০৫:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

স্বল্প মূল্যে খাদ্য গ্রহণের আবেদনে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৫১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৫
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জুড়ী (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় সরকার ঘোষিত স্বল্প মূল্যের খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির আওতায় অনলাইনে বিনামূল্যে নিবন্ধন করার কথা থাকলেও উপকারভোগীদের গুণতে হচ্ছে টাকা। অনলাইন নিবন্ধনের জন্য অবৈধভাবে উপকারভোগীদের নিকট থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের পরিছন্নতা কর্মী মো. রাসেলের বিরুদ্ধে।

একাধিক সুত্র জানায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির আওতায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে অনলাইনে হতদরিদ্রদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। অনলাইনে কাজটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে হওয়ার কথা থাকলেও ধীরগতির কারণে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ খান তার অফিসের পরিছন্নতা কর্মী রাসেলকে অনলাইনে নিবন্ধন করার জন্য বলেন। কিন্তু এতে কোন ফিস নেওয়ার কথা না বললেও রাসেল অনেক হতদরিদ্রের নিকট থেকে টাকা নিয়েছেন বলে জানা যায়।

উপকভোকারভোগীরা জানান, বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর তারা খাদ্য গুদামে অনলাইন নিবন্ধন করতে আসলে রাসেল তাদের নিকট ২০০ টাকা ফিস দাবি করেন। অনেকে বাধ্য হয়ে ২০০ টাকা দিয়ে আবার কেউ কেউ ১০০ টাকা ফিস দিয়ে নিবন্ধন করেছেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্যরা খাদ্যগুদামে এসে প্রতিবাদ জানান।

অভিযুক্ত রাসেল জানান, আমি কারও নিকট কোন টাকা দাবি করি নাই। তবে যারা নিবন্ধন করেছেন তারা খুশি হয়ে আমাকে টাকা দিয়ে যাচ্ছেন।

পশ্চিম জুড়ী ইউপি সদস্য মিলন রুদ্র পাল বলেন, রাসেল আমার ওয়ার্ডের কয়েকজন হতদরিদ্রের থেকে অনলাইন নিবন্ধন বাবদ ২০০ টাকা করে নিয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আরিফ খান বলেন, টাকা নেয়ার জন্য আমি কোন নির্দেশ দেইনি। লোকজনের নিকট হতে টাকা নেয়ার বিষয়টি শুনেছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

স্বল্প মূল্যে খাদ্য গ্রহণের আবেদনে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:৫১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জুড়ী (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় সরকার ঘোষিত স্বল্প মূল্যের খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির আওতায় অনলাইনে বিনামূল্যে নিবন্ধন করার কথা থাকলেও উপকারভোগীদের গুণতে হচ্ছে টাকা। অনলাইন নিবন্ধনের জন্য অবৈধভাবে উপকারভোগীদের নিকট থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের পরিছন্নতা কর্মী মো. রাসেলের বিরুদ্ধে।

একাধিক সুত্র জানায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির আওতায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে অনলাইনে হতদরিদ্রদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। অনলাইনে কাজটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে হওয়ার কথা থাকলেও ধীরগতির কারণে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ খান তার অফিসের পরিছন্নতা কর্মী রাসেলকে অনলাইনে নিবন্ধন করার জন্য বলেন। কিন্তু এতে কোন ফিস নেওয়ার কথা না বললেও রাসেল অনেক হতদরিদ্রের নিকট থেকে টাকা নিয়েছেন বলে জানা যায়।

উপকভোকারভোগীরা জানান, বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর তারা খাদ্য গুদামে অনলাইন নিবন্ধন করতে আসলে রাসেল তাদের নিকট ২০০ টাকা ফিস দাবি করেন। অনেকে বাধ্য হয়ে ২০০ টাকা দিয়ে আবার কেউ কেউ ১০০ টাকা ফিস দিয়ে নিবন্ধন করেছেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্যরা খাদ্যগুদামে এসে প্রতিবাদ জানান।

অভিযুক্ত রাসেল জানান, আমি কারও নিকট কোন টাকা দাবি করি নাই। তবে যারা নিবন্ধন করেছেন তারা খুশি হয়ে আমাকে টাকা দিয়ে যাচ্ছেন।

পশ্চিম জুড়ী ইউপি সদস্য মিলন রুদ্র পাল বলেন, রাসেল আমার ওয়ার্ডের কয়েকজন হতদরিদ্রের থেকে অনলাইন নিবন্ধন বাবদ ২০০ টাকা করে নিয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আরিফ খান বলেন, টাকা নেয়ার জন্য আমি কোন নির্দেশ দেইনি। লোকজনের নিকট হতে টাকা নেয়ার বিষয়টি শুনেছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন