০৯:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ২১
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মো নাহিদ হাসান নওগাঁ:

টানা তিন দিন দেশের নওগাঁয় বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। হাড়কাপানো শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এই জনপদের মানুষ। সকালেই কুয়াশার পরিমান কমে রোদের দেখা মিললেও উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রভাবে শীত অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি শীত মৌসুমে সারা দেশে রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর গতকাল বুধবার উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে চলতি শীত মৌসুমে এর আগে নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামেনি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে সেটিকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে বিরাজ করলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে ডিসেম্বরের শেষ দশ দিন ও চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে নওগাঁয় একাধিকবার মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও গত সোমবার থেকে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। দিনের প্রথম ভাগে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তরের হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এদিকে কনকনে শীতের কারণে জনজীবন অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকায় আজ সকাল ১০টায় দিকে কথা হয় রিকশাচালক খবির উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রোদ উঠিছে তারপরেও ঠান্ডার চোটত হাত-পা ক্যান-ক্যান করিচ্ছি। মনে হচ্ছে হাত-পার রগ জড়ে যাচ্ছে। ঠান্ডার জন্য হাত দিয়ে রিকশার হ্যান্ডেল ঠিক মতোন ধরতে পারিচ্ছি না। ইকশা চালানাই কঠিন হয়ে পড়ছে।

আজ সকালে শহরের ব্রিজের মোড়ে কাজের ধরার জন্য অন্য আরও কয়েকজন দিনমজুরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সদর উপজেলার ইকরকুড়ি গ্রামের মিরাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘তিন-চার দিন ধরে অতিরিক্ত ঠান্ডায় কারণে বাড়িত থ্যাকে ব্যার হয়নি। আজকে সকালে যদিও খুব ঠান্ডা লাগছে, তারপরও সকালে রোদ ওঠায় কাজ করতে বাড়িত থ্যাকে ব্যার হয়ে আসিছি। কিন্তু ব্যার হয়ে দেখি ব্যাপক বাতাস করোছে। শীতের চোটত গায়ে চাদর দিয়ে ঠান্ডা কমোছে না।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার থেকে নওগাঁয় তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রয়েছে। মাঝারি ধরণের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তরের হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় রোদ উঠলেও শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। এ ধরণের আবহাওয়া আরও দুই-তিন থাকতে পারে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মো নাহিদ হাসান নওগাঁ:

টানা তিন দিন দেশের নওগাঁয় বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। হাড়কাপানো শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এই জনপদের মানুষ। সকালেই কুয়াশার পরিমান কমে রোদের দেখা মিললেও উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রভাবে শীত অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি শীত মৌসুমে সারা দেশে রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর গতকাল বুধবার উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে চলতি শীত মৌসুমে এর আগে নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামেনি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে সেটিকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে বিরাজ করলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে ডিসেম্বরের শেষ দশ দিন ও চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে নওগাঁয় একাধিকবার মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও গত সোমবার থেকে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। দিনের প্রথম ভাগে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তরের হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এদিকে কনকনে শীতের কারণে জনজীবন অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকায় আজ সকাল ১০টায় দিকে কথা হয় রিকশাচালক খবির উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রোদ উঠিছে তারপরেও ঠান্ডার চোটত হাত-পা ক্যান-ক্যান করিচ্ছি। মনে হচ্ছে হাত-পার রগ জড়ে যাচ্ছে। ঠান্ডার জন্য হাত দিয়ে রিকশার হ্যান্ডেল ঠিক মতোন ধরতে পারিচ্ছি না। ইকশা চালানাই কঠিন হয়ে পড়ছে।

আজ সকালে শহরের ব্রিজের মোড়ে কাজের ধরার জন্য অন্য আরও কয়েকজন দিনমজুরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সদর উপজেলার ইকরকুড়ি গ্রামের মিরাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘তিন-চার দিন ধরে অতিরিক্ত ঠান্ডায় কারণে বাড়িত থ্যাকে ব্যার হয়নি। আজকে সকালে যদিও খুব ঠান্ডা লাগছে, তারপরও সকালে রোদ ওঠায় কাজ করতে বাড়িত থ্যাকে ব্যার হয়ে আসিছি। কিন্তু ব্যার হয়ে দেখি ব্যাপক বাতাস করোছে। শীতের চোটত গায়ে চাদর দিয়ে ঠান্ডা কমোছে না।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার থেকে নওগাঁয় তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রয়েছে। মাঝারি ধরণের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তরের হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় রোদ উঠলেও শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। এ ধরণের আবহাওয়া আরও দুই-তিন থাকতে পারে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন