০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

ফাইতংয়ে ৪র্থ ইসলামী মহা সম্মেলন্ন সম্পন্ন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাহফূজুল করিম, বান্দরবান

বান্দরবানের লামায় ফাইতং আল-ইখওয়ান ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ৪র্থ ইসলামী মহাসম্মেন এ.কে খান প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান মেহমান হিসেবে আলোচনা করেন জমিরিয়া কাসেমুল উলুম আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা কাজী আখতার হোসাইন। প্রধান বক্তার আলেচনা করেন মারকাজুদ চকরিয়া দাওয়া ওয়াল ইরশাদ এর পরিচালক মাওলানা মুস্তফা নূরী।

১৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার প্রধান মেহমানের বয়ানে কাজী আখতার হোসাইন বলেন, সত্যের উপর অটল থাকলে সাময়িক কষ্ট হলেও চিরদিনের জন্য রয়েছে শান্তি। সত্যের উপর অটল থাকলে আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করবেন, পুরষ্কৃত করবেন। তাবুক যুদ্ধে কা’ব (র:) ও সাথীদের তওবা কবুলের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কা‘ব (রাঃ) বলেন, আমরা তিনজন সেসব লোকদের থেকে আলাদা, যারা তাদের যুদ্ধে না যাওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে মিথ্যা শপথ করেছিল এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাদের কথা মেনে নিয়ে তাদেরকে বায়‘আত করিয়েছিলেন এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু আমাদের ব্যাপারটি তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন (আল্লাহর উপর)। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ যে ব্যাপারে ফায়ছালা দিয়েছিলেন, সে ব্যাপারে তিনি বলেছিলেন, ‘সেই তিনজন, যারা পেছনে থেকে গিয়েছিল’ (তওবা ১১৮)। (অর্থাৎ আল্লাহ তাদেরকে মাফ করে দিয়েছিলেন) নির্জন একাকিত্বের সাথে ৫০তম দিন অতিবাহিত করার পরই আসলো তাদের সু-সংবাদ।

এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষনীয় বিষয় হলো-
১. সত্য কথা বিপদ থেকে মুক্তি দেয়।
২. কোন আনন্দের সংবাদে দিশেহারা না হয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা উচিৎ।
৩. মুমিন ব্যক্তি তার কর্তব্য পালনে অবহেলা করলে ব্যথিত-মর্মাহত হয়।
৪. মুমিন তার ভাইকে কখনো লাঞ্ছিত-অপদস্থ-অপমানিত করবে না; বরং তার মান-সম্মান রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
৫. মুমিন ব্যক্তি কোন প্রলোভনে পড়ে তার দ্বীন-ধর্মকে বিকিয়ে দিতে পারে না।
এছাড়া ও দাওয়াতী উদ্দ্যশ্যে দিনব্যাপী ঈমান আকিদা ও আমলের ব্যাপারে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পেশ করেন ক্বারী নুরুচ্ছুলতান পীর সাহেব, মাওলানা রাকেবুল হাছান, মাওলান শরীফুল ইসলাম সাহেব, খতিব, চট্টগ্রাম রেলওয়ে কলোনী জামে মসজিদ।

উক্ত সম্মেলনে মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল জলিল কোম্পানি, হেলাল উদ্দীন বি.এ প্রমুখ।

সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম সদস্য রিদুয়ানুল করিম বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষদের ইসলামী জ্ঞান সম্পর্কে জাগ্রত করার লক্ষে ও দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানোর উদ্দ্যশ্যেই আমাদের ইখওয়ানের যাত্রা। আমাদের যে সকল সদস্যবৃন্দ সম্মেলন বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রম করেছেন, অর্থ দিয়ে সহযোগীতা করেছেন তাদেরকে শুকরিয়া জানাচ্ছি। আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ফাইতংয়ে ৪র্থ ইসলামী মহা সম্মেলন্ন সম্পন্ন

আপডেট সময় : ১০:৫১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাহফূজুল করিম, বান্দরবান

বান্দরবানের লামায় ফাইতং আল-ইখওয়ান ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ৪র্থ ইসলামী মহাসম্মেন এ.কে খান প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান মেহমান হিসেবে আলোচনা করেন জমিরিয়া কাসেমুল উলুম আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা কাজী আখতার হোসাইন। প্রধান বক্তার আলেচনা করেন মারকাজুদ চকরিয়া দাওয়া ওয়াল ইরশাদ এর পরিচালক মাওলানা মুস্তফা নূরী।

১৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার প্রধান মেহমানের বয়ানে কাজী আখতার হোসাইন বলেন, সত্যের উপর অটল থাকলে সাময়িক কষ্ট হলেও চিরদিনের জন্য রয়েছে শান্তি। সত্যের উপর অটল থাকলে আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করবেন, পুরষ্কৃত করবেন। তাবুক যুদ্ধে কা’ব (র:) ও সাথীদের তওবা কবুলের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কা‘ব (রাঃ) বলেন, আমরা তিনজন সেসব লোকদের থেকে আলাদা, যারা তাদের যুদ্ধে না যাওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে মিথ্যা শপথ করেছিল এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাদের কথা মেনে নিয়ে তাদেরকে বায়‘আত করিয়েছিলেন এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু আমাদের ব্যাপারটি তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন (আল্লাহর উপর)। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ যে ব্যাপারে ফায়ছালা দিয়েছিলেন, সে ব্যাপারে তিনি বলেছিলেন, ‘সেই তিনজন, যারা পেছনে থেকে গিয়েছিল’ (তওবা ১১৮)। (অর্থাৎ আল্লাহ তাদেরকে মাফ করে দিয়েছিলেন) নির্জন একাকিত্বের সাথে ৫০তম দিন অতিবাহিত করার পরই আসলো তাদের সু-সংবাদ।

এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষনীয় বিষয় হলো-
১. সত্য কথা বিপদ থেকে মুক্তি দেয়।
২. কোন আনন্দের সংবাদে দিশেহারা না হয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা উচিৎ।
৩. মুমিন ব্যক্তি তার কর্তব্য পালনে অবহেলা করলে ব্যথিত-মর্মাহত হয়।
৪. মুমিন তার ভাইকে কখনো লাঞ্ছিত-অপদস্থ-অপমানিত করবে না; বরং তার মান-সম্মান রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
৫. মুমিন ব্যক্তি কোন প্রলোভনে পড়ে তার দ্বীন-ধর্মকে বিকিয়ে দিতে পারে না।
এছাড়া ও দাওয়াতী উদ্দ্যশ্যে দিনব্যাপী ঈমান আকিদা ও আমলের ব্যাপারে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পেশ করেন ক্বারী নুরুচ্ছুলতান পীর সাহেব, মাওলানা রাকেবুল হাছান, মাওলান শরীফুল ইসলাম সাহেব, খতিব, চট্টগ্রাম রেলওয়ে কলোনী জামে মসজিদ।

উক্ত সম্মেলনে মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল জলিল কোম্পানি, হেলাল উদ্দীন বি.এ প্রমুখ।

সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম সদস্য রিদুয়ানুল করিম বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষদের ইসলামী জ্ঞান সম্পর্কে জাগ্রত করার লক্ষে ও দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানোর উদ্দ্যশ্যেই আমাদের ইখওয়ানের যাত্রা। আমাদের যে সকল সদস্যবৃন্দ সম্মেলন বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রম করেছেন, অর্থ দিয়ে সহযোগীতা করেছেন তাদেরকে শুকরিয়া জানাচ্ছি। আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন