বিদ্যুৎ সুবিধা বজায় রাখতে সমন্বয় করতে হবে: সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
- আপডেট সময় : ০৭:১৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১১৮
প্রতিদিনের নিউজ :
আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুতে যথেষ্ট ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। এই ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমাতে চাই। সে কারণে সমন্বয় করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধা যদি বজায় রাখতে চাই, তাহলে আমাদের সমন্বয় করতে হবে। শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দিনে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হতো। আর বিদ্যুতের দাম পাঁচ বছরে তারা ৯ বার বাড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে বিএনপি সিন্ডিকেট লালন-পালন করেছ এবং মজুতদারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকার ছিল ব্যবসায়ী সরকার। আর আওয়ামী লীগ ব্যবসা করতে আসেনি। এখানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার হাল ছেড়ে দিয়েছে, এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই। যে অশুভ চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জনঅসন্তোষের কারণ সৃষ্টি করছে, তাদের কোনো অবস্থায়ই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই জোরালোভাবে সেটি বলেছেন।
‘বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে এবং আন্দোলনে সরকারের পতন অবশ্যই হবে’- বিএনপির এক নেতার এমন মন্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে দেশে একটা নির্বাচন হয়ে গেলো। তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের মহড়া দিয়েছে। আগুন সন্ত্রাস করেছে। কত ভয়ংকর বিএনপি হতে পারে সেটা তারা করে দেখিয়েছে। জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল না বলে অতীতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
বিএনপি একসময় তাদের ভুল স্বীকার করবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে না আসাটা বিএনপির সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। এখন তারা উপলব্ধি করবে।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি দলগতভাবে অংশ না নিলেও তৃণমূল নেতারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নির্বাচন করবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে দলটির মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছে। আমরা দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করছি না। এমন অবস্থায় স্বতন্ত্র পরিচয়ে বিএনপির অনেকে নির্বাচন করবে। দলীয়ভাবে যাই করুক, যারা তৃণমূলে আছেন তাদের অস্তিত্বের বিষয় আছে। তৃণমূলে অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকার প্রশ্ন আছে। আমার ধারণা বিএনপির অনেকেই অংশ নেবে।
অর্থনৈতিক সংকট আছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এজন্য আমরা দায়ী নই। বিশ্বে যুদ্ধ যেভাবে প্রসারিত হচ্ছে, তাতে অর্থনীতির ওপর প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট তৎপরতায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন, তার আলোকে সবাই কাজ করছে। বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এক মন্ত্রীর বিপুল অর্থ সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না। তিনি মন্ত্রী হন আর যেই হোন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, এবার নির্বাচনে যত বেশি বিদেশি খেলা হয়েছে, তখনো ভারত আমাদের পাশে ছিল। এখানে শেখ হাসিনাকে নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন কেন আসবে? বন্ধু বন্ধুর মতো থাকবে। সহযোগিতার অর্থ নিয়ন্ত্রণ নয়। পারস্পরিক সহযোগিতা, সমন্বয় এখন খুবই জরুরি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।