০৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

মোরেলগঞ্জে খাদ্য গুদামে মালামাল লোড-আনলোডে চরম ভোগান্তি

এনায়েত করিম রাজিব, বাগেরহাট :
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৭
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এনায়েত করিম রাজিব, বাগেরহাট :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিশখালী নদীর মোহনায় পানগুছি নদীর প্রশাখা খাল নাব্যতা হারিয়ে ভরাট হয়ে দীর্ঘ একযুগ ধরে খাদ্যগুদামে জেটি ঘাটে মালামাল লোড-আনলোডে ভোগান্তি এখন চরমে,জোয়ারের অপেক্ষায় সময় পার করছেন শ্রমিকরা। নদীটির ১শ গজ পূনঃ খননের দাবী স্থানীয়দের।
মঙ্গলবার সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার খাদ্যগুদাম ভবনটি ৮০ দশকে পানগুছি নদীর তীরবর্তী সানকীভাঙ্গা নামক স্থানে নির্মিত হয়। পরবর্তীতে লবন পানি দূরীকরনের জন্য পানগুছির প্রশাখা বিশখালী নদীর মোহনায় স্লুইজ গেট নির্মান করা হলে প্রবাহমান খালটির পানির শ্রোত কমে নাব্যতা হারিয়ে পলিপড়ে খাদ্য গুদামের সম্মূখ থেকে ১শ গজ খালটি ভরাট হয়ে গেছে। যে কারনে জেটিঘাটে নৌপথে খাদ্য শষ্য মালামাল লোড-আনলোডে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সরকারি বরাদ্দকৃত চাল নিতে আসা ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার চেয়ারম্যানবৃন্দ, সচিব, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী ডিলারদের ট্রলার ও নৌকা নিয়ে দীর্ঘ ৮ ঘন্টা বসে থাকতে হচ্ছে জোয়ারের অপেক্ষায়। এ সমস্যার কারনে পার্শবর্তী কচুয়া উপজেলার খাদ্য গুদাম থেকে বরাদ্দের চাল আনছেন অনেকেই।
এ বিষয় পঞ্চকরণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ রাজ্জাক মজুমদার, চিংড়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলি আক্কাস বুলু, জিউধরা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, নিশানবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম,খাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার ছাইদুর রহমানসহ একাধীক চেয়ারম্যানরা বলেন, খাদ্য গুদামের এ ভোগান্তি লাগবের জন্য জেটি ঘাটের সম্মূখ থেকে ১ গজ দৈর্ঘ্য ও ৩০ গজ প্রস্থ খালটি পুনঃ খনন করা হলে সমস্যার সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টোকেন ভৌমিক বলেন, খাদ্য গুদামের জেটিঘাটের মালামাল লোড-আনলোডের সমস্যার বিষয়ে সংশ্লীষ্ট উর্ধ্বতণ কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। ভরাট হয়ে যাওয়া খালটি পুনঃখননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা পরিষদের আগামী মাসিক সমন্বয় সভায়ও বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, মোরেলগঞ্জের খাদ্য গুদামের সম্মূখে পানগুছির নদীর প্রশাখা খালটি ভরাট হওয়ার বিষয়ে খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে জনিয়েছেন, বিষয়টি লিখিত ভাবে আবেদন করলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মোরেলগঞ্জে খাদ্য গুদামে মালামাল লোড-আনলোডে চরম ভোগান্তি

আপডেট সময় : ১০:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এনায়েত করিম রাজিব, বাগেরহাট :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিশখালী নদীর মোহনায় পানগুছি নদীর প্রশাখা খাল নাব্যতা হারিয়ে ভরাট হয়ে দীর্ঘ একযুগ ধরে খাদ্যগুদামে জেটি ঘাটে মালামাল লোড-আনলোডে ভোগান্তি এখন চরমে,জোয়ারের অপেক্ষায় সময় পার করছেন শ্রমিকরা। নদীটির ১শ গজ পূনঃ খননের দাবী স্থানীয়দের।
মঙ্গলবার সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার খাদ্যগুদাম ভবনটি ৮০ দশকে পানগুছি নদীর তীরবর্তী সানকীভাঙ্গা নামক স্থানে নির্মিত হয়। পরবর্তীতে লবন পানি দূরীকরনের জন্য পানগুছির প্রশাখা বিশখালী নদীর মোহনায় স্লুইজ গেট নির্মান করা হলে প্রবাহমান খালটির পানির শ্রোত কমে নাব্যতা হারিয়ে পলিপড়ে খাদ্য গুদামের সম্মূখ থেকে ১শ গজ খালটি ভরাট হয়ে গেছে। যে কারনে জেটিঘাটে নৌপথে খাদ্য শষ্য মালামাল লোড-আনলোডে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সরকারি বরাদ্দকৃত চাল নিতে আসা ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার চেয়ারম্যানবৃন্দ, সচিব, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী ডিলারদের ট্রলার ও নৌকা নিয়ে দীর্ঘ ৮ ঘন্টা বসে থাকতে হচ্ছে জোয়ারের অপেক্ষায়। এ সমস্যার কারনে পার্শবর্তী কচুয়া উপজেলার খাদ্য গুদাম থেকে বরাদ্দের চাল আনছেন অনেকেই।
এ বিষয় পঞ্চকরণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ রাজ্জাক মজুমদার, চিংড়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলি আক্কাস বুলু, জিউধরা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, নিশানবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম,খাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার ছাইদুর রহমানসহ একাধীক চেয়ারম্যানরা বলেন, খাদ্য গুদামের এ ভোগান্তি লাগবের জন্য জেটি ঘাটের সম্মূখ থেকে ১ গজ দৈর্ঘ্য ও ৩০ গজ প্রস্থ খালটি পুনঃ খনন করা হলে সমস্যার সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টোকেন ভৌমিক বলেন, খাদ্য গুদামের জেটিঘাটের মালামাল লোড-আনলোডের সমস্যার বিষয়ে সংশ্লীষ্ট উর্ধ্বতণ কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। ভরাট হয়ে যাওয়া খালটি পুনঃখননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা পরিষদের আগামী মাসিক সমন্বয় সভায়ও বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, মোরেলগঞ্জের খাদ্য গুদামের সম্মূখে পানগুছির নদীর প্রশাখা খালটি ভরাট হওয়ার বিষয়ে খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে জনিয়েছেন, বিষয়টি লিখিত ভাবে আবেদন করলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন