১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

ময়মনসিংহে ফসলের সাথে শত্রুতা,ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:৩২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • /
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ষ্টাফ রিপোর্টার :

ময়মনসিংহ সদরের পুর্ব পরিকল্পিতভাবে আবু বক্কর ছিদ্দিক নামে এক কৃষকের ৩২ শতাংশ জমিতে রোপিত করল্লা গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষকের লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ২নং কুষ্টিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড চুয়ানিয়া গ্রামে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার চুয়ানিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবু বক্কর ছিদ্দিক বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী কৃষক আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, তিনি পেশায় একজন কৃষক। পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ৩২শাতাংশ জমিতে তিনি করল্লাসহ বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে আসছিলেন। চলতি মৌসুমে সেই জমিতে করল্লার চাষ করেছেন। প্রতিবছর করল্লা চাষের মাধ্যমে তিনি লক্ষ-লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন। যার মধ্যে বেশির ভাগই থাকে সবজি। এ বছর ৩২ শতাংশ জমিতে করল্লার চাষ করলে দীর্ঘ পরিচর্যার পর গাছগুলো টালে যাওয়ার পর ফুল ও করল্লা আসতে শুরু করে। কিছু কিছু গাছে প্রচুর পরিমানে করল্লা ধরেছিল। এ পর্যন্ত তাঁর এই ক্ষেতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা, যার বেশির ভাগ তিনি ধারদেনা করে জোগাড় করেছেন। হঠাৎ গত ২২শে এপ্রিল বিকাল ৬ঘটিকায় তিনি ক্ষেতে গিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক পেলেও পরদিন ২৩এপ্রিল সকাল ৯টা গিয়ে তিনি তার করল্লা ক্ষেতের অধিকাংশ গাছ কাটা ও পাতা শুকনা অবস্থা দেখতে পান। এতে তার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কারো সাথে কোন শত্রুতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান- তারা বংশগতভাবে মন্ডল গোষ্ঠী স্থানীয় হাজী গোষ্ঠীর সাথে ক্ষেতে পানি সরবরাহকে কেন্দ্র করে ইতি পুর্বে ঝগড়া বিবাদ হয়েছিলো, এনিয়ে দুপক্ষের মাঝে মামলা মোকদ্দমা আদালতে চলমান রয়েছে।তবে এলাকায় দুই পক্ষই শান্তি প্রিয়। আদালতে মামলা থাকলেও দুপক্ষের মাঝে স্থানীয়ভাবে কোন আক্রোশ নেই। স্থানীয় ডাঃ রেজাউল করিম,সুরুজ আলী,হুসেন আলী,আব্দুল মালেক,মন্টু আলী দাবী করেন- দুপক্ষের মাঝে মামলা মোকদ্দমান থাকার পরও এলাকায় কারো সাথে কোন ঝগড়া বিবাদ নেই। ফলে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে। এই শান্তিপুর্ণ অবস্থাকে অশান্ত করতেই হয়তো কোন তৃতীয় পক্ষ ফসলের ক্ষেত কেটে নষ্ট করেছে এমনটা হতে পারে।
তবে আশেপাশে আরো অনেক ফসলের ক্ষেত রয়েছে। সব ফসলের মাঝখানে ছিদ্দিকের ক্ষেত কাটার কি রহস্য রয়েছে এনিয়ে এলাকায় বিভিন্ন মহলের মাঝে চলছে সমালোচনা-কানাঘোষা। তবে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীকে সনাক্ত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বাদীসহ স্থানীয়রা। এই ঘটনায়- বাদী আবু বক্কর ছিদ্দিক,ছোট ভাই ইব্রাহিম খলিল সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিরাপত্তাহীণতার আশঙ্কা করছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ময়মনসিংহে ফসলের সাথে শত্রুতা,ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট সময় : ০৮:৩২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ষ্টাফ রিপোর্টার :

ময়মনসিংহ সদরের পুর্ব পরিকল্পিতভাবে আবু বক্কর ছিদ্দিক নামে এক কৃষকের ৩২ শতাংশ জমিতে রোপিত করল্লা গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষকের লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ২নং কুষ্টিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড চুয়ানিয়া গ্রামে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার চুয়ানিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবু বক্কর ছিদ্দিক বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী কৃষক আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, তিনি পেশায় একজন কৃষক। পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ৩২শাতাংশ জমিতে তিনি করল্লাসহ বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে আসছিলেন। চলতি মৌসুমে সেই জমিতে করল্লার চাষ করেছেন। প্রতিবছর করল্লা চাষের মাধ্যমে তিনি লক্ষ-লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন। যার মধ্যে বেশির ভাগই থাকে সবজি। এ বছর ৩২ শতাংশ জমিতে করল্লার চাষ করলে দীর্ঘ পরিচর্যার পর গাছগুলো টালে যাওয়ার পর ফুল ও করল্লা আসতে শুরু করে। কিছু কিছু গাছে প্রচুর পরিমানে করল্লা ধরেছিল। এ পর্যন্ত তাঁর এই ক্ষেতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা, যার বেশির ভাগ তিনি ধারদেনা করে জোগাড় করেছেন। হঠাৎ গত ২২শে এপ্রিল বিকাল ৬ঘটিকায় তিনি ক্ষেতে গিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক পেলেও পরদিন ২৩এপ্রিল সকাল ৯টা গিয়ে তিনি তার করল্লা ক্ষেতের অধিকাংশ গাছ কাটা ও পাতা শুকনা অবস্থা দেখতে পান। এতে তার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কারো সাথে কোন শত্রুতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান- তারা বংশগতভাবে মন্ডল গোষ্ঠী স্থানীয় হাজী গোষ্ঠীর সাথে ক্ষেতে পানি সরবরাহকে কেন্দ্র করে ইতি পুর্বে ঝগড়া বিবাদ হয়েছিলো, এনিয়ে দুপক্ষের মাঝে মামলা মোকদ্দমা আদালতে চলমান রয়েছে।তবে এলাকায় দুই পক্ষই শান্তি প্রিয়। আদালতে মামলা থাকলেও দুপক্ষের মাঝে স্থানীয়ভাবে কোন আক্রোশ নেই। স্থানীয় ডাঃ রেজাউল করিম,সুরুজ আলী,হুসেন আলী,আব্দুল মালেক,মন্টু আলী দাবী করেন- দুপক্ষের মাঝে মামলা মোকদ্দমান থাকার পরও এলাকায় কারো সাথে কোন ঝগড়া বিবাদ নেই। ফলে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে। এই শান্তিপুর্ণ অবস্থাকে অশান্ত করতেই হয়তো কোন তৃতীয় পক্ষ ফসলের ক্ষেত কেটে নষ্ট করেছে এমনটা হতে পারে।
তবে আশেপাশে আরো অনেক ফসলের ক্ষেত রয়েছে। সব ফসলের মাঝখানে ছিদ্দিকের ক্ষেত কাটার কি রহস্য রয়েছে এনিয়ে এলাকায় বিভিন্ন মহলের মাঝে চলছে সমালোচনা-কানাঘোষা। তবে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীকে সনাক্ত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বাদীসহ স্থানীয়রা। এই ঘটনায়- বাদী আবু বক্কর ছিদ্দিক,ছোট ভাই ইব্রাহিম খলিল সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিরাপত্তাহীণতার আশঙ্কা করছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন