০১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

চাটখিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষক সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
  • / ১৮
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোজাম্মেল হক লিটন:

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ দিন ব্যাপী উপজেলা মাঠে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির চাটখিল উপজেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
ভীমপুর উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক এব্যাপারে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বুধবার শবে বরাতের ছুটি, বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য স্কুল বন্ধ এবং শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এতে ৫দিন পর রোববার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা। একদিকে করোনা কালীন শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে অন্যদিকে এখন সাপ্তাহে দুদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি। ছুটির দিনে শিক্ষক সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান না করে স্কুল বন্ধ করে দিয়ে অনুষ্ঠান করা অযোক্তিক। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহ অফিসের কর্মকর্তারা প্রধান শিক্ষকদেরকে স্কুল বন্ধ রেখে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক নিয়ে এই অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ফোন করে নির্দেশ দেন। তাদের এই নির্দেশে উপজেলার ২৬টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে অনুষ্ঠানে যোগদান করে। অন্য ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- কড়িহাটি, হাটপুকুরিয়া, কুলশ্রী, মোহাম্মদপুর ওমর আলী, পরকোট দশঘরিয়া, সিংহবাহুড়া, সপ্তগাঁও আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় খোলা রেখেছেন। তারা এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেনি। কড়িহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন ও হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ জানান, নিয়মানুযায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারেন না। তাছাড়া এটি একটি সংগঠনিক প্রোগ্রাম কোন সরকারি প্রোগ্রাম নয়। তাই তারা স্কুল বন্ধ না রেখে শ্রেনীর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসানুল উল্ল্যা চৌধুরীর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করার পর এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে কল কেটে দেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারেন না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

চাটখিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষক সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৭:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোজাম্মেল হক লিটন:

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ দিন ব্যাপী উপজেলা মাঠে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির চাটখিল উপজেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
ভীমপুর উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক এব্যাপারে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বুধবার শবে বরাতের ছুটি, বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য স্কুল বন্ধ এবং শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এতে ৫দিন পর রোববার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা। একদিকে করোনা কালীন শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে অন্যদিকে এখন সাপ্তাহে দুদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি। ছুটির দিনে শিক্ষক সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান না করে স্কুল বন্ধ করে দিয়ে অনুষ্ঠান করা অযোক্তিক। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহ অফিসের কর্মকর্তারা প্রধান শিক্ষকদেরকে স্কুল বন্ধ রেখে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক নিয়ে এই অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ফোন করে নির্দেশ দেন। তাদের এই নির্দেশে উপজেলার ২৬টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে অনুষ্ঠানে যোগদান করে। অন্য ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- কড়িহাটি, হাটপুকুরিয়া, কুলশ্রী, মোহাম্মদপুর ওমর আলী, পরকোট দশঘরিয়া, সিংহবাহুড়া, সপ্তগাঁও আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় খোলা রেখেছেন। তারা এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেনি। কড়িহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন ও হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ জানান, নিয়মানুযায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারেন না। তাছাড়া এটি একটি সংগঠনিক প্রোগ্রাম কোন সরকারি প্রোগ্রাম নয়। তাই তারা স্কুল বন্ধ না রেখে শ্রেনীর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসানুল উল্ল্যা চৌধুরীর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করার পর এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে কল কেটে দেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারেন না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন