০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সোলাইমানের লাশ উত্তোলনে রাজি নয় পরিবার

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হাফেজ সোলাইমান হুসাইনের (১৯) লাশ উত্তোলন করতে দেননি মামলার বাদী ও স্বজনরা। আদালতের আদেশে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তামশিদ ইরান খানের উপস্থিতিতে মাদানীনগর মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করতে আসেন তদন্তকারী সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক হাসিনা বেগম।

এ সময় মামলার বাদী ও স্বজনরা লাশ উত্তোলনে বাধা দেন। তারা বলেন, মামলা প্রত্যাহার করবো তবু লাশ উত্তোলন করতে দেব না। পরে আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে যান তদন্ত কর্মকর্তারা।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তামশিদ ইরান খান বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা হাফেজ সোলাইমান হুসাইন হত্যা মামলাটি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৭৬ (২) ধারা আলোকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮নম্বর আমলী আদালত গত ২৭ আগস্ট এক আদেশে লাশ উত্তোলনের জন্য আমাকে নিয়োগ করেন। আমি আদালতের আদেশ পালন করতে আসি। কিন্তু লাশ উত্তোলনে আপত্তি জানায় মামলার বাদী ও স্বজনরা। তখন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের সঙ্গে কথা বলে বাদীকে সময় দেওয়া হয়। পাশাপাশি আইনিপ্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করতে বলেছি। আদালতের সিদ্ধান্তে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মামলার বাদী শামীম কবীর বলেন, সিআইডি থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমি মরদেহ উত্তোলনে আপত্তি জানাই। কারণ সোলাইমানের মা-বাবা লাশ উত্তোলনে রাজি নয়। আদালতের মাধ্যমে সকল কাজ সম্পন্ন করে আজ তারা মরদেহ উত্তোলন করতে আসেন। খবর পেয়ে আমরা কবরস্থানে গিয়ে আপত্তি জানাই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামীম কবির বলেন, মরদেহ উত্তোলন ছাড়া যদি মামলা চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকে তাহলে মামলা চালাব। ব্যবস্থা না থাকলে মামলাটি চালাব না। প্রয়োজনে মামলা প্রত্যাহার করে নেব।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক হাসিনা বেগম বলেন, নিহতের পরিবার মরদেহ উত্তোলনে রাজি নয়। তাই বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সমাধানের জন্য তাদের সময় দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর যাত্রবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সোলাইমান নিহত হয় বলে উল্লেখ রয়েছে কবরের নাম ফলকে। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সামনে ঘটনাস্থল দেখিয়ে ২২ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভগ্নিপতি শামীম কবির। নিহত সোলাইমান মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার কবিরাজপুর গ্রামের মিরাজের ছেলে। তিনি ঢাকার মিরপুর এলাকার দারুর রাসাত মাদ্রাসার শিক্ষাথী ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সোলাইমানের লাশ উত্তোলনে রাজি নয় পরিবার

আপডেট সময় : ০৭:১৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হাফেজ সোলাইমান হুসাইনের (১৯) লাশ উত্তোলন করতে দেননি মামলার বাদী ও স্বজনরা। আদালতের আদেশে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তামশিদ ইরান খানের উপস্থিতিতে মাদানীনগর মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করতে আসেন তদন্তকারী সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক হাসিনা বেগম।

এ সময় মামলার বাদী ও স্বজনরা লাশ উত্তোলনে বাধা দেন। তারা বলেন, মামলা প্রত্যাহার করবো তবু লাশ উত্তোলন করতে দেব না। পরে আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে যান তদন্ত কর্মকর্তারা।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তামশিদ ইরান খান বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা হাফেজ সোলাইমান হুসাইন হত্যা মামলাটি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৭৬ (২) ধারা আলোকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮নম্বর আমলী আদালত গত ২৭ আগস্ট এক আদেশে লাশ উত্তোলনের জন্য আমাকে নিয়োগ করেন। আমি আদালতের আদেশ পালন করতে আসি। কিন্তু লাশ উত্তোলনে আপত্তি জানায় মামলার বাদী ও স্বজনরা। তখন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের সঙ্গে কথা বলে বাদীকে সময় দেওয়া হয়। পাশাপাশি আইনিপ্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করতে বলেছি। আদালতের সিদ্ধান্তে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মামলার বাদী শামীম কবীর বলেন, সিআইডি থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমি মরদেহ উত্তোলনে আপত্তি জানাই। কারণ সোলাইমানের মা-বাবা লাশ উত্তোলনে রাজি নয়। আদালতের মাধ্যমে সকল কাজ সম্পন্ন করে আজ তারা মরদেহ উত্তোলন করতে আসেন। খবর পেয়ে আমরা কবরস্থানে গিয়ে আপত্তি জানাই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামীম কবির বলেন, মরদেহ উত্তোলন ছাড়া যদি মামলা চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকে তাহলে মামলা চালাব। ব্যবস্থা না থাকলে মামলাটি চালাব না। প্রয়োজনে মামলা প্রত্যাহার করে নেব।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক হাসিনা বেগম বলেন, নিহতের পরিবার মরদেহ উত্তোলনে রাজি নয়। তাই বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সমাধানের জন্য তাদের সময় দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর যাত্রবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সোলাইমান নিহত হয় বলে উল্লেখ রয়েছে কবরের নাম ফলকে। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সামনে ঘটনাস্থল দেখিয়ে ২২ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভগ্নিপতি শামীম কবির। নিহত সোলাইমান মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার কবিরাজপুর গ্রামের মিরাজের ছেলে। তিনি ঢাকার মিরপুর এলাকার দারুর রাসাত মাদ্রাসার শিক্ষাথী ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন