০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

সোনারগাঁয়ে ঐতিহ্যবাহী লোকজ উৎসব মেলা’র উদ্ভোধন করেন: এমপি কায়সার হাসনাত

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:২১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৫
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এন এম সুজন:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি বিকেলে লোকজ মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত উপস্থিত থেকে এ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক, জনাব খলিল আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব ইমরুল চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব, সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জনাব মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ, জনাব গোলাম মোস্তফা রাসেল, পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ, মোহাম্মদ নাইমুল হক, পুলিশ সুপার টুরিস্ট পুলিশ, ঢাকা রিজিয়ন, এ্যাড. শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সভাপতি সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলা চেয়ারম্যান, আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, চেয়ারম্যান পিরোজপুর ইউনিয়ন, আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম নান্নু, সভাপতি, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ, নাজমুর রহমান সজিব, সাধারণ সম্পাদক মোগরাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ, রাশেদুল ইসলাম রাসেল, সভাপতি সোনা উপজেলা আওয়ামী ছাত্রলীগ, শফিকুল ইসলাম সাগর, সাধারণ সম্পাদক , সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত বলেন, আবহমান গ্রাম বাংলার বিলুপ্ত প্রায় লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া লোক সংস্কৃতি ও লোক কারুশিল্পের নিদর্শন সমূহের সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও পুনরুজ্জীবনের লক্ষে বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁয়ে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ লোকজ উৎসব। উৎসব উপলক্ষে কারুশিল্প ফাউন্ডেশনকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ফাউন্ডেশন এর পরিচালক কাজী নুরুল ইসলাম সহ সকল কে রক্তিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। স্থানীয় প্রশাসনকে জন্য অনুরোধ করেন যাতে দর্শনার্থীদের কোনরকম হয়রানি ও বিভ্রান্তিতে করতে না হয় সেদিকে সজাগ থাকার জন্য প্রশাসন ও কে সদা প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়। সোনারগাঁ য়ের লুকোচ উৎসব ও কারো শিল্প মেলার দিন দিন বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য যাবতীয় প্রয়োজন এর ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সোনারগাঁয়ে এই লোকজ উৎসব মেলা ও কারো শিল্প ফাউন্ডেশন এর অনুমোদন তিনিই দিয়ে থাকেন। এজন্য সোনারগাঁ মানুষ গর্বিত।
উৎসবে কর্মরত কারুশিল্পীদের মধ্যে এবার স্থান পেয়েছে চট্টগ্রামের তাল পাতার পাখা শিল্প, সোনারগাঁয়ের কাঠ খোদাই শিল্প, রংপুরের শতরঞ্জি, মানিকগঞ্জের বাঁশের কাজ, রাজশাহীর শখের হাড়ি, মাগুরার শোলা শিল্প, সোনারগাঁওয়ের নকশিকাঁথা শিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবানের উপজাতীয় বস্ত্র শিল্প, ঢাকার ঝিনুক শিল্প, মুখোশ, কারুশিল্প, পটচিত্র শিল্প ও তামা কাসার শিল্প।
মেলার লোকজ মঞ্চে প্রতিদিন পরিবেশিত হবে বিভিন্ন লোকজ অনুষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকশিল্পীরা এখানে গান পরিবেশন করবেন। এসব পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে, বাউলগান, পালাগান, কবি গান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারিগান, সারিগান, হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারীর গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, উপজাতীয়দের অনুষ্ঠান, শরিফতী-মারফতি গান, লোকজ কবিতা, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠের আসর ও লোকজ নাটক।

ফাউন্ডেশন”র” পরিচালক কাজী নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এবারের লোকজ মেলায় প্রায় ২০০ টি স্টল স্থান পেয়েছে এর মধ্য ২৪ টি কারুশিল্প । এগুলোর মধ্যে হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প, বিভিন্ন তৈজসপত্র, তাঁতবস্ত্র, দা কাচি, খাবারের স্টল, মুড়ি-মুড়কিসহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন দ্রব্যের স্টল রয়েছে। মাসব্যাপী এ লোকজ উৎসব চলবে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা প্রাঙ্গণ খোলা থাকবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সোনারগাঁয়ে ঐতিহ্যবাহী লোকজ উৎসব মেলা’র উদ্ভোধন করেন: এমপি কায়সার হাসনাত

আপডেট সময় : ০৯:২১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এন এম সুজন:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি বিকেলে লোকজ মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত উপস্থিত থেকে এ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক, জনাব খলিল আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব ইমরুল চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব, সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জনাব মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ, জনাব গোলাম মোস্তফা রাসেল, পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ, মোহাম্মদ নাইমুল হক, পুলিশ সুপার টুরিস্ট পুলিশ, ঢাকা রিজিয়ন, এ্যাড. শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সভাপতি সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলা চেয়ারম্যান, আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, চেয়ারম্যান পিরোজপুর ইউনিয়ন, আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম নান্নু, সভাপতি, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ, নাজমুর রহমান সজিব, সাধারণ সম্পাদক মোগরাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ, রাশেদুল ইসলাম রাসেল, সভাপতি সোনা উপজেলা আওয়ামী ছাত্রলীগ, শফিকুল ইসলাম সাগর, সাধারণ সম্পাদক , সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত বলেন, আবহমান গ্রাম বাংলার বিলুপ্ত প্রায় লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া লোক সংস্কৃতি ও লোক কারুশিল্পের নিদর্শন সমূহের সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও পুনরুজ্জীবনের লক্ষে বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁয়ে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ লোকজ উৎসব। উৎসব উপলক্ষে কারুশিল্প ফাউন্ডেশনকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ফাউন্ডেশন এর পরিচালক কাজী নুরুল ইসলাম সহ সকল কে রক্তিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। স্থানীয় প্রশাসনকে জন্য অনুরোধ করেন যাতে দর্শনার্থীদের কোনরকম হয়রানি ও বিভ্রান্তিতে করতে না হয় সেদিকে সজাগ থাকার জন্য প্রশাসন ও কে সদা প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়। সোনারগাঁ য়ের লুকোচ উৎসব ও কারো শিল্প মেলার দিন দিন বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য যাবতীয় প্রয়োজন এর ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সোনারগাঁয়ে এই লোকজ উৎসব মেলা ও কারো শিল্প ফাউন্ডেশন এর অনুমোদন তিনিই দিয়ে থাকেন। এজন্য সোনারগাঁ মানুষ গর্বিত।
উৎসবে কর্মরত কারুশিল্পীদের মধ্যে এবার স্থান পেয়েছে চট্টগ্রামের তাল পাতার পাখা শিল্প, সোনারগাঁয়ের কাঠ খোদাই শিল্প, রংপুরের শতরঞ্জি, মানিকগঞ্জের বাঁশের কাজ, রাজশাহীর শখের হাড়ি, মাগুরার শোলা শিল্প, সোনারগাঁওয়ের নকশিকাঁথা শিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবানের উপজাতীয় বস্ত্র শিল্প, ঢাকার ঝিনুক শিল্প, মুখোশ, কারুশিল্প, পটচিত্র শিল্প ও তামা কাসার শিল্প।
মেলার লোকজ মঞ্চে প্রতিদিন পরিবেশিত হবে বিভিন্ন লোকজ অনুষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকশিল্পীরা এখানে গান পরিবেশন করবেন। এসব পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে, বাউলগান, পালাগান, কবি গান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারিগান, সারিগান, হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারীর গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, উপজাতীয়দের অনুষ্ঠান, শরিফতী-মারফতি গান, লোকজ কবিতা, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠের আসর ও লোকজ নাটক।

ফাউন্ডেশন”র” পরিচালক কাজী নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এবারের লোকজ মেলায় প্রায় ২০০ টি স্টল স্থান পেয়েছে এর মধ্য ২৪ টি কারুশিল্প । এগুলোর মধ্যে হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প, বিভিন্ন তৈজসপত্র, তাঁতবস্ত্র, দা কাচি, খাবারের স্টল, মুড়ি-মুড়কিসহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন দ্রব্যের স্টল রয়েছে। মাসব্যাপী এ লোকজ উৎসব চলবে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা প্রাঙ্গণ খোলা থাকবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন