১০:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

চাকরি করেন চট্টগ্রাম, মামলা খেলেন সিদ্ধিরগঞ্জে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩
  • /
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বসতবাড়ি ও জমি দখলের জেরে দুপক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনার দায়ের হওয়া মামলায় ঘটনাস্থলে না থেকেও আসামি হলেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির চট্টগ্রাম দোহাজারী গ্রীড সাব স্টেশন এর কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুক ওরফে মো: ডালিম। যা ইতিমধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছে তুমুলপর্যায়ে।
জানাযায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) ৭ নং ওয়ার্ডস্থ গ্যাস লাইন এলাকার একটি বসতবাড়ি দখল নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল আমিনুল ইসলাম টুটুল ও তানজিম কবির সজু নামক দুপক্ষের ভেতর। এরই জেরে গত ৭ এপ্রিল রাতে দোকান ও বাড়ি ভাড়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় উভয়পক্ষের মধ্যে। উক্ত সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ৫-৭ জন গুরুতর আহত হন।সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্রই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তানজিম কবির সজুর সহযোগী আল আমিন (৪৪) নামের এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। যাতে ৯ নাম্বার আসামি করা হয়েছে ওমর ফারুক ডালিমকে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ডালিম।
ঘটনাস্থলে না থেকেও মামলার আসামি হওয়া ভুক্তভোগী ওমর ফারুক ডালিম মুঠোফোনে জানান, আমি চট্টগ্রামের দোহাজারি গ্রীড সাব ষ্টেশনে কর্মরত রয়েছি। আমি সিদ্ধিরগঞ্জের মারামারির বিষয়ে কিছুই জানতাম না। যেদিন ঘটনা ঘটেছে তখন আমি আমার কর্মস্থলে ছিলাম। এর তথ্যচিত্র ও প্রমান রয়েছে আমার কাছে। অথচ বিনা অপরাধে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আমাকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে। আমি আইনের প্রতি বিশ্বাসী। আমি বিশ্বাস করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ন্যায় বিচার করবে।
এদিকে শুধু ডালিমই নন অভিযোগ রয়েছে উক্ত মামলার ২ নং আসামি মো: ফারুক ওরফে (টাইগার ফারুক) সংঘর্ষের সময়কালে ছিলেন ইফতারের দাওয়াতে। অথচ তাকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার আরেক আসামি মো: ফারুকের (টাইগার ফারুক) সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, যেদিন সংঘর্ষ হয়েছিল তখন তিনি ইফতার পার্টির দাওয়াতে ছিলেন। কিন্তু তাকেও একই মামলার আসামি করা হয়েছে। তার দাবি এটা অবিচার। এভাবে চললে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে বলেও বলেন তিনি।
এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, উক্ত সংঘর্ষে যারা জড়িত ছিলেন শুধুমাত্র তারা ছাড়া অন্য কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হবে না। এ মামলায় যদি কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানির জন্যে নাম দেয়া হয় তাহলে অবশ্য খতিয়ে দেখা হবে। আমরা এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

চাকরি করেন চট্টগ্রাম, মামলা খেলেন সিদ্ধিরগঞ্জে

আপডেট সময় : ০৬:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বসতবাড়ি ও জমি দখলের জেরে দুপক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনার দায়ের হওয়া মামলায় ঘটনাস্থলে না থেকেও আসামি হলেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির চট্টগ্রাম দোহাজারী গ্রীড সাব স্টেশন এর কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুক ওরফে মো: ডালিম। যা ইতিমধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছে তুমুলপর্যায়ে।
জানাযায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) ৭ নং ওয়ার্ডস্থ গ্যাস লাইন এলাকার একটি বসতবাড়ি দখল নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল আমিনুল ইসলাম টুটুল ও তানজিম কবির সজু নামক দুপক্ষের ভেতর। এরই জেরে গত ৭ এপ্রিল রাতে দোকান ও বাড়ি ভাড়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় উভয়পক্ষের মধ্যে। উক্ত সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ৫-৭ জন গুরুতর আহত হন।সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্রই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তানজিম কবির সজুর সহযোগী আল আমিন (৪৪) নামের এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। যাতে ৯ নাম্বার আসামি করা হয়েছে ওমর ফারুক ডালিমকে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ডালিম।
ঘটনাস্থলে না থেকেও মামলার আসামি হওয়া ভুক্তভোগী ওমর ফারুক ডালিম মুঠোফোনে জানান, আমি চট্টগ্রামের দোহাজারি গ্রীড সাব ষ্টেশনে কর্মরত রয়েছি। আমি সিদ্ধিরগঞ্জের মারামারির বিষয়ে কিছুই জানতাম না। যেদিন ঘটনা ঘটেছে তখন আমি আমার কর্মস্থলে ছিলাম। এর তথ্যচিত্র ও প্রমান রয়েছে আমার কাছে। অথচ বিনা অপরাধে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আমাকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে। আমি আইনের প্রতি বিশ্বাসী। আমি বিশ্বাস করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ন্যায় বিচার করবে।
এদিকে শুধু ডালিমই নন অভিযোগ রয়েছে উক্ত মামলার ২ নং আসামি মো: ফারুক ওরফে (টাইগার ফারুক) সংঘর্ষের সময়কালে ছিলেন ইফতারের দাওয়াতে। অথচ তাকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার আরেক আসামি মো: ফারুকের (টাইগার ফারুক) সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, যেদিন সংঘর্ষ হয়েছিল তখন তিনি ইফতার পার্টির দাওয়াতে ছিলেন। কিন্তু তাকেও একই মামলার আসামি করা হয়েছে। তার দাবি এটা অবিচার। এভাবে চললে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে বলেও বলেন তিনি।
এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, উক্ত সংঘর্ষে যারা জড়িত ছিলেন শুধুমাত্র তারা ছাড়া অন্য কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হবে না। এ মামলায় যদি কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানির জন্যে নাম দেয়া হয় তাহলে অবশ্য খতিয়ে দেখা হবে। আমরা এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন