১২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

মনোনয়নপত্র নেয়ার একদিন পর বেঁকে বসলেন বিএনপি নেতা তুর্কী শাহাবুদদ্দীন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোহাম্মদ আলী, রামগঞ্জ:

মনোনয়নপত্র নেয়ার একদিন পর বেঁকে বসলেন রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও আহবায়ক কমিটির অব্যাহতিপ্রাপ্ত সদস্য মোঃ শাহাবুদদ্দীন ওরফে তুর্কী শাহাবুদদ্দীন। মনোনয়নপত্র ক্রয় করলেও তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানান সাংবাদিকদের। এছাড়া তার (তুর্কী শাহাবুদদ্দীন) অজ্ঞাতসারে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহের দাবী করেন তিনি।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বিএনপি নেতা তুর্কী শাহাবুদদ্দীনসহ ৯জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে বিএনপি নেতা তুর্কী শাহাবুদদ্দীন তার প্রতিনিধির মাধ্যমে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বলে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে নিশ্চিত করা হলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেক ব্যপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়।
ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুর্কী শাহাবুদদ্দীনকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি দলীয় নেতাকর্মীরা। বিষয়টি ভাইরাল হয়ে গেলে নড়েচড়ে বসেন মোঃ শাহাবুদদ্দীন ওরফে তুর্কী শাহাবুদদ্দীন নামের এ নেতা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে মোবাইল ফোনে জানান, আপনারা ভেজাল লাগাই দিছেন, এত সকালে কেন-আরেকটু দেরিতে দিতেন। আরো পরে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচার বা প্রকাশ হলে ভালো হতো। অনেকেই লিখেছেন আমি বিএনপি নেতা, আমি তো বিএনপি নেতা নই ! । আপনি বিএনপি নেতা নন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার এখন পদ আছে নাকি? আমি নিজে মনোনয়নপত্র নিতে উপজেলাতে আসিনি। তবে রাত ১১টা ৫ মিনিটে তিনি ফের মোবাইলে কল করে জানান, আসলে আমার এক শুভাকাঙ্খি আমার হয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর আমি তো নির্বাচন করবো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবাসী বিএনপি নেতা জানান, তুর্কী শাহাবুদদ্দীন দলের নিবেদিত প্রান। দলের নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে সবসময় পাশে ছিলেন। মামলা হামলার ভয়ে বাড়ী ও দেশছাড়া হতে হয়েছে কয়েকবার। দলের সকল আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকায় সবসময় ছিলেন। উনার পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ কোন ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে বলেও দাবী করেন ফ্রান্স প্রবাসী এ নেতা।
তুফান খলিল নামের এক যুবদল কর্মী ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে জানান, আমরা মামলা হামলা মাথায় নিয়ে নির্বাচন ঠেকানো ও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে জীবন মরন বাজি রেখে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ছি, আর বেঈমানেরা আমাদের নিয়ে তামাশা করছে,বেঈমানদের ঠাই বাংলার জমিনে হবে না,ইনশাআল্লাহ।
যুবদল নেতা জামাল হোসেন পাটোয়ারী ফেসবুকে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে লিখেন, তূর্কী সাহাবুদ্দিন ও তার সহচরদের আজীবণের জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি। আপনারা চাইলে তার সহচরদের নাম প্রকাশ করব।
রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মনোয়ার হোসেন জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে মোঃ শাহাবুদদ্দীন ওরফে তুর্কী শাহাবুদদ্দীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিলো। তাকে বহিস্কার করা হয়নি। আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি তিনি (তুর্কী শাহাবুদদ্দীন) মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এ বিষয়ে দলীয় সিনিয়র ও নীতিনির্ধারকদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মনোনয়নপত্র নেয়ার একদিন পর বেঁকে বসলেন বিএনপি নেতা তুর্কী শাহাবুদদ্দীন

আপডেট সময় : ০৬:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোহাম্মদ আলী, রামগঞ্জ:

মনোনয়নপত্র নেয়ার একদিন পর বেঁকে বসলেন রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও আহবায়ক কমিটির অব্যাহতিপ্রাপ্ত সদস্য মোঃ শাহাবুদদ্দীন ওরফে তুর্কী শাহাবুদদ্দীন। মনোনয়নপত্র ক্রয় করলেও তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানান সাংবাদিকদের। এছাড়া তার (তুর্কী শাহাবুদদ্দীন) অজ্ঞাতসারে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহের দাবী করেন তিনি।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বিএনপি নেতা তুর্কী শাহাবুদদ্দীনসহ ৯জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে বিএনপি নেতা তুর্কী শাহাবুদদ্দীন তার প্রতিনিধির মাধ্যমে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বলে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে নিশ্চিত করা হলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেক ব্যপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়।
ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুর্কী শাহাবুদদ্দীনকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি দলীয় নেতাকর্মীরা। বিষয়টি ভাইরাল হয়ে গেলে নড়েচড়ে বসেন মোঃ শাহাবুদদ্দীন ওরফে তুর্কী শাহাবুদদ্দীন নামের এ নেতা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে মোবাইল ফোনে জানান, আপনারা ভেজাল লাগাই দিছেন, এত সকালে কেন-আরেকটু দেরিতে দিতেন। আরো পরে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচার বা প্রকাশ হলে ভালো হতো। অনেকেই লিখেছেন আমি বিএনপি নেতা, আমি তো বিএনপি নেতা নই ! । আপনি বিএনপি নেতা নন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার এখন পদ আছে নাকি? আমি নিজে মনোনয়নপত্র নিতে উপজেলাতে আসিনি। তবে রাত ১১টা ৫ মিনিটে তিনি ফের মোবাইলে কল করে জানান, আসলে আমার এক শুভাকাঙ্খি আমার হয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর আমি তো নির্বাচন করবো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবাসী বিএনপি নেতা জানান, তুর্কী শাহাবুদদ্দীন দলের নিবেদিত প্রান। দলের নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে সবসময় পাশে ছিলেন। মামলা হামলার ভয়ে বাড়ী ও দেশছাড়া হতে হয়েছে কয়েকবার। দলের সকল আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকায় সবসময় ছিলেন। উনার পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ কোন ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে বলেও দাবী করেন ফ্রান্স প্রবাসী এ নেতা।
তুফান খলিল নামের এক যুবদল কর্মী ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে জানান, আমরা মামলা হামলা মাথায় নিয়ে নির্বাচন ঠেকানো ও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে জীবন মরন বাজি রেখে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ছি, আর বেঈমানেরা আমাদের নিয়ে তামাশা করছে,বেঈমানদের ঠাই বাংলার জমিনে হবে না,ইনশাআল্লাহ।
যুবদল নেতা জামাল হোসেন পাটোয়ারী ফেসবুকে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে লিখেন, তূর্কী সাহাবুদ্দিন ও তার সহচরদের আজীবণের জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি। আপনারা চাইলে তার সহচরদের নাম প্রকাশ করব।
রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মনোয়ার হোসেন জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে মোঃ শাহাবুদদ্দীন ওরফে তুর্কী শাহাবুদদ্দীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিলো। তাকে বহিস্কার করা হয়নি। আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি তিনি (তুর্কী শাহাবুদদ্দীন) মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এ বিষয়ে দলীয় সিনিয়র ও নীতিনির্ধারকদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন