০৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

মতলব উত্তরে গ্রামীণ রাস্তা গিলে খাচ্ছে মাছ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২১
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মমিনুল ইসলাম:

পুকুর আছে, পাড় নাই। বছর না যেতেই কোটি টাকার রাস্তা ধ্বসে পড়ছে পুকুরের পানিতে। উপজেলায় বর্তমানে গ্রামীণ জনপদের রাস্তার ধারে গড়ে উঠা পুকুরগুলোর কারণে রাস্তার এরকম ভেঙে পড়ার চিত্র সবখানেই চোখে পড়ে। ছেংগারচর বাজার থেকে পাঁচানী হয়ে ফরাজীকান্দি ও আমিরাবাদ সড়কের দুই পাশে মাছ চাষের জন্য পুকুরের মাছ ঘিলে খাচ্ছে। পাঁচানী মাজারের কাছে, তপাদারপাড়া এলাকার সড়ক দিয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এসব রাস্তা বা সড়ক অল্প দিনের মধ্যেই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ফলে সরকারের প্রতিবছর রাস্তা মেরামতে কোটি কোটি টাকা জলে পড়ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা তৈরি করে। কিছুদিন না যেতেই এসব রাস্তা গিলে ফেলে পুকুরে। অল্প অল্প করে ভাঙতে ভাঙতে একসময় পুরো রাস্তায় বিলীন হয়ে যায় পুকুরে। এতে পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। বছরের পর বছর এসব ভাঙা রাস্তা আর মেরামত হয় না। পুুকুরধারে রাস্তা ভাঙনের জন্য কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। ফলে অবাধে গড়ে উঠা পাড় বিহীন পুকুরগুলোর কারণে একদিকে জনদুর্ভোগ বাড়ে অন্যদিকে সরকারের অপচয় হয় কোটি কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বিগত জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছিলেন রাস্তার ধারের পুকুর মালিকদের নিজ উদ্দ্যোগে (প্যালাসাইডিং বা রিটানিং) প্রটেকশন ওয়াল তৈরি করতে হবে। এবং রাস্তার ধারে পাড় ব্যতীত পুকুর খনন করা যাবে না।
উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন মিলে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩শ’ গ্রাম। প্রত্যেকটি গ্রামীণ এলাকায় রাস্তার ধারে রয়েছে অসংখ্য পুকুর। ছোট বড় পুকুর মিলে রাস্তাকে পাড় হিসেবে ব্যবহার করে পুকুর খনন করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে পুকুর মালিকরা রাস্তা বা রাস্তাটি পুকুর পাড় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বছরের পর বছর মাছ চাষ করার কারণে পুকুর পাড় হিসেবে ব্যবহৃত সরকারি রাস্তা গুলো ভেঙে পড়ছে। রাস্তা গুলো অতি অল্প সময়ে ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মনির হোসেন জানান, আমরা সরকারী টাকায় রাস্তা গুলো তৈরি করি। অথচ সেই রাস্তা কিছু দিন না যেতেই পুকুরে ধসে পড়ে। রাস্তার ধারে পাড় বিহীন পুকুর বিষয়ে উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে আমি একাধিকবার কথা বলেছি। এছাড়াও পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। তবে পুকুর মালিকরা কথা শোনে না। পুকুর মালিকদের সচেতনতা প্রয়োজন। ব্যাক্তিগত পুকুরের জন্য সরকারী সম্পদ নষ্ট করা আইনগত অপরাধ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

মতলব উত্তরে গ্রামীণ রাস্তা গিলে খাচ্ছে মাছ

আপডেট সময় : ০৯:১৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মমিনুল ইসলাম:

পুকুর আছে, পাড় নাই। বছর না যেতেই কোটি টাকার রাস্তা ধ্বসে পড়ছে পুকুরের পানিতে। উপজেলায় বর্তমানে গ্রামীণ জনপদের রাস্তার ধারে গড়ে উঠা পুকুরগুলোর কারণে রাস্তার এরকম ভেঙে পড়ার চিত্র সবখানেই চোখে পড়ে। ছেংগারচর বাজার থেকে পাঁচানী হয়ে ফরাজীকান্দি ও আমিরাবাদ সড়কের দুই পাশে মাছ চাষের জন্য পুকুরের মাছ ঘিলে খাচ্ছে। পাঁচানী মাজারের কাছে, তপাদারপাড়া এলাকার সড়ক দিয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এসব রাস্তা বা সড়ক অল্প দিনের মধ্যেই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ফলে সরকারের প্রতিবছর রাস্তা মেরামতে কোটি কোটি টাকা জলে পড়ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা তৈরি করে। কিছুদিন না যেতেই এসব রাস্তা গিলে ফেলে পুকুরে। অল্প অল্প করে ভাঙতে ভাঙতে একসময় পুরো রাস্তায় বিলীন হয়ে যায় পুকুরে। এতে পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। বছরের পর বছর এসব ভাঙা রাস্তা আর মেরামত হয় না। পুুকুরধারে রাস্তা ভাঙনের জন্য কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। ফলে অবাধে গড়ে উঠা পাড় বিহীন পুকুরগুলোর কারণে একদিকে জনদুর্ভোগ বাড়ে অন্যদিকে সরকারের অপচয় হয় কোটি কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বিগত জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছিলেন রাস্তার ধারের পুকুর মালিকদের নিজ উদ্দ্যোগে (প্যালাসাইডিং বা রিটানিং) প্রটেকশন ওয়াল তৈরি করতে হবে। এবং রাস্তার ধারে পাড় ব্যতীত পুকুর খনন করা যাবে না।
উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। পৌরসভা ও ইউনিয়ন মিলে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩শ’ গ্রাম। প্রত্যেকটি গ্রামীণ এলাকায় রাস্তার ধারে রয়েছে অসংখ্য পুকুর। ছোট বড় পুকুর মিলে রাস্তাকে পাড় হিসেবে ব্যবহার করে পুকুর খনন করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে পুকুর মালিকরা রাস্তা বা রাস্তাটি পুকুর পাড় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বছরের পর বছর মাছ চাষ করার কারণে পুকুর পাড় হিসেবে ব্যবহৃত সরকারি রাস্তা গুলো ভেঙে পড়ছে। রাস্তা গুলো অতি অল্প সময়ে ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মনির হোসেন জানান, আমরা সরকারী টাকায় রাস্তা গুলো তৈরি করি। অথচ সেই রাস্তা কিছু দিন না যেতেই পুকুরে ধসে পড়ে। রাস্তার ধারে পাড় বিহীন পুকুর বিষয়ে উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে আমি একাধিকবার কথা বলেছি। এছাড়াও পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। তবে পুকুর মালিকরা কথা শোনে না। পুকুর মালিকদের সচেতনতা প্রয়োজন। ব্যাক্তিগত পুকুরের জন্য সরকারী সম্পদ নষ্ট করা আইনগত অপরাধ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন