০৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

বাবা-মাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো ছেলে-মেয়ে!

আশরাফুল হক:
  • আপডেট সময় : ০৩:০৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
  • / ৭২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আশরাফুল হক:
লালমনিরহাটে আদিতমারীতে জমি-জমা ও শহরের বাসা-বাড়ী ছেলে-মেয়েদের নামে লিখে না দেওয়ায় বাবা-মাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো পাষন্ড ছেলে-মেয়েরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সহিদুর রহমান ছেলে-মেয়ে, পুত্রবধু, জামাতা ও তাদের ভাড়াটিয়া লোক সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আদিতমারী উপজেলার মদনপুর এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে সহিদুর রহমান (৭০) এর প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রায় ১মাস পুর্বে হাফিজা খাতুন (৫৭) নামের এক বিধবা মহিলাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে তার ছোট ভাই ওয়াজেদ আলীর বাড়ীতে অবস্থান করেন। কিন্তু বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় তার নামের সম্পত্তি ও সদর উপজেলার পৌর এলাকার বালাটারীতে থাকা বাসা-বাড়ী ছেলে মেয়েদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় হুমকি প্রদান করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় (গত ৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টায় ছেলে- মেয়ে, পুত্রবধু, জামাতা ও তাদের ভাড়াটিয়া লোকজন মিলে সহিদুর রহমান তার ছোট ভাই ওয়াজেদ আলীর বাড়ীতে অবস্থান করার সময় তাকে ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী হাফিজা খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ওই সময় সহিদুর রহমান তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি ডাং মার করে আহত করেন। এমনকি সহিদুর রহমানের স্ত্রীর পরনের কাপড় টানা হেঁচড়া করিয়া বিব্রস্ত করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। স্ত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও এলোপাতাড়ি ডাং মার করে আহত করেন। ওই সময় সহিদুর রহমানের সাথে থাকা টাকা তার স্ত্রীর স্বর্ণের দুল ও গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে সহিদুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেখিয়ে জোরপূর্বক একশত টাকার মূল্যের ৩ টি ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর সহ জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। নির্যাতনের কারণে ভুক্তভোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে এলাকাবাসী স্বামী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। যার রেজি নং-২০১৯/৮ ও ২০১৮/৭।
ভর্তির পর ভুক্তভোগী সহিদুর রহমানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে রেফার্ট করেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী ওই বাবা সহিদুর রহমান লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের ১০ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যার রেজি নং-১৩৭০/১৫৩। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সহিদুর রহমান বাদী হয়ে১০ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী সহিদুর রহমান বলেন, আমার ছেলে-মেয়ে, পুত্রবধু, জামাতা ও তাদের ভাড়াটিয়া লোক মিলে দীঘদিন ধরে জমিজমা ও শহরের বাসা-বাড়ী তাদের নামে লিখে চান। আমি এতে রাজি না হওয়ায় তারা সকলে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ওই সময় তারা টাকা, স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়
এমনকি হত্যার হুমকি দিয়ে ৩টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর সহ জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। আমি থানা অভিযোগ দিয়েছি। আইনের মাধ্যমে বিচার চাই।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী বলেন, ভুক্তভোগী সহিদুর রহমানের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বাবা-মাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো ছেলে-মেয়ে!

আপডেট সময় : ০৩:০৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আশরাফুল হক:
লালমনিরহাটে আদিতমারীতে জমি-জমা ও শহরের বাসা-বাড়ী ছেলে-মেয়েদের নামে লিখে না দেওয়ায় বাবা-মাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো পাষন্ড ছেলে-মেয়েরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সহিদুর রহমান ছেলে-মেয়ে, পুত্রবধু, জামাতা ও তাদের ভাড়াটিয়া লোক সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আদিতমারী উপজেলার মদনপুর এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে সহিদুর রহমান (৭০) এর প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রায় ১মাস পুর্বে হাফিজা খাতুন (৫৭) নামের এক বিধবা মহিলাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে তার ছোট ভাই ওয়াজেদ আলীর বাড়ীতে অবস্থান করেন। কিন্তু বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় তার নামের সম্পত্তি ও সদর উপজেলার পৌর এলাকার বালাটারীতে থাকা বাসা-বাড়ী ছেলে মেয়েদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় হুমকি প্রদান করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় (গত ৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টায় ছেলে- মেয়ে, পুত্রবধু, জামাতা ও তাদের ভাড়াটিয়া লোকজন মিলে সহিদুর রহমান তার ছোট ভাই ওয়াজেদ আলীর বাড়ীতে অবস্থান করার সময় তাকে ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী হাফিজা খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ওই সময় সহিদুর রহমান তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি ডাং মার করে আহত করেন। এমনকি সহিদুর রহমানের স্ত্রীর পরনের কাপড় টানা হেঁচড়া করিয়া বিব্রস্ত করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। স্ত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও এলোপাতাড়ি ডাং মার করে আহত করেন। ওই সময় সহিদুর রহমানের সাথে থাকা টাকা তার স্ত্রীর স্বর্ণের দুল ও গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে সহিদুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেখিয়ে জোরপূর্বক একশত টাকার মূল্যের ৩ টি ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর সহ জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। নির্যাতনের কারণে ভুক্তভোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে এলাকাবাসী স্বামী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। যার রেজি নং-২০১৯/৮ ও ২০১৮/৭।
ভর্তির পর ভুক্তভোগী সহিদুর রহমানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে রেফার্ট করেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী ওই বাবা সহিদুর রহমান লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের ১০ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যার রেজি নং-১৩৭০/১৫৩। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সহিদুর রহমান বাদী হয়ে১০ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী সহিদুর রহমান বলেন, আমার ছেলে-মেয়ে, পুত্রবধু, জামাতা ও তাদের ভাড়াটিয়া লোক মিলে দীঘদিন ধরে জমিজমা ও শহরের বাসা-বাড়ী তাদের নামে লিখে চান। আমি এতে রাজি না হওয়ায় তারা সকলে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ওই সময় তারা টাকা, স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়
এমনকি হত্যার হুমকি দিয়ে ৩টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর সহ জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। আমি থানা অভিযোগ দিয়েছি। আইনের মাধ্যমে বিচার চাই।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী বলেন, ভুক্তভোগী সহিদুর রহমানের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন