০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে কাজীর দন্ড

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৬
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রাজশাহী সংবাদদাতা

রাজশাহীর পবা উপজেলার হুজুরিপাড়া ইউনিয়নে জাল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত লাইসেন্স দিয়ে চলছে নিকাহ রেজিস্ট্রেশন কাজ। ভুয়া সার্টিফিকেট প্রাপ্ত লাইসেন্স বাতিল ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছে কাজী সমাজ।

জানা গেছে পবা উপজেলার ২নং হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের শর্ত ভেঙে একজনের নিকাহ রেজিস্ট্রেশন নিয়োগ করা হয়। সে হলেন কর্ণাহার গ্রামের মহসিন শেখের ছেলে ইনসান আলী। ২০০৩ সালের দিকে আলিম পরীক্ষার ভুয়া সনদ দিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রেশন হন। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রেশন চালিয়ে যান, এরপর তার সার্টিফিকেট জাল বলে অভিযোগ হয়।

তখন জেলা রেজিস্ট্রেশন মাদ্রাসা বোর্ডে ১৯৯৪ সালে বগুড়ায় সোনাতলা সিনিয়র মাদ্রাসা রোল সোনাতলা ৪০৫৬ নম্বরে প্রদত্ত সনদ পাঠালে তার আলিম পাশের সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হয়। প্রদত্ত সনদ পাঠালে তার আলিম পাশের সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হয়। ২০০৯ সালে জেলা রেজিস্ট্রেশন কার্যালয়ে এ ব্যাপারে শুনানি হলে ইনসান আলী তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চায় আর নিকাহ রেজিস্টেশন করবেন না বলে মুছলেখা দেন।

এরমধ্যে তিনি আলিম পাশ করেন, এরপর তিনি ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন এবং রায়ের আগেই আবারো এই এলাকায় কাজী বলে নিজেকে দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি এলাকায় প্রায় সাড়ে তিনশো পোস্টার ব্যানার লাগিয়ে কাজ শুরু করেন। এই অবস্থায় তার অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধে ওই এলাকার বাদশা আলীর ছেলে নাসিম আলী এবং শাহীন সাঈদের ছেলে স্বপন আলী পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাজী ইনসান আলী বলেন, তার সার্টিফিকেট আসল। তাকে সমাজে হেয় করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন।

সেই থেকে এই এলাকায় তরিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১০ সালের দিকে পবা আদালতে একটি মামলা করা হয়। সেখানে তিনি মামলার রায় তার বিপক্ষে যায়। গত ২৮ নভেম্বর রাজশাহী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামী ইনসান আলীকে এক বছরের জেল এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রাজশাহী জেলা মুসলিম নিকাহ রেজিস্টার সমিতির সভাপতি কাজী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এই রায়ে আমাদের কাজী সমাজ সন্তুষ্ট হয়েছে। এই ধরনের জাল প্রতারক আরও থাকতে পারে, তাই আমরাও সচেতন থাকবো, যেন আর এরকম ভুয়া/জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে কাজী সমাজকে প্রশ্নবৃদ্ধ না হয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে কাজীর দন্ড

আপডেট সময় : ০৯:১৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রাজশাহী সংবাদদাতা

রাজশাহীর পবা উপজেলার হুজুরিপাড়া ইউনিয়নে জাল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত লাইসেন্স দিয়ে চলছে নিকাহ রেজিস্ট্রেশন কাজ। ভুয়া সার্টিফিকেট প্রাপ্ত লাইসেন্স বাতিল ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছে কাজী সমাজ।

জানা গেছে পবা উপজেলার ২নং হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের শর্ত ভেঙে একজনের নিকাহ রেজিস্ট্রেশন নিয়োগ করা হয়। সে হলেন কর্ণাহার গ্রামের মহসিন শেখের ছেলে ইনসান আলী। ২০০৩ সালের দিকে আলিম পরীক্ষার ভুয়া সনদ দিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রেশন হন। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রেশন চালিয়ে যান, এরপর তার সার্টিফিকেট জাল বলে অভিযোগ হয়।

তখন জেলা রেজিস্ট্রেশন মাদ্রাসা বোর্ডে ১৯৯৪ সালে বগুড়ায় সোনাতলা সিনিয়র মাদ্রাসা রোল সোনাতলা ৪০৫৬ নম্বরে প্রদত্ত সনদ পাঠালে তার আলিম পাশের সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হয়। প্রদত্ত সনদ পাঠালে তার আলিম পাশের সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হয়। ২০০৯ সালে জেলা রেজিস্ট্রেশন কার্যালয়ে এ ব্যাপারে শুনানি হলে ইনসান আলী তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চায় আর নিকাহ রেজিস্টেশন করবেন না বলে মুছলেখা দেন।

এরমধ্যে তিনি আলিম পাশ করেন, এরপর তিনি ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন এবং রায়ের আগেই আবারো এই এলাকায় কাজী বলে নিজেকে দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি এলাকায় প্রায় সাড়ে তিনশো পোস্টার ব্যানার লাগিয়ে কাজ শুরু করেন। এই অবস্থায় তার অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধে ওই এলাকার বাদশা আলীর ছেলে নাসিম আলী এবং শাহীন সাঈদের ছেলে স্বপন আলী পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাজী ইনসান আলী বলেন, তার সার্টিফিকেট আসল। তাকে সমাজে হেয় করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন।

সেই থেকে এই এলাকায় তরিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১০ সালের দিকে পবা আদালতে একটি মামলা করা হয়। সেখানে তিনি মামলার রায় তার বিপক্ষে যায়। গত ২৮ নভেম্বর রাজশাহী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামী ইনসান আলীকে এক বছরের জেল এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রাজশাহী জেলা মুসলিম নিকাহ রেজিস্টার সমিতির সভাপতি কাজী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এই রায়ে আমাদের কাজী সমাজ সন্তুষ্ট হয়েছে। এই ধরনের জাল প্রতারক আরও থাকতে পারে, তাই আমরাও সচেতন থাকবো, যেন আর এরকম ভুয়া/জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে কাজী সমাজকে প্রশ্নবৃদ্ধ না হয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন