০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

নদী থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৮
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:

নিখোঁজের ৪ দিন পর পর ধর্মপাশা উপজেলার কংস নদ থেকে আঁখি মণি (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বিল্লাল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার ঘুলুয়া গ্রাম সংলগ্ন কংস নদ থেকে বুধবার লাশটি উদ্ধার করা হয়। আঁখি মণি ঘুলুয়া গ্রামের ছোয়াব আলীর ছেলে বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী ও নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আয়নাল হকের মেয়ে। দেড় বছর আগে আঁখি ও বিল্লালের বিয়ে হয়েছিল।
স্থানীয় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানাযায়, গত রবিবার সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় আঁখি। খবর পেয়ে আঁখির বাবা আয়নাল হক পরদিন সোমবার ধর্মপাশা থানায় এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করেন।
ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জানুয়ারি আঁখি স্বামীকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাবার বাড়িতে ৩ দিন কটানোর পর সেখান থেকে শশুর বাড়িতে ফেরত আসার আগে স্বামীর সাথে আঁখির কথা কাটাকাটি হয়। এতে আঁখির ছোটভাই মেহেদী হাসান বাধা দিলে আঁখিকে নিখোঁজ করার হুমকি দেয় বিল্লাল। ওইদিনই আঁখি স্বামীর বাড়িতে ফেরত আসে।
আঁখি শশুর বাড়িতে ফেরত আসার পর গত রবিবার সকালে স্বামী বিল্লাল আঁখির পরিবারকে ফোন করে আঁখিকে খোঁজে না পাওয়ার কথা জানায়। পরদিন আঁখির বাবা আয়নাল হক বিল্লালের বিরুদ্ধে আঁখিকে জীবিত বা হত্যা করে কোথাও নিখোঁজ করেছে মর্মে ধর্মপাশা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে বুধবার সকালে বিল্লালের বাড়ির অদূরে কংসনদে আঁখির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আঁখির মরদেহ উদ্ধার করে।
লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় সাথে ছিলেন, ধর্মপাশা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পপি আক্তার। তিনি বলেন, আঁখির পিঠে কালো দাগ রয়েছে। বুকের বাম পাশে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া গলার সামনের অংশ ফোলা।
গৃহবধূর বাবা আয়নাল হক বলেন, টাকার জন্য আমার মেয়েকে নির্যাতন করত বিল্লাল। এর আগে দুইবার টাকা দিয়েছি। এবার টাকা দিতে পারিনি। তাই সে আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
গৃহবধূর স্বামী বিল্লালের বড় ভাই খায়রুল মিয়া বলেন, ঘটনা কিভাবে ঘটেছে আমরা জানি না। যেহেতু আমি বাড়িতে থাকি না। তবে আমার ভাই যদি কোন কিছু ঘটিয়ে থাকে তাহলে তাঁর বিচার হোক এটাই আমি চাই।
ধর্মপাশা থানার ওসি মো. শামছুদোহা (পিপিএম) জানান, ময়নাতদন্তের লাশ জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী বিল্লালকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

নদী থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক

আপডেট সময় : ০৫:৫২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:

নিখোঁজের ৪ দিন পর পর ধর্মপাশা উপজেলার কংস নদ থেকে আঁখি মণি (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বিল্লাল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার ঘুলুয়া গ্রাম সংলগ্ন কংস নদ থেকে বুধবার লাশটি উদ্ধার করা হয়। আঁখি মণি ঘুলুয়া গ্রামের ছোয়াব আলীর ছেলে বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী ও নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আয়নাল হকের মেয়ে। দেড় বছর আগে আঁখি ও বিল্লালের বিয়ে হয়েছিল।
স্থানীয় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানাযায়, গত রবিবার সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় আঁখি। খবর পেয়ে আঁখির বাবা আয়নাল হক পরদিন সোমবার ধর্মপাশা থানায় এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করেন।
ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জানুয়ারি আঁখি স্বামীকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাবার বাড়িতে ৩ দিন কটানোর পর সেখান থেকে শশুর বাড়িতে ফেরত আসার আগে স্বামীর সাথে আঁখির কথা কাটাকাটি হয়। এতে আঁখির ছোটভাই মেহেদী হাসান বাধা দিলে আঁখিকে নিখোঁজ করার হুমকি দেয় বিল্লাল। ওইদিনই আঁখি স্বামীর বাড়িতে ফেরত আসে।
আঁখি শশুর বাড়িতে ফেরত আসার পর গত রবিবার সকালে স্বামী বিল্লাল আঁখির পরিবারকে ফোন করে আঁখিকে খোঁজে না পাওয়ার কথা জানায়। পরদিন আঁখির বাবা আয়নাল হক বিল্লালের বিরুদ্ধে আঁখিকে জীবিত বা হত্যা করে কোথাও নিখোঁজ করেছে মর্মে ধর্মপাশা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে বুধবার সকালে বিল্লালের বাড়ির অদূরে কংসনদে আঁখির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আঁখির মরদেহ উদ্ধার করে।
লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় সাথে ছিলেন, ধর্মপাশা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পপি আক্তার। তিনি বলেন, আঁখির পিঠে কালো দাগ রয়েছে। বুকের বাম পাশে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া গলার সামনের অংশ ফোলা।
গৃহবধূর বাবা আয়নাল হক বলেন, টাকার জন্য আমার মেয়েকে নির্যাতন করত বিল্লাল। এর আগে দুইবার টাকা দিয়েছি। এবার টাকা দিতে পারিনি। তাই সে আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
গৃহবধূর স্বামী বিল্লালের বড় ভাই খায়রুল মিয়া বলেন, ঘটনা কিভাবে ঘটেছে আমরা জানি না। যেহেতু আমি বাড়িতে থাকি না। তবে আমার ভাই যদি কোন কিছু ঘটিয়ে থাকে তাহলে তাঁর বিচার হোক এটাই আমি চাই।
ধর্মপাশা থানার ওসি মো. শামছুদোহা (পিপিএম) জানান, ময়নাতদন্তের লাশ জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী বিল্লালকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন