের চাবিও বুঝে নিয়েছেন।
চতুর্থ পরিষদের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ এনেক্স ভবনে বসে অফিস কার্যক্রম চালালেও নয়া মেয়র দায়িত্বভার গ্রহণের পর কোথায় বসছেন এনিয়ে নানান কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বলছেন, দায়িত্বগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সেরে মেয়র সিটি কর্পোরেশনের মূল ভবনে বসবেন, আবার কারও কারও দাবি, নতুন মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ’র পছন্দের এনেক্স ভবনেও অফিস কার্যকক্রম চালাতে পারেন।
তবে মেয়র খোকন ঘনিষ্ট একটি সূত্রের দাবি, সোমবার দায়িত্বগ্রহণের পর নতুন মেয়র প্রথমে সিটি কর্পোরেশনের পুরাতন ভবনেই বসবেন। পরে হয়তো তিনি বিবিরপুকুর পাড়স্থ এনেক্স ভবনে বসতে পারেন। সিদ্ধান্তটি এমন হওয়ার অন্যতম কারণ দায়িত্বগ্রহণের কিছুদিনের মধ্যে সিটি মেয়র কর্পোরেশন ভবন ভেঙে সেখানে আধুনিক মানের ১০ তলা ভবন করার ঘোষণা দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে তিনিসহ সকল দপ্তরসমূহ এনেক্স ভবনে স্থানান্তর হওয়ার সম্ভবনা আছে।
এদিকে ১৪ নভেম্বর নতুন মেয়রের অভিষেক আয়োজনকে ঘিরে বরিশাল নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। চিরচেনা শহরে লাল-নীল রঙিন আলোর সড়কে ট্রাকে জোরালো শব্দে বাজছে সাউন্ড বক্স। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন নিয়ে রচিত গান চালিয়ে এবং শত শত আতশবাজি ফুটিয়ে জানান দেওয়া হয় নতুন মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণ আয়োজন।
বিসিসির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নতুন নগরপিতাকে মসনদে বসাতে তাদের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এখন শুধু রাত পোহানোর অপেক্ষা, তারপরও শুরু হবে জমকালো আয়োজনে মেয়রকে বরণ প্রক্রিয়া। জানা গেছে, মেয়রের অভিষেক অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক সমাবেত হওয়ার কথা রয়েছে। শহরের ত্রিশটি ওয়ার্ডসহ সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকেও কর্মী-সমর্থকেরা এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন।
জানা গেছে, বিসিসিতে দায়িত্বগ্রহণ করার আগে নতুন মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত তার আপন ভাই আগৈলঝাড়া-গৌরনদী আসনের এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র সাথেও কুশল বিনিময় করেন। ওই সময় সেখানে হাসানাতপুত্র সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ না থাকলেও তার ছোট দুই ভাই ছিলেন। শোনা যাচ্ছে, বড় ভাইকে আমন্ত্রণ জানাতেই মেয়র সেদিন সেরালে গিয়েছিলেন এবং তিনি করেছেনও তাই। কিন্তু মন্ত্রি মর্যাদার ব্যক্তিত্ব হাসানাত আব্দুল্লাহ এবং তার ছেলে সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ ১৪ নভেম্বরের আয়োজনে থাকবেন কী না নিশ্চিত হওয়া না গেলেও কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন আওয়মী লীগ নেতা মঞ্চে থাকছেন এটা বলার অপেক্ষা নেই। বরিশাল সদর আসনের এমপি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক যে খোকনের বরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
খোকন সেরনিবাতের নির্বাচনে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং তার কর্মী-সমর্থকেরা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন। এবং নির্বাচন পূর্বাপর তারা একে অপরকে ভাই সম্বোধন করে এক সাথে অবেহেলিত বরিশালে উন্নয়ন করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে খোকনের ঘোষিত ২৫ দফা ইশতেহার বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নগরবাসীকে।
নাগরিক সমাজ মনে করে খোকন সেরনিয়াবাত সৎ-স্বচ্ছ আদর্শিক মানুষ, অগোছালো শহর হাত ধরে উন্নয়নের শিখড়ে পৌঁছাবে, যাতে অংশিদার হবেন সদর আসনের এমপি জাহিদ ফারুকও। অবশ্য শহর উন্নয়নে ইতিমধ্যে প্রায় ৮০০ কোটি টাকাও বরাদ্দ পেয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। নতুন মেয়রের যোগদানের কদিন পূবেই বরিশাল নগরবাসীকে এই উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরিশাল সিটি মেয়র খোকন এবং শেখ হাসিনা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। অবশ্য সাবেক মেয়র সাদিকও প্রধানমন্ত্রীর স্বজন, তিনি সম্পর্কে শেখ হাসিনার ভাগিনা।
তবে সাদিকের মেয়াদের ৫ বছরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে তেমন উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ আসেনি। এখন নতুন মেয়র খোকন যখন দায়িত্ব বুঝে নিবেন তার কদিন পূর্বে আসলো বিশাল বরাদ্দ, যা শুনে বরিশাল নগরবাসী উদ্বেলিত-পুলোকিত।
নগরবাসীর প্রত্যাশা এই বিশাল বরাদ্দ শহর উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে এবং নতুন মেয়র এর সঠিক ব্যবহার করাসহ নাগরিক সেবা প্রদানের মধ্যদিয়ে বেশ আলোচিত-আলোড়িত হবেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বরিশালে নতুন সাজে দায়িত্ব গ্রহন নগরপিতা: খোকন সেরনিয়াবাত

আপডেট সময় : ০৭:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ রানা সন্যামত, বরিশাল ব্যুরো:

বরিশাল নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে বরণে নতুন রুপে সেজেছে বরিশাল শহর। ১২ জুন বিপুল ভোটে তিনি জয়লাভ করলেও দায়িত্বগ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে হয় তিন মাসের অধিক সময়। সোমবার (১৪ নভেম্বর) নতুন মেয়রসহ তাঁর পরিষদের কাউন্সিলদের অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষে গোটা নগরী সাজসাজ রব। লাল-নীল আলোয়ে যেনো রঙিন হয়ে উঠেছে রাতে বরিশাল। শহরের মোড়ে মোড়ে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ, রাস্তার উভয় পাশে তার সমর্থিত নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুনে পাল্টে গেছে সেই চিরচেনা রুপ। এখন অপেক্ষা শুধু সেই মাহেন্দক্ষণের, কখন দায়িত্বভার গ্রহণ করে নগরপিতার আসনে অধিষ্ঠিত হবেন সৎ-স্বচ্ছ মানসিকতার ব্যক্তিত্ব খোকন সেরনিয়াবাত।
শহর ঘুরে দেখা যায়, নয়া মেয়রসহ তার পরিষদের সদস্যদের সিটি কর্পোরেশনের সম্মুখে ফজলুল হক অ্যাভিনিউ রোডের একাংশে নিমাণ করা হয়েছে বিশালাকায় মঞ্চ। পাশে কালেকটরেট পুকুর পাড়সহ সড়কের দুই পাশে নেতাকর্মীদের টাঙানো লাল-সবুজ বিভিন্ন রঙের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। অধিকাংশ সড়ক আলোক সজ্জায় সজ্জিত। বিশেষ করে ১৩ নভেম্বর অর্থাৎ মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের একদিন আগে রাতের নগরী দেখলে যে কেউ মনে করতে পারেন হয়তো গোটা বরিশাল শহরবাসী ১৪ নভেম্বরের অপেক্ষায় ছিলেন।
বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, ১২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে খোকন সেরনিয়াবাত বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হলেও চতুর্থ পরিষদের মেয়াদ শেষ না হওয়ায় তিনি দায়িত্বগ্রহণ করতে পারেননি। তবে মেয়াদ পূর্ণ না করেই ৪ দিন আগে অর্থাৎ ১০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন থেকে বিদায় নেন মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। নতুন মেয়র খোকন এবং সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। সাদিক আব্দুল্লাহ বিদায় নিলেও প্রাতিষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতার জন্য খোকন যোগদান করতে পারেননি। একদিন ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১ নং প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল ইসলাম লিটু। ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটুর কাছ থেকেই সোমবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১০টার পর দায়িত্ব বুঝে নিবেন নয়া মেয়র।
জানা গেছে, নতুন মেয়রের দায়িত্বগ্রহণের আগেই জরাজীর্ণ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ভবনকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ভাঙাচোরা ভবন সংস্কারসহ আসবাবপত্র বৃদ্ধি করা হয়। পাশাপাশি মেয়রের যাতায়াত সুবিধার্থে গাড়িও বরাদ্দ এসেছে। অবশ্য এর তিনদিন পূর্বেই বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের চাবিগুচ্ছ মেয়র খোকনের হাতে তুলে দেয় সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা। পাশাপাশি নতুন মেয়র আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশের এনেক্স ভবনের চাবিও বুঝে নিয়েছেন।
চতুর্থ পরিষদের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ এনেক্স ভবনে বসে অফিস কার্যক্রম চালালেও নয়া মেয়র দায়িত্বভার গ্রহণের পর কোথায় বসছেন এনিয়ে নানান কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বলছেন, দায়িত্বগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সেরে মেয়র সিটি কর্পোরেশনের মূল ভবনে বসবেন, আবার কারও কারও দাবি, নতুন মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ’র পছন্দের এনেক্স ভবনেও অফিস কার্যকক্রম চালাতে পারেন।
তবে মেয়র খোকন ঘনিষ্ট একটি সূত্রের দাবি, সোমবার দায়িত্বগ্রহণের পর নতুন মেয়র প্রথমে সিটি কর্পোরেশনের পুরাতন ভবনেই বসবেন। পরে হয়তো তিনি বিবিরপুকুর পাড়স্থ এনেক্স ভবনে বসতে পারেন। সিদ্ধান্তটি এমন হওয়ার অন্যতম কারণ দায়িত্বগ্রহণের কিছুদিনের মধ্যে সিটি মেয়র কর্পোরেশন ভবন ভেঙে সেখানে আধুনিক মানের ১০ তলা ভবন করার ঘোষণা দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে তিনিসহ সকল দপ্তরসমূহ এনেক্স ভবনে স্থানান্তর হওয়ার সম্ভবনা আছে।
এদিকে ১৪ নভেম্বর নতুন মেয়রের অভিষেক আয়োজনকে ঘিরে বরিশাল নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। চিরচেনা শহরে লাল-নীল রঙিন আলোর সড়কে ট্রাকে জোরালো শব্দে বাজছে সাউন্ড বক্স। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন নিয়ে রচিত গান চালিয়ে এবং শত শত আতশবাজি ফুটিয়ে জানান দেওয়া হয় নতুন মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণ আয়োজন।
বিসিসির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নতুন নগরপিতাকে মসনদে বসাতে তাদের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এখন শুধু রাত পোহানোর অপেক্ষা, তারপরও শুরু হবে জমকালো আয়োজনে মেয়রকে বরণ প্রক্রিয়া। জানা গেছে, মেয়রের অভিষেক অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক সমাবেত হওয়ার কথা রয়েছে। শহরের ত্রিশটি ওয়ার্ডসহ সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকেও কর্মী-সমর্থকেরা এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন।
জানা গেছে, বিসিসিতে দায়িত্বগ্রহণ করার আগে নতুন মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত তার আপন ভাই আগৈলঝাড়া-গৌরনদী আসনের এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র সাথেও কুশল বিনিময় করেন। ওই সময় সেখানে হাসানাতপুত্র সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ না থাকলেও তার ছোট দুই ভাই ছিলেন। শোনা যাচ্ছে, বড় ভাইকে আমন্ত্রণ জানাতেই মেয়র সেদিন সেরালে গিয়েছিলেন এবং তিনি করেছেনও তাই। কিন্তু মন্ত্রি মর্যাদার ব্যক্তিত্ব হাসানাত আব্দুল্লাহ এবং তার ছেলে সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ ১৪ নভেম্বরের আয়োজনে থাকবেন কী না নিশ্চিত হওয়া না গেলেও কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন আওয়মী লীগ নেতা মঞ্চে থাকছেন এটা বলার অপেক্ষা নেই। বরিশাল সদর আসনের এমপি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক যে খোকনের বরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
খোকন সেরনিবাতের নির্বাচনে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং তার কর্মী-সমর্থকেরা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন। এবং নির্বাচন পূর্বাপর তারা একে অপরকে ভাই সম্বোধন করে এক সাথে অবেহেলিত বরিশালে উন্নয়ন করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে খোকনের ঘোষিত ২৫ দফা ইশতেহার বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নগরবাসীকে।
নাগরিক সমাজ মনে করে খোকন সেরনিয়াবাত সৎ-স্বচ্ছ আদর্শিক মানুষ, অগোছালো শহর হাত ধরে উন্নয়নের শিখড়ে পৌঁছাবে, যাতে অংশিদার হবেন সদর আসনের এমপি জাহিদ ফারুকও। অবশ্য শহর উন্নয়নে ইতিমধ্যে প্রায় ৮০০ কোটি টাকাও বরাদ্দ পেয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। নতুন মেয়রের যোগদানের কদিন পূবেই বরিশাল নগরবাসীকে এই উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরিশাল সিটি মেয়র খোকন এবং শেখ হাসিনা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। অবশ্য সাবেক মেয়র সাদিকও প্রধানমন্ত্রীর স্বজন, তিনি সম্পর্কে শেখ হাসিনার ভাগিনা।
তবে সাদিকের মেয়াদের ৫ বছরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে তেমন উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ আসেনি। এখন নতুন মেয়র খোকন যখন দায়িত্ব বুঝে নিবেন তার কদিন পূর্বে আসলো বিশাল বরাদ্দ, যা শুনে বরিশাল নগরবাসী উদ্বেলিত-পুলোকিত।
নগরবাসীর প্রত্যাশা এই বিশাল বরাদ্দ শহর উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে এবং নতুন মেয়র এর সঠিক ব্যবহার করাসহ নাগরিক সেবা প্রদানের মধ্যদিয়ে বেশ আলোচিত-আলোড়িত হবেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন