০৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পপি এনজিও

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:২৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৭
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমনিরহাট সংবাদদাতা:

সারাদেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকসহ মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই নির্দেশণাকে অমান্য করে লালমনিরহাটের ধরলা নদী থেকে দিন/রাত বালু উত্তোলন করে বসতভিটা উচুকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ণ করছে পপি নামের একটি এনজিও। জানা গেছে, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে ২০২০-২৪ অর্থবছরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নে ৫৩৮টি বসতভিটা উচুকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় পপি এনজিও। প্রতিটি বসতভিটা উচুকরণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ হাজার টাকা। কিন্তু সরেজমিনে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট শিবেরকুটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, দিন/রাত ধরলা নদী থেকে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ৫/৭ হাজার টাকায় বসতভিটা উচুকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন সংস্থাটি। শুধু তাই নয় ওই প্রকল্পের আওতাধীন ছাগল পালনে জন্য মাচা নির্মাণ, টিউওবয়েল ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপনে নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে পপি এনজিওর বিরুদ্ধে। এদিকে, অবৈধ বোমা মেশিনের মালিক সবদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করেছে পপি এনজিও কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি বসতভিটায় ৫/৭ হাজার টাকা চুক্তিতে বালু তুলছেন বলেও জানান মেশিন মালিক সবদুল। এ বিষয়ে লালমনিরহাটের পপি এনজিওর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আসলাম উদ্দিন জানান, ডিসি, এসপি, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের মৌখিক অনুমতি নিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এসব প্রকল্প এভাবেই বাস্তবায়ন হয়। এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না, এমনটি হলে প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গাচ্ছে এনজিও টি। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পপি এনজিও

আপডেট সময় : ০৯:২৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমনিরহাট সংবাদদাতা:

সারাদেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকসহ মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই নির্দেশণাকে অমান্য করে লালমনিরহাটের ধরলা নদী থেকে দিন/রাত বালু উত্তোলন করে বসতভিটা উচুকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ণ করছে পপি নামের একটি এনজিও। জানা গেছে, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে ২০২০-২৪ অর্থবছরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নে ৫৩৮টি বসতভিটা উচুকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় পপি এনজিও। প্রতিটি বসতভিটা উচুকরণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ হাজার টাকা। কিন্তু সরেজমিনে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট শিবেরকুটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, দিন/রাত ধরলা নদী থেকে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ৫/৭ হাজার টাকায় বসতভিটা উচুকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন সংস্থাটি। শুধু তাই নয় ওই প্রকল্পের আওতাধীন ছাগল পালনে জন্য মাচা নির্মাণ, টিউওবয়েল ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপনে নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে পপি এনজিওর বিরুদ্ধে। এদিকে, অবৈধ বোমা মেশিনের মালিক সবদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করেছে পপি এনজিও কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি বসতভিটায় ৫/৭ হাজার টাকা চুক্তিতে বালু তুলছেন বলেও জানান মেশিন মালিক সবদুল। এ বিষয়ে লালমনিরহাটের পপি এনজিওর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আসলাম উদ্দিন জানান, ডিসি, এসপি, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের মৌখিক অনুমতি নিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এসব প্রকল্প এভাবেই বাস্তবায়ন হয়। এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না, এমনটি হলে প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গাচ্ছে এনজিও টি। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন