১২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

সংস্কারের অভাবে রামগঞ্জের সড়কের বেহাল দশা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
  • / ১৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোহাম্মদ আলী, রামগঞ্জ:

পিচঢালা পথগুলো একটু বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত মাটির সড়কে পরিণত। কার্পেটিং উঠে নিচের কণা ছিটকে মাটি এখন দৃশ্যমাণ। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরেও নেই কোনও সংস্কারের ছোঁয়া। আবার মাত্রাতিরিক্ত ট্রলি, ট্রাক ও ড্রামট্রাকের যাতায় পিষ্ট গ্রামীন এ সড়কটির বেহাল দশা। ফলে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের পশ্চিম করপাড়ার ছমার ভিডা নামক স্থান থেকে আন্দিরপাড়, আন্দিরপাড়-পাঁচ হাজারী বাড়ি, পাঁচ হাজারী বাড়ি-হাটখোলা ব্রীজ, আন্দিরপাড়-কন্ডাকক্টর বাড়ির ব্রীজ পযর্ন্ত গ্রামীণ সড়ক দীর্ঘ প্রায় ১৮ থেকে ২০ বছরে একবারও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এই সড়কের দ্রুত সংস্কার এলাকার সকলের প্রাণের দাবি।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পুরো সড়ক জুড়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও ট্রলি ও ড্রামট্রাক চলাচলের কারনে সড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো চলাচলে বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের হুমকি দেয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, খানাখন্দে ভরা এসব সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাম-গঞ্জের স্কুল-মাদরাসা ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারন মানুষ। নিত্যদিন পিছু ছাড়ছে না ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, করপাড়া ইউনিয়নভুক্ত ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম করপাড়ার গ্রামের পাঁচহাজারী বাড়ী থেকে হাটখোলা পর্যন্ত প্রায় ১কিলোমিটার, ছমার ভিটা থেকে আন্দিরপাড় বাজার হয়ে কন্ডাক্টর বাড়ির পোলের গোড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার, আন্দিরপাড়ের দর্জি বাড়ি হতে পাঁচ হাজারী বাড়ি পযর্ন্ত প্রায় ১কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কারবিহীন এসব সড়ক সংস্কারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চেষ্টা-তদবির করেও কোনো ফল পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
অটোরিক্সা চালক হালিম, মোস্তফা, রহিম ও সিএনজি চালক মুরাদ, হারুন সহ অনেকেই জানান, ভাঙ্গাচুরার সড়কের কারনে আমরা গাড়ি চালাতে পারিনা। একবার যাতায়াত করলে নাটবল্টু খুলে যায়। অনেক সময় দুইটি গাড়ি একসাথে পারাপার হতে গিয়ে পুকুর বা সড়কের পাশের ডোবানালাতে পতিত হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হতে হয়। রাস্তার বেহাল দশার কারণে গাড়ির টায়ার দ্রুত নষ্ট হওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চালকরা। বর্তমানে এই সড়কের দ্রুত সংস্কার স্থানী সকলের প্রাণের দাবি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সংস্কারের অভাবে রামগঞ্জের সড়কের বেহাল দশা

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোহাম্মদ আলী, রামগঞ্জ:

পিচঢালা পথগুলো একটু বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত মাটির সড়কে পরিণত। কার্পেটিং উঠে নিচের কণা ছিটকে মাটি এখন দৃশ্যমাণ। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরেও নেই কোনও সংস্কারের ছোঁয়া। আবার মাত্রাতিরিক্ত ট্রলি, ট্রাক ও ড্রামট্রাকের যাতায় পিষ্ট গ্রামীন এ সড়কটির বেহাল দশা। ফলে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের পশ্চিম করপাড়ার ছমার ভিডা নামক স্থান থেকে আন্দিরপাড়, আন্দিরপাড়-পাঁচ হাজারী বাড়ি, পাঁচ হাজারী বাড়ি-হাটখোলা ব্রীজ, আন্দিরপাড়-কন্ডাকক্টর বাড়ির ব্রীজ পযর্ন্ত গ্রামীণ সড়ক দীর্ঘ প্রায় ১৮ থেকে ২০ বছরে একবারও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এই সড়কের দ্রুত সংস্কার এলাকার সকলের প্রাণের দাবি।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পুরো সড়ক জুড়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও ট্রলি ও ড্রামট্রাক চলাচলের কারনে সড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো চলাচলে বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের হুমকি দেয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, খানাখন্দে ভরা এসব সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাম-গঞ্জের স্কুল-মাদরাসা ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারন মানুষ। নিত্যদিন পিছু ছাড়ছে না ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, করপাড়া ইউনিয়নভুক্ত ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম করপাড়ার গ্রামের পাঁচহাজারী বাড়ী থেকে হাটখোলা পর্যন্ত প্রায় ১কিলোমিটার, ছমার ভিটা থেকে আন্দিরপাড় বাজার হয়ে কন্ডাক্টর বাড়ির পোলের গোড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার, আন্দিরপাড়ের দর্জি বাড়ি হতে পাঁচ হাজারী বাড়ি পযর্ন্ত প্রায় ১কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কারবিহীন এসব সড়ক সংস্কারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চেষ্টা-তদবির করেও কোনো ফল পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
অটোরিক্সা চালক হালিম, মোস্তফা, রহিম ও সিএনজি চালক মুরাদ, হারুন সহ অনেকেই জানান, ভাঙ্গাচুরার সড়কের কারনে আমরা গাড়ি চালাতে পারিনা। একবার যাতায়াত করলে নাটবল্টু খুলে যায়। অনেক সময় দুইটি গাড়ি একসাথে পারাপার হতে গিয়ে পুকুর বা সড়কের পাশের ডোবানালাতে পতিত হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হতে হয়। রাস্তার বেহাল দশার কারণে গাড়ির টায়ার দ্রুত নষ্ট হওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চালকরা। বর্তমানে এই সড়কের দ্রুত সংস্কার স্থানী সকলের প্রাণের দাবি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন