১২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • / ৬৫
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার ভয়ংকর মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির’সহ মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। রবিবার (৫ মে) নারায়ণগঞ্জস্থ আড়াইহাজার খানা এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১১ এর এএসপি ও মিডিয়া অফিসার সনদ বড়ুয়া।

গ্রেপ্তারকৃত মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা হলেন, মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মো: রিজাউল ফকিরের ছেলে চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির (৪২), মৃত আলিম উদ্দিন ফকিরের ছেলে রিজাউল ফকির (৬৫) এবং রিজাউল ফকির স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৫৫)।

বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানান, তারা তদন্ত সূত্রে জেনেছে চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির দীর্ঘদিন যাবত লিবিয়া বসবাস করে মানব পাচারের কাজ করে আসছিল। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেকারত্ব ও দারিদ্রে থাকা মানুষদের অসহায়ত্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে বিদেশ পাঠিয়ে ভালো চাকরী দেবার প্রোলভন দেখিয়ে মানব পাচার করে আসতেন। তাদের এই ভয়ংকর কর্মের আরেকজন ভুক্তভোগী ফরিদপুরের ভাংগা থানার গোয়ালদী গ্রামের সহিদুল শেখের ছেলে জুবায়েদ। ভুক্তভোগীকে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালিতে মোটা টাকার বেতনের চাকরীর প্রতিশ্রুতি দেন। তখন এই আসামিদের ফান্দে পরে জুবায়েদের দরিদ্র বাবা-মা নিজের জমি বন্ধক রেখে এবং বিভিন্নভাবে টাকা জোগার করে এই চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগমকে দেন। এরপর ২০২২ সালের আগষ্ট মাসের ২৯ তারিখে তারা যোগসাজসে ভুক্তভোগীকে পাচার করে লিবিয়া পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে জুবায়েদের কোনো সন্ধান না পেয়ে তার পিতা-মাতা মূলহোতা মিলনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে এই প্রতারক ছেলেকে ফিরিয়ে দেবার জন্যে আরো দশ লক্ষ টাকা দাবী করেন।

র‌্যাব আরও জানিয়েছে, এরপর হঠাৎ করে জুবায়েদ একদিন পরিবারকে ফোন করে বলেন সেখানে তাকে প্রচুর অত্যাচার করা হচ্ছে এবং ট্রলারে মাধ্যমে সাগরে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে আতঙ্কিত হয়ে মূলহোতা মিলনকে আরো ৬ লাখ টাকা দেন তারা। তবে টাকা দেওয়া সত্বেও ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে একপর্যায়ে এই আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও বলে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

নারায়ণগঞ্জে মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার ভয়ংকর মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির’সহ মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। রবিবার (৫ মে) নারায়ণগঞ্জস্থ আড়াইহাজার খানা এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১১ এর এএসপি ও মিডিয়া অফিসার সনদ বড়ুয়া।

গ্রেপ্তারকৃত মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা হলেন, মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মো: রিজাউল ফকিরের ছেলে চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির (৪২), মৃত আলিম উদ্দিন ফকিরের ছেলে রিজাউল ফকির (৬৫) এবং রিজাউল ফকির স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৫৫)।

বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানান, তারা তদন্ত সূত্রে জেনেছে চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির দীর্ঘদিন যাবত লিবিয়া বসবাস করে মানব পাচারের কাজ করে আসছিল। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেকারত্ব ও দারিদ্রে থাকা মানুষদের অসহায়ত্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে বিদেশ পাঠিয়ে ভালো চাকরী দেবার প্রোলভন দেখিয়ে মানব পাচার করে আসতেন। তাদের এই ভয়ংকর কর্মের আরেকজন ভুক্তভোগী ফরিদপুরের ভাংগা থানার গোয়ালদী গ্রামের সহিদুল শেখের ছেলে জুবায়েদ। ভুক্তভোগীকে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালিতে মোটা টাকার বেতনের চাকরীর প্রতিশ্রুতি দেন। তখন এই আসামিদের ফান্দে পরে জুবায়েদের দরিদ্র বাবা-মা নিজের জমি বন্ধক রেখে এবং বিভিন্নভাবে টাকা জোগার করে এই চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগমকে দেন। এরপর ২০২২ সালের আগষ্ট মাসের ২৯ তারিখে তারা যোগসাজসে ভুক্তভোগীকে পাচার করে লিবিয়া পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে জুবায়েদের কোনো সন্ধান না পেয়ে তার পিতা-মাতা মূলহোতা মিলনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে এই প্রতারক ছেলেকে ফিরিয়ে দেবার জন্যে আরো দশ লক্ষ টাকা দাবী করেন।

র‌্যাব আরও জানিয়েছে, এরপর হঠাৎ করে জুবায়েদ একদিন পরিবারকে ফোন করে বলেন সেখানে তাকে প্রচুর অত্যাচার করা হচ্ছে এবং ট্রলারে মাধ্যমে সাগরে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে আতঙ্কিত হয়ে মূলহোতা মিলনকে আরো ৬ লাখ টাকা দেন তারা। তবে টাকা দেওয়া সত্বেও ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে একপর্যায়ে এই আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও বলে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন