০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

ঈদে নারীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
  • আপডেট সময় : ১০:১২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :

‘ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই প্রিয়জনের কাছে ফেরা। প্রিয় মানুষটার পথ চেয়ে থাকা, একবুক স্বপ্ন নিয়ে তবেই বাড়ি ফেরা।’
স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ঢাকাসহ অন্যান্য বড় শহর থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ।
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ বুধবার বিকাল পর্যন্ত জেলা সদর ও কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন বাস, সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে করে ঘরে ফিরছেন মানুষ। পাশাপাশি ট্রাক ও পিকআপে চেপে জীবনবাজি রেখে নিজের গন্তব্যে ফিরছেন মানুষ।
রেলস্টেশনগুলো ঘুরে দেখাগেছে, ট্রেনের দরজা, জানালা লোকে লোকারণ্য এমনকি ছাদেও তিল পরিমান জায়গা নেই।
ঢাকা থেকে আসা মোহনগঞ্জ দেওথান এলাকার শাকিল বলেন, ট্রেনের টিকিট না পেয়ে অনেক চেষ্টার পর বাসে করে মোহনগঞ্জ এসে পৌঁছাতে পেরেছি। অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে রাস্তায় এবার তেমন একটা ঝামেলা ছিল না। কিন্তু গাড়ি ভাড়া ছিল দ্বিগুণেরও বেশি, যা রীতিমতো মগের মুল্লুক মনে হচ্ছে।
ঢাকা থেকে নেত্রকোনায় হাওর এক্সপ্রেসে আসা যাত্রী এমদাদুল ইসলাম জানান, কর্মের তাগিদে বছরের বেশির ভাগ সময় আমাদের দূর-দূরান্তে থাকতে হয়। ঈদের ছুটিতে তাই বাড়ি ফেরা নিয়ে আমাদের অগ্রহ থাকে অনেক বেশি। ঈদে পরিবারের সব আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ মেলে। তাই কষ্ট হলেও বাড়িতে ঈদ করার আনন্দই আলাদা। দীর্ঘ লাইন ধরে ট্রেনের টিকিট পাইনি তবুও স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটে বাড়ি আসলাম। কষ্ট হলেও- ‘বাবা-মা’র মুখের হাসি দেখে মনে শান্তি লাগছে।’
ময়মনসিংহ থেকে বারহাট্টায় সিএনজি অটোরিকশায় আসা শিউলি আক্তার বলেন, যাত্রীদের থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা। ভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন, ঢাকা থেকে ফেরা যাত্রী কায়েস, আরমান, জহিরুল, আসমা আক্তারসহ অনেকেই।
ঢাকা-নেত্রকোনা হযরত শাহজালাল বাসের চালক মোঃ আবদুল কাদের বলেন, রাস্তায় যানজট আগের তুলনায় অনেক কম, তাই নির্বিঘ্নে গাড়ি চালানো যাচ্ছে। আর ঈদের সময় গাড়ি ভাড়া একটু বেশিই নেওয়া হয়। তবে যাত্রীদের বুঝিয়েই একটু বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়। ভাড়া দ্বিগুণ বেশি নেওয়া হচ্ছে কথাটা ঠিক নয়’।
বাড়তি ভাড়া নেওয়া প্রসঙ্গে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ বলেন, জেলা ও উপজেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগের ভাড়ার চেয়ে ২০-৫০ টাকা বেশি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে কিন্তু মন খুশী মতো ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। যারা বাড়তি ভাড়া নিবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে তাই, পুলিশ প্রশাসন থেকে টহলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ঈদে নারীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল

আপডেট সময় : ১০:১২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :

‘ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই প্রিয়জনের কাছে ফেরা। প্রিয় মানুষটার পথ চেয়ে থাকা, একবুক স্বপ্ন নিয়ে তবেই বাড়ি ফেরা।’
স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ঢাকাসহ অন্যান্য বড় শহর থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ।
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ বুধবার বিকাল পর্যন্ত জেলা সদর ও কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন বাস, সিএনজি স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে করে ঘরে ফিরছেন মানুষ। পাশাপাশি ট্রাক ও পিকআপে চেপে জীবনবাজি রেখে নিজের গন্তব্যে ফিরছেন মানুষ।
রেলস্টেশনগুলো ঘুরে দেখাগেছে, ট্রেনের দরজা, জানালা লোকে লোকারণ্য এমনকি ছাদেও তিল পরিমান জায়গা নেই।
ঢাকা থেকে আসা মোহনগঞ্জ দেওথান এলাকার শাকিল বলেন, ট্রেনের টিকিট না পেয়ে অনেক চেষ্টার পর বাসে করে মোহনগঞ্জ এসে পৌঁছাতে পেরেছি। অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে রাস্তায় এবার তেমন একটা ঝামেলা ছিল না। কিন্তু গাড়ি ভাড়া ছিল দ্বিগুণেরও বেশি, যা রীতিমতো মগের মুল্লুক মনে হচ্ছে।
ঢাকা থেকে নেত্রকোনায় হাওর এক্সপ্রেসে আসা যাত্রী এমদাদুল ইসলাম জানান, কর্মের তাগিদে বছরের বেশির ভাগ সময় আমাদের দূর-দূরান্তে থাকতে হয়। ঈদের ছুটিতে তাই বাড়ি ফেরা নিয়ে আমাদের অগ্রহ থাকে অনেক বেশি। ঈদে পরিবারের সব আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ মেলে। তাই কষ্ট হলেও বাড়িতে ঈদ করার আনন্দই আলাদা। দীর্ঘ লাইন ধরে ট্রেনের টিকিট পাইনি তবুও স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটে বাড়ি আসলাম। কষ্ট হলেও- ‘বাবা-মা’র মুখের হাসি দেখে মনে শান্তি লাগছে।’
ময়মনসিংহ থেকে বারহাট্টায় সিএনজি অটোরিকশায় আসা শিউলি আক্তার বলেন, যাত্রীদের থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা। ভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন, ঢাকা থেকে ফেরা যাত্রী কায়েস, আরমান, জহিরুল, আসমা আক্তারসহ অনেকেই।
ঢাকা-নেত্রকোনা হযরত শাহজালাল বাসের চালক মোঃ আবদুল কাদের বলেন, রাস্তায় যানজট আগের তুলনায় অনেক কম, তাই নির্বিঘ্নে গাড়ি চালানো যাচ্ছে। আর ঈদের সময় গাড়ি ভাড়া একটু বেশিই নেওয়া হয়। তবে যাত্রীদের বুঝিয়েই একটু বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়। ভাড়া দ্বিগুণ বেশি নেওয়া হচ্ছে কথাটা ঠিক নয়’।
বাড়তি ভাড়া নেওয়া প্রসঙ্গে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ বলেন, জেলা ও উপজেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগের ভাড়ার চেয়ে ২০-৫০ টাকা বেশি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে কিন্তু মন খুশী মতো ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। যারা বাড়তি ভাড়া নিবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে তাই, পুলিশ প্রশাসন থেকে টহলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন