মাহমুদ হাসান রনি :

চুয়াডাঙ্গায় জেলার ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সাথে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার, ২৯ এপ্রিল সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আহসান হাবিব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম- সেবা, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস.এম. রফিকুল ইসলাম,মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান, কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. এ এইচ এম আবদুর রকিব, বিপিএএ, পিপিএম(বার) ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসান, বিপিএম-সেবা, মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক, বিপিএম-বার, পিপিএমসহ জেলা সমূহের পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর কর্মকর্তাগণসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ; চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলার নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ।
প্রধান অতিথি নির্বাচন কমিশনার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আহসান হাবিব আসন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সাথে উন্মুক্ত আলোচনা করেন। তিনি উপস্থিত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের বক্তব্য শ্রবণ করেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিভিন্ন আবেদন আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন আইন যথাযথভাবে মেনে চলার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করেন।
তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, যে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কোন প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান কিংবা পক্ষপাতিত্ব করলে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর। পরিশেষে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।