০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

রাজশাহী অঞ্চলে চিকিৎসায় অনাস্থা রোগীদের, ছুটছেন ভারতে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৭
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সোহেল রানা, রাজশাহী

কোমরের ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন মাজেদুর রহমান। পুঠিয়া উপজেলার ভাল্লুকগাছী গ্রামে বাড়ি তাঁর। রাজশাহীর বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা সেবা নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু কোন কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। উপায়ন্তর না পেয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর জন্য কয়দিন আগে পাসপোর্ট করতে আবেদন করেছেন। জরুরী পাসপোর্টটি পেলেই ভিসার জন্য আবেদন করবেন মাজেদুর।

মাজেদুর বলেন, ‘আমি আর রাজশাহীর চিকিৎসকদের ওপর ভরসা পাচ্ছি না। ব্যাথার যন্ত্রণায় রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারি না। এভাবে কতদিন বাঁচবো? সবাই বলছে ভারত গেলে আমি ভালো হয়ে যাবো। তাই পাসর্পোটের জন্য আবেদন করেছি। পাসপোর্ট হাতে পেলেই ভিসা করে ভারত যাবো চিকিৎসা করাতে। হাতে তেমন টাকা নেই। একটা জমি কট (বন্ধক) রেখে হলেও ভারতে যাবো।’

শুধু মাজেদুর রহমানই নন, জটিল রোগ নিয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় এমন আস্থাহীনতায় ভূগছেন রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জসহ এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। আর এসব মানুষের যাদের এতটুকু সামার্থ আছে, তাঁরাই ছুটছেন ভারতে। ভারতের ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, কলাকতা, ভেলোরের হাসপাতালগুলোতে ছুটছেন তাঁরা। এসব হাসপাতালে বাংলাদেশী রোগী এবং স্বজনদের ভীড় যেন লেগেই থাকে।

অনুসন্ধান ও ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেবল গত ৬ মাসেই রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের দপ্তরে মেডিক্যাল ভিসা দেওয়া হয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার। আর ট্যুরিস্ট (ভ্রমণ) ভিসা দেওয়া হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। সেই হিসেবে প্রতি মাসে গড়ে অন্তত সাড়ে ১২ হাজার হাজার চিকিৎসা ভিসা এবং সাড়ে ৮ হাজার ভ্রমণ ভিসার আবেদন জমা পড়ছে রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের দপ্তরে। ভারতে ভ্রমণ ভিসায় গিয়েও চিকিৎসা করাতে পারেন। ফলে এ ক্ষেত্রেও অনেকেই ভ্রমণ ভিসা নিয়ে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন। তবে এসব ক্ষেত্রে সাধারণ রোগের চিকিৎসায় করাচ্ছেন। ফলে গড়ে অন্তত ১৫ হাজার রোগী ভারতে চিকিৎসা করানোর জন্য ছুটছেন শুধুমাত্র রাজশাহী অঞ্চল থেকেই।

ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করতেই ব্যাংক হিসেবে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা অথবা সমপরিমাণ টাকার ডলার ইন্ডোসমেন্ট করতে হয়। এর বাইরেও অতিরিক্ত কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা করে নিয়ে যান রোগীরা। ভারতে থাকা, খাওয়া, যাতায়াত, চিকিৎসা খরচসহ অনেকেই কেনাকেটা করেও দেশে ফেরেন। ফলে গড়ে একেক জন রোগীর পেছনে অন্তত ৫০ হাজার টাকা করে খরচ হলেও প্রতি মাসে শত কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে। আর বছরে সেটি গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ১২শ কোটি টাকায়। এর বাইরে অনেকেই ভারতের কিছুই চেনেন না বলে দেশ থেকেই গাইড (সহযোগী) নিয়ে যান। তাঁদের পেছনেও মোটা টাকা ব্যয় করতে হয় ওই রোগী বা তাঁর অভিভাবককে।

রাজশাহীর সাংবাদিক বদরুল হাসান লিটন বলেন, ‘আমার বুকের ব্যাথার জন্য রাজশাহী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। চিকিৎসকরা অনেকগুলো ওষুধ দিয়েছিল। মাঝে কিছুদিন ভালো ছিলাম। পরে আবারো সমস্যা দেখা দেয়। এর পর আর আস্থা না পেয়ে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে চিকিৎসা করাচ্ছি। দ্বিতীয় বারের মতো ফলোআপ চিকিৎসা করাতে এখন ভারতে অবস্থান করছি। আমার স্ত্রীর চোখের সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকেও ভারতে চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসেছি।’

আল মামুন মবিন নামের আরেকজন বলেন, আমার স্ত্রীর পায়ের গোড়ালির সমস্যা। রাজশাহীতে অনেক চিকিৎসা করেয়েছি। কোনো লাভ হয়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, অপারেশন করাতে হবে। কিন্তু এখানে অপারেশন করাতে সাহস পাচ্ছি না। তাই ভারতীয় ভিসা করেছি। এখন যে কোনো দিন স্ত্রীকে নিয়ে ভারতে নিয়ে যাবো।’

রাজশাহীর তেরোখাদিয়া এলাকার সোহাগ আলী নামের আরেকজন ভুগছেন হ্যামিস্ট্রিংয়ের রোগে। তিনিও ভিসা করে রেখেছেন। এখন বিছানাগত। একটু সুস্থ হলেই ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানান এই প্রতিবেদককে।

এদিকে রাজশাহী অঞ্চল থেকে যেন সহজেই রোগীরা ভারতে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়ে আসতে পারেন, তার জন্য ভিসাও সহজীকরণ করেছেন বর্তমান ভারতীয় সহকারী কমিশনার মনোজ কুমার। তিনি রাজশাহীতে যোগদানের পর থেকেই গত দুই মাসেই মাত্র তিন দিনের মাথায় চিকিৎসা ভিসা ছাড় করার ব্যবস্থা করছেন। এতে করে ক্যান্সার, কিডনীসহ জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা দ্রুত ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন।

রাজশাহী অঞ্চলে চিকিৎসায় রোগীদের আস্থাহীনতার বিষয়টি স্বীকার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক নওসাদ আলী বলেন, ‘রাজশাহী হাসপাতালটি ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। সেই থেকে এখনো পুরনো জনবল কাঠামোসহ সেই ধাচেই চিকিৎসা ব্যবস্থা চলে আসছে। রাজশাহীতে সরকারি-বেসরকারী কোনো পর্যায়েই আধুনিক চিকিৎসাসেবার মান তেমন বৃদ্ধি হয়নি। আধুনিক চিকিৎসাসেবার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি থাকার কথা, সেগুলোর তেমন কিছুই নাই। ফলে চিকিৎসাসেবায় আধুনিকায়ন করা গেলে ভারতে যে পরিমাণ রোগী যাচ্ছেন, তাঁরা আর যাবেন না।’

তিনি আরও বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, অধিকাংশ রোগীই ভারতে চিকিৎসা নিতে যান ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যা নিয়ে। এই দুটি চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে তেমন কোনো উন্নত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এমনকি এখন যে হারে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সেই রোগের চিকিৎসার জন্য রেডিও থেরাপিরও সু-ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি রাজশাহীতে। ফলে এই দুটি রোগে আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই ছুটছেন ভারতে। আবার অনেক বিত্তশালীরা ছোট ছোট রোগের চিকিৎসা করাতেও যাচ্ছেন। যার কারণে ভারতীয় মেডিক্যাল ভিসার চাপ বাড়ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

রাজশাহী অঞ্চলে চিকিৎসায় অনাস্থা রোগীদের, ছুটছেন ভারতে

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সোহেল রানা, রাজশাহী

কোমরের ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন মাজেদুর রহমান। পুঠিয়া উপজেলার ভাল্লুকগাছী গ্রামে বাড়ি তাঁর। রাজশাহীর বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা সেবা নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু কোন কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। উপায়ন্তর না পেয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর জন্য কয়দিন আগে পাসপোর্ট করতে আবেদন করেছেন। জরুরী পাসপোর্টটি পেলেই ভিসার জন্য আবেদন করবেন মাজেদুর।

মাজেদুর বলেন, ‘আমি আর রাজশাহীর চিকিৎসকদের ওপর ভরসা পাচ্ছি না। ব্যাথার যন্ত্রণায় রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারি না। এভাবে কতদিন বাঁচবো? সবাই বলছে ভারত গেলে আমি ভালো হয়ে যাবো। তাই পাসর্পোটের জন্য আবেদন করেছি। পাসপোর্ট হাতে পেলেই ভিসা করে ভারত যাবো চিকিৎসা করাতে। হাতে তেমন টাকা নেই। একটা জমি কট (বন্ধক) রেখে হলেও ভারতে যাবো।’

শুধু মাজেদুর রহমানই নন, জটিল রোগ নিয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় এমন আস্থাহীনতায় ভূগছেন রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জসহ এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। আর এসব মানুষের যাদের এতটুকু সামার্থ আছে, তাঁরাই ছুটছেন ভারতে। ভারতের ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, কলাকতা, ভেলোরের হাসপাতালগুলোতে ছুটছেন তাঁরা। এসব হাসপাতালে বাংলাদেশী রোগী এবং স্বজনদের ভীড় যেন লেগেই থাকে।

অনুসন্ধান ও ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেবল গত ৬ মাসেই রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের দপ্তরে মেডিক্যাল ভিসা দেওয়া হয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার। আর ট্যুরিস্ট (ভ্রমণ) ভিসা দেওয়া হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। সেই হিসেবে প্রতি মাসে গড়ে অন্তত সাড়ে ১২ হাজার হাজার চিকিৎসা ভিসা এবং সাড়ে ৮ হাজার ভ্রমণ ভিসার আবেদন জমা পড়ছে রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের দপ্তরে। ভারতে ভ্রমণ ভিসায় গিয়েও চিকিৎসা করাতে পারেন। ফলে এ ক্ষেত্রেও অনেকেই ভ্রমণ ভিসা নিয়ে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন। তবে এসব ক্ষেত্রে সাধারণ রোগের চিকিৎসায় করাচ্ছেন। ফলে গড়ে অন্তত ১৫ হাজার রোগী ভারতে চিকিৎসা করানোর জন্য ছুটছেন শুধুমাত্র রাজশাহী অঞ্চল থেকেই।

ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করতেই ব্যাংক হিসেবে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা অথবা সমপরিমাণ টাকার ডলার ইন্ডোসমেন্ট করতে হয়। এর বাইরেও অতিরিক্ত কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা করে নিয়ে যান রোগীরা। ভারতে থাকা, খাওয়া, যাতায়াত, চিকিৎসা খরচসহ অনেকেই কেনাকেটা করেও দেশে ফেরেন। ফলে গড়ে একেক জন রোগীর পেছনে অন্তত ৫০ হাজার টাকা করে খরচ হলেও প্রতি মাসে শত কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে। আর বছরে সেটি গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ১২শ কোটি টাকায়। এর বাইরে অনেকেই ভারতের কিছুই চেনেন না বলে দেশ থেকেই গাইড (সহযোগী) নিয়ে যান। তাঁদের পেছনেও মোটা টাকা ব্যয় করতে হয় ওই রোগী বা তাঁর অভিভাবককে।

রাজশাহীর সাংবাদিক বদরুল হাসান লিটন বলেন, ‘আমার বুকের ব্যাথার জন্য রাজশাহী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। চিকিৎসকরা অনেকগুলো ওষুধ দিয়েছিল। মাঝে কিছুদিন ভালো ছিলাম। পরে আবারো সমস্যা দেখা দেয়। এর পর আর আস্থা না পেয়ে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে চিকিৎসা করাচ্ছি। দ্বিতীয় বারের মতো ফলোআপ চিকিৎসা করাতে এখন ভারতে অবস্থান করছি। আমার স্ত্রীর চোখের সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকেও ভারতে চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসেছি।’

আল মামুন মবিন নামের আরেকজন বলেন, আমার স্ত্রীর পায়ের গোড়ালির সমস্যা। রাজশাহীতে অনেক চিকিৎসা করেয়েছি। কোনো লাভ হয়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, অপারেশন করাতে হবে। কিন্তু এখানে অপারেশন করাতে সাহস পাচ্ছি না। তাই ভারতীয় ভিসা করেছি। এখন যে কোনো দিন স্ত্রীকে নিয়ে ভারতে নিয়ে যাবো।’

রাজশাহীর তেরোখাদিয়া এলাকার সোহাগ আলী নামের আরেকজন ভুগছেন হ্যামিস্ট্রিংয়ের রোগে। তিনিও ভিসা করে রেখেছেন। এখন বিছানাগত। একটু সুস্থ হলেই ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানান এই প্রতিবেদককে।

এদিকে রাজশাহী অঞ্চল থেকে যেন সহজেই রোগীরা ভারতে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়ে আসতে পারেন, তার জন্য ভিসাও সহজীকরণ করেছেন বর্তমান ভারতীয় সহকারী কমিশনার মনোজ কুমার। তিনি রাজশাহীতে যোগদানের পর থেকেই গত দুই মাসেই মাত্র তিন দিনের মাথায় চিকিৎসা ভিসা ছাড় করার ব্যবস্থা করছেন। এতে করে ক্যান্সার, কিডনীসহ জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা দ্রুত ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন।

রাজশাহী অঞ্চলে চিকিৎসায় রোগীদের আস্থাহীনতার বিষয়টি স্বীকার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক নওসাদ আলী বলেন, ‘রাজশাহী হাসপাতালটি ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। সেই থেকে এখনো পুরনো জনবল কাঠামোসহ সেই ধাচেই চিকিৎসা ব্যবস্থা চলে আসছে। রাজশাহীতে সরকারি-বেসরকারী কোনো পর্যায়েই আধুনিক চিকিৎসাসেবার মান তেমন বৃদ্ধি হয়নি। আধুনিক চিকিৎসাসেবার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি থাকার কথা, সেগুলোর তেমন কিছুই নাই। ফলে চিকিৎসাসেবায় আধুনিকায়ন করা গেলে ভারতে যে পরিমাণ রোগী যাচ্ছেন, তাঁরা আর যাবেন না।’

তিনি আরও বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, অধিকাংশ রোগীই ভারতে চিকিৎসা নিতে যান ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যা নিয়ে। এই দুটি চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে তেমন কোনো উন্নত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এমনকি এখন যে হারে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সেই রোগের চিকিৎসার জন্য রেডিও থেরাপিরও সু-ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি রাজশাহীতে। ফলে এই দুটি রোগে আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই ছুটছেন ভারতে। আবার অনেক বিত্তশালীরা ছোট ছোট রোগের চিকিৎসা করাতেও যাচ্ছেন। যার কারণে ভারতীয় মেডিক্যাল ভিসার চাপ বাড়ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন