০৭:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনায় আস্থাশীল তৃণমূল আ’লীগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজ:-

হালুয়া রুটির আশায় দল করলে সিঁদুরে মেঘ দেখে ভয় পাওয়ার কথা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে তত বিদেশি রাষ্ট্র গুল সুষ্ঠু নির্বাচন,মানবাধিকার লঙ্ঘন, বাকস্বাধীনতা হরণ, অবাদ গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের উপর সাংশন জারি করেছে অথচ র‌্যাব কে প্রশিক্ষণ অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
বাংলাদেশের জংগীবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ নিয়ে তৎকালীন সরকার র‌্যাব গঠন করে। দেশের জংগিবাদ নিয়ন্ত্রণে কৃতিত্বেরস্বাক্ষর রেখেছে এই এলিট বাহিনী। শীর্ষ জংগিনেতা আব্দুর রহমান বাংলা ভাই, জেএমবি নব্য জেএমবি এটিবিটির মতো গুরুতর জংগী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র। সুন্দর বনের জলদস্যু নির্মূল করেছে র‌্যাব। মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে সাফল্য রয়েছেন এই বাহিনীর।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর বন্দুকধারীদের অনেক নারী পুরুষ শিশু কিশোরসহ অসংখ্য মানুষকে মারা যায় তখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ হয় না। শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে অহরহ সহিংসতারা ঘটনা ঘটছে লোকজন মারা যাচ্ছে। তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র ব্যবসা করছে। মধুপ্রাচ্যের সঙ্গে ইসরায়েলের দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ সৃষ্টি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা স্বপ্ন দেখেন। যারা দেশের শোষিত বঞ্চিত অবহেলিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করছেন তারা নির্ভয় চিত্তে বিরাজমান। নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চান। যাতে সকল মানুষ ভোট দিতে পারে। কোন বিদেশি শক্তির প্রভাবে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হোক তা চায় না তৃণমূল আওয়ামী লীগ।
কেউ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কারো প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই। আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা আগুন সন্ত্রাস বাসে মানুষ পূড়িয়ে হত্যা, গাড়িতে আগুন দেয়া, হরতাল অবরোধ অসহযোগ আন্দোলন বা যেকোনো সহিংস আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান তাদের।
আমেরিকার স্যাংশন, ভিসানীতির ধার ধারে না। আমেরিকার ভিসা পাইলে কি না পাইলেই কি। তারা এসব বুঝেনা বুঝার দরকার নেই। যারা আমেরিকাতে ঘরবাড়ি সহায় সম্পদ করেছে তারা বিপদে পড়বো এতে তৃণমূল আওয়ামী লীগের কিছু আসে যায় না। তারা তৃণমূলের কর্মী তারা ভয় পায় না।
এরা এলাকার দৃশ্যমান উন্নয়ন বুঝে নিয়ে কথা বলে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, সাবমার্সিবল টিউবওয়েল, রাস্তাঘাট, স্কুল,কলেজ, সেতু, নুতন নুতন ভবণ নিতন অবকাঠামো নির্মাণ এসব হলো উন্নয়ন। শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতেই বই বিনাবেতনে লেখাপড়া, তিন মাস পরপর উপবৃত্তি। গ্রামের অসহায় মানুষের জন্য, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা, প্রতিবন্ধিভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা। ভিজিএফ,ভিজিডির চাল, ফেয়ার প্রাইসের চাল আটা, ওএমএস এর চাল আটা, কমদামে টিসিবির তেল ডাল চিনি পিয়াজ সহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যে ক্রয়।
হাতে হাতে কমদামে স্মার্ট মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট সেবা প্রদান।কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার, কমিউনিটি ক্লিনিক চালু, প্রশিক্ষিত ধাত্রীদিয়ে প্রসুতি মায়ের প্রসব সেবা প্রদান, বিনা মূল্যে করোনার টিকা প্রদান, উপজেলা হাসপাতাল, ক্লিনিকে ডাক্তার দেখানো মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ। ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ নগদ সহ বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক সেবা প্রদান, ডিজিটাল ভুমি সেবা প্রদান এরকম অনেক অনেক খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের উন্নয়ন করেছেন।
তারা দেখতে পায় এই সরকারের ১৫ বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ড স্বাধীনতার পর থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহাবুদ্দিন আহমদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে এতো উন্নয়ন হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা আর কোন সরকার করতে পারেনি। এটা তারা বুঝতে পেরেছেন। দেশের উন্নয়নের চেয়ে নিজের এলাকায় কি উন্নয়ন হয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেন। নিজদের গ্রামে উপজেলা শহরে জেলার উন্নয়ন প্রাধান্য পেয়েছে তাদের কাছে। গেল ১২ বছরের নিত্যপণ্যের দিন নিয়ে কোন অভাব নেই তাদের কিন্তু ২০২২ ও ২৩ সালে নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধি নিয়ে অনেক অভিযোগ অনুযোগ রয়েছে তাদের। সরকারের কাছে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, আলু, আটা ময়দা মসলসহ নিতপণ্যের দাম কমানোর জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি করেন তারা। কৃষি উপকরণ এর সার বীজ কীটনাশক ডিজেল বিদ্যুৎ ইত্যাদির দাম কমানোর দাবি করেন কৃষক।
তারা আওয়ামীলীগ আর শেখ হাসিনা বুঝে এর বাইরে কিচ্ছু বুঝে না। বুঝতে চায় না। তারা স্ব শিক্ষিত সমর্থক। তারা দলের পরীক্ষিত, ত্যাগীকর্মী। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অন্ধ বিশ্বাস করে অন্য কারো ধার ধারে না।
চাওয়া পাওয়ার আশায় দল করে না। এরা দলের কাছে নেত্রীর কাছে ভালোবাসা ও স্বীকৃতি পেতে চায়। আলোচিত ওয়ান ইলেভেনের সময় মাইনাস ওয়ান ফর্মূলা ভেস্তে দিয়ে ছিল।
এরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রগামী সৈনিক। বুলেট সামনে দাঁড়িয়ে জীবন দিতে জানে। এরা শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোষহীন। এরা সু-সময়ে দূরে থাকে দুঃ সময়ে দলের জন্য জীবন বিসর্জন দিতে এক পা পিছু হাঁটেনা।
এরা অখ্যাত অপরিচিত জনারণ্যে বাস করে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকে। শেখ হাসিনা ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই স্লোগানে রাজপথ কাপিয়ে তুলে ধাপিয়ে বেড়ায়।
এরা জয় বাংলার লোক। পদপদবী চায় না, এরা এমপি মন্ত্রী হতে চায় না। চায় শুধু শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। অন্যকারো কথায় এরা বিশ্বাস করে না নড়ে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি পরোক্ষ কমান্ডে চলে। নেত্রী ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করে না গণায় ধরে না। এরা নেত্রীর কথা শুনে মানে। এরা একরোখা জেদি শক্তিশালী. ঐক্যবদ্ধ।
তারা জান মানে তিন মেয়াদের শাসনকালে সরকারের অনেক ভুল ত্রুটি হয়েছে আবার ভালো কিছু হয়েছে। তারা খবর রাখে কারা দলের ভাবমূ্তি ক্ষুন্ন করেছে। ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী, অনুপ্রবেশকারীদের কর্মকান্ড জড়িতদের নাম পরিচয় জানেন।
ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ সহ জীবনের শুরু থেকে যারা দল করে আওয়ামীলীগে এসেছেন তারা দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেনি।
মুক্তিযুদ্ধ,সাম্যবাদ, ক্ষুধা,দারিদ্র্যমুক্ত বাংলার স্বপ্ন দ্যাখে তারা। তাই কারো কোন হুমকি ধামকিতে কখনো ভয় পায় না। এরা লক্ষ্য ভেদ করে সামনে এগিয়ে যায়। দলের কাছে চাওয়া পাওয়ার নেই। তবে গেল তিন মেয়াদে কেউ আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়নি। বড়বড় নেতারা দল ছেড়ে গেলেও তৃণমূলের দিন আনে দিন খায় মানুষ কখনো শেখ হাসিনাকে ছেড়ে যাবে না।
এদের লন্ডন, আমেরিকা,মালেশিয়া,দুবাই বা কানাডা কোন বাড়িঘর নেই। সুইচব্যাংক তো দূরের কথা দেশের কোন ব্যাংকে এদের কোন একাউন্ট নেই। লড়াই সংগ্রামের দিনগুলোতে পালিয়ে যায়নি আর যাবেও না। এরা তৃণমূল খেটে খাওয়া কর্মী সমর্থক। রাজপথ এদের ঠিকানা আগেও রাজপথে ছিলো এখনো রাজপথে আছে পরেও রাজপথে থাকবে।
এরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। এরা রাজপথের খেলায় দক্ষ খেলোয়াড়। এরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডান হাত। এরা জানবাজ খেলোয়াড় রাজপথের তপ্ত কালো পিচের গরমে পাকাপোক্ত পিছুটানহীন খেলোয়াড়। এরা জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বিশ্বাসী।
তিন মেয়াদে সুবিধাবাদী আর সুবিধা ভোগীদের দৌরাত্বে কোনঠাসা হয়ে পড়ে আছে। অর্থ বিত্ত প্রাচূর্য সহায় সম্পদহীন মানুষ তারা। গেল তিন মেয়াদে নির্বাচনের পরে কেউ তাদের খোঁজ খবর নেয়নি।
তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের অপেক্ষা। রাজপথে যাওয়ার জন্য সদা প্রস্তুত। তারা ক্ষন গননা করছেন রাজপথে যাওয়ার। প্রহর গুনেছেন। শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে রাজপথে দাপিয়ে বেড়াবে।
তারা তৃণমূল আওয়ামী লীগের নির্লোভ, নিরহঙ্কার,নির্মোহ কর্মী। একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাসী ও আপোষহীন। কোন ক্ষমতাশালী দেশের হুমকি ধামকিতে ভয় পায় না। হারানোর ভয় নেই তাদের। বিনিময়ে কোন কিছু পাওয়ার লোভ লালসা নেই।
কোটি কোটি তৃণমূল কর্মী সমর্থকের অকৃত্রিম অকৃপণ ভালোবাসায় আবৃত আওয়ামীলীগ। এরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের অমূল্য সম্পদ। এরা তৃণমূল। নেত্রীর প্রশ্নে এক তিল ছাড় দেয় না দেবে না তারা।
দলের অন্যদের প্রতি অনেক অভিযোগ অনুযোগ অবিশ্বাস রয়েছে তাদের। তিন মেয়াদে দলীয় অনেক নেতা-নেত্রীর জন সমর্থন কমলেও বেড়েছে শেখ হাসিনার সমর্থন। তারা বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণনেত্রী।
প্রতিদিন এরা রোদে পোড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শীতের কুয়াশায় ঝেরে ফেলে মাঠে কাজ করে। হাওর নদীতে মাছ ধরে এরা ভ্যান চালক, রিকসা চালক কুলি মজুর শ্রমিক। মোটা চালের ভাত, মরিচ ভর্তা, শুটকি ভর্তা দিয়ে উদর পুরে ভাত খায়। খাবার নিয়ে এদের কোন আপসোস নেই। কায়িক শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলে শক্ত কাথা বালিশে আরামে ঘুমায়।
তৃণমূল জন্মছে আওয়ামীলীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। এরা অপ্রকাশ্য দল করে কিন্তু দলীয় সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে না এরা ত্যাগী। তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা নেতানেত্রী দল শোধ করতে পারবেন না। তারা নিজের সবটুকু দিয়ে দল করে দলের জানবাজ কর্মী সমর্থক। তারা খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। পেশায় কৃষক, শ্রমিক, মজুর, জেলে, ক্লিনার, ঋষি সম্প্রদায়ের লোকজন। তারা সবাই দিন আনে দিন খায়। তারা দলের কট্টর কর্মী সমর্থক। তারা শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। তারা নৌকা মার্কার কট্টর ভোটার। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল। দলীয়, নীতিতে হিমালয়ের অনড় অটল। তাদের সংগে দায়িত্বশীল নেতাদের পরিচয়,স্বাক্ষাত, চেনাজানা, কোন কিছু নেই। তারা দায়িত্বশীলদের নাম জানে কিন্তু আসেনা। দলের কর্মসুচিতে তারা সরবে ওঠে আবার নীরবে চলে যায়।
এরা সরকারের তিন মেয়াদের তারা কোন কিছুর আবদার নিয়ে এমপি মন্ত্রী কাছে যাননি। দীর্ঘ সময়ে সরকার, দল,নেতানেত্রীর কাছে কোন চাওয়া পাওয়ার নেই তাদের।
এরা দলের নিঃস্বার্থ নীরব কর্মী ও সরব সমর্থক। এরা শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে। এরা অসম্ভব মুজিববাদী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। লোক দেখানো দল করে না। তারা না নীরবে নিভৃতে সংগঠন করে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বস্ত স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী। এরা দলের দুঃসময়ের কান্ডারী। এরা পায়ে হেঁটে দলীয় কর্মসুচিতে অংশ গ্রহণ করে। আবার পেট পুরে পানি খেয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
তবে এরা প্রতিবাদী, ন্যায়বাদী, মানবিক ও সুবিবেচক। এরা দলকে সন্তানের মতো ভালোবাসে। এরা দলে দুষ্টোর দমম আর শিষ্টের পালন চায়। তাই দলীয় ভাবমূর্তি বিনষ্ট কারী, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী,ক্ষমতার অপব্যবহারকারী,সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট,অনুপ্রবেশকারী, বিশৃঙ্খলাকারী, গ্রুপিং সৃষ্টি কারী, আধিপত্যবাদী, দলে অনুপ্রবেশকারীদের ঠাই দেয়ার বিপক্ষে তারা।
অপকর্মে লিপ্তরা যত প্রভাবশালী ধনাঢ্য শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে চিহ্নিত করে নেতৃত্ব থেকে বাদ দিয়ে ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যার গায়ে জামায়াত বিএনপি বা অন্যকোন দলের ট্যাগ মার্ক নেই। যাদের বিরুদ্ধে জামায়াত বিএনপির পৃষ্টপোষকতা ও প্রতিপালনের অভিযোগ আছে তাদের বাদ দিতে হবে। নয়তো দলের দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতি হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ, হাইব্রিড, দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী, জামায়াত বিএনপির পৃষ্টপোষকদের দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার কথা বলেন।
তারা বলেন, আগামী নির্বাচন সরকার ও দলের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। তাই সঠিক প্রার্থী মনোনয়ন দিলে সহজে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা যাবে। প্রার্থী মনোনয়ন ক্ষেত্রে এতো টুকু ভুল করলে বিপর্যয় নেমে আসবে।
নোট: এই লেখায় নিজস্ব মতামত নেই। মাঠে ঘাটে, হাটবাজারে, চায়ের দোকানের, রেস্টুরেন্টে, পর্যটনকেন্দ্রে,ট্রলার ঘাটে,গ্রামীণ বাজারে, হাওরে নদীতে বা সড়কে অর্থাৎ শ্রমজীবী, জেলে কামার, কুমার, মজুর, কৃষক, কৃষি শ্রমিক, রিকসা, ঠেলা, ভ্যন চালক, ভাসমান দোকানদার, শিক্ষিত রাজনীতি সচেতন যুবক, নুতন ভোটার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, এমন অনেক মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন স্থানীয় জাতীয় ও আন্তরিকতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। কথা বলেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। তারা খোলামেলা আলোচনা করেছেন এসব বিষয় নিয়ে মতামত দিয়েছেন নিজেদের।
লেখক হিমাদ্রি শেখর ভদ্র: স্টাফ রিপোর্টার সময় টেলিভিশন ও সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনায় আস্থাশীল তৃণমূল আ’লীগ

আপডেট সময় : ১২:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রতিদিনের নিউজ:-

হালুয়া রুটির আশায় দল করলে সিঁদুরে মেঘ দেখে ভয় পাওয়ার কথা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে তত বিদেশি রাষ্ট্র গুল সুষ্ঠু নির্বাচন,মানবাধিকার লঙ্ঘন, বাকস্বাধীনতা হরণ, অবাদ গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের উপর সাংশন জারি করেছে অথচ র‌্যাব কে প্রশিক্ষণ অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
বাংলাদেশের জংগীবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ নিয়ে তৎকালীন সরকার র‌্যাব গঠন করে। দেশের জংগিবাদ নিয়ন্ত্রণে কৃতিত্বেরস্বাক্ষর রেখেছে এই এলিট বাহিনী। শীর্ষ জংগিনেতা আব্দুর রহমান বাংলা ভাই, জেএমবি নব্য জেএমবি এটিবিটির মতো গুরুতর জংগী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র। সুন্দর বনের জলদস্যু নির্মূল করেছে র‌্যাব। মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে সাফল্য রয়েছেন এই বাহিনীর।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর বন্দুকধারীদের অনেক নারী পুরুষ শিশু কিশোরসহ অসংখ্য মানুষকে মারা যায় তখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ হয় না। শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে অহরহ সহিংসতারা ঘটনা ঘটছে লোকজন মারা যাচ্ছে। তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র ব্যবসা করছে। মধুপ্রাচ্যের সঙ্গে ইসরায়েলের দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ সৃষ্টি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা স্বপ্ন দেখেন। যারা দেশের শোষিত বঞ্চিত অবহেলিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করছেন তারা নির্ভয় চিত্তে বিরাজমান। নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চান। যাতে সকল মানুষ ভোট দিতে পারে। কোন বিদেশি শক্তির প্রভাবে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হোক তা চায় না তৃণমূল আওয়ামী লীগ।
কেউ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কারো প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই। আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা আগুন সন্ত্রাস বাসে মানুষ পূড়িয়ে হত্যা, গাড়িতে আগুন দেয়া, হরতাল অবরোধ অসহযোগ আন্দোলন বা যেকোনো সহিংস আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান তাদের।
আমেরিকার স্যাংশন, ভিসানীতির ধার ধারে না। আমেরিকার ভিসা পাইলে কি না পাইলেই কি। তারা এসব বুঝেনা বুঝার দরকার নেই। যারা আমেরিকাতে ঘরবাড়ি সহায় সম্পদ করেছে তারা বিপদে পড়বো এতে তৃণমূল আওয়ামী লীগের কিছু আসে যায় না। তারা তৃণমূলের কর্মী তারা ভয় পায় না।
এরা এলাকার দৃশ্যমান উন্নয়ন বুঝে নিয়ে কথা বলে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, সাবমার্সিবল টিউবওয়েল, রাস্তাঘাট, স্কুল,কলেজ, সেতু, নুতন নুতন ভবণ নিতন অবকাঠামো নির্মাণ এসব হলো উন্নয়ন। শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতেই বই বিনাবেতনে লেখাপড়া, তিন মাস পরপর উপবৃত্তি। গ্রামের অসহায় মানুষের জন্য, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা, প্রতিবন্ধিভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা। ভিজিএফ,ভিজিডির চাল, ফেয়ার প্রাইসের চাল আটা, ওএমএস এর চাল আটা, কমদামে টিসিবির তেল ডাল চিনি পিয়াজ সহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যে ক্রয়।
হাতে হাতে কমদামে স্মার্ট মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট সেবা প্রদান।কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার, কমিউনিটি ক্লিনিক চালু, প্রশিক্ষিত ধাত্রীদিয়ে প্রসুতি মায়ের প্রসব সেবা প্রদান, বিনা মূল্যে করোনার টিকা প্রদান, উপজেলা হাসপাতাল, ক্লিনিকে ডাক্তার দেখানো মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ। ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ নগদ সহ বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক সেবা প্রদান, ডিজিটাল ভুমি সেবা প্রদান এরকম অনেক অনেক খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের উন্নয়ন করেছেন।
তারা দেখতে পায় এই সরকারের ১৫ বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ড স্বাধীনতার পর থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহাবুদ্দিন আহমদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে এতো উন্নয়ন হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা আর কোন সরকার করতে পারেনি। এটা তারা বুঝতে পেরেছেন। দেশের উন্নয়নের চেয়ে নিজের এলাকায় কি উন্নয়ন হয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেন। নিজদের গ্রামে উপজেলা শহরে জেলার উন্নয়ন প্রাধান্য পেয়েছে তাদের কাছে। গেল ১২ বছরের নিত্যপণ্যের দিন নিয়ে কোন অভাব নেই তাদের কিন্তু ২০২২ ও ২৩ সালে নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধি নিয়ে অনেক অভিযোগ অনুযোগ রয়েছে তাদের। সরকারের কাছে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, আলু, আটা ময়দা মসলসহ নিতপণ্যের দাম কমানোর জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি করেন তারা। কৃষি উপকরণ এর সার বীজ কীটনাশক ডিজেল বিদ্যুৎ ইত্যাদির দাম কমানোর দাবি করেন কৃষক।
তারা আওয়ামীলীগ আর শেখ হাসিনা বুঝে এর বাইরে কিচ্ছু বুঝে না। বুঝতে চায় না। তারা স্ব শিক্ষিত সমর্থক। তারা দলের পরীক্ষিত, ত্যাগীকর্মী। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অন্ধ বিশ্বাস করে অন্য কারো ধার ধারে না।
চাওয়া পাওয়ার আশায় দল করে না। এরা দলের কাছে নেত্রীর কাছে ভালোবাসা ও স্বীকৃতি পেতে চায়। আলোচিত ওয়ান ইলেভেনের সময় মাইনাস ওয়ান ফর্মূলা ভেস্তে দিয়ে ছিল।
এরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রগামী সৈনিক। বুলেট সামনে দাঁড়িয়ে জীবন দিতে জানে। এরা শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোষহীন। এরা সু-সময়ে দূরে থাকে দুঃ সময়ে দলের জন্য জীবন বিসর্জন দিতে এক পা পিছু হাঁটেনা।
এরা অখ্যাত অপরিচিত জনারণ্যে বাস করে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকে। শেখ হাসিনা ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই স্লোগানে রাজপথ কাপিয়ে তুলে ধাপিয়ে বেড়ায়।
এরা জয় বাংলার লোক। পদপদবী চায় না, এরা এমপি মন্ত্রী হতে চায় না। চায় শুধু শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। অন্যকারো কথায় এরা বিশ্বাস করে না নড়ে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি পরোক্ষ কমান্ডে চলে। নেত্রী ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করে না গণায় ধরে না। এরা নেত্রীর কথা শুনে মানে। এরা একরোখা জেদি শক্তিশালী. ঐক্যবদ্ধ।
তারা জান মানে তিন মেয়াদের শাসনকালে সরকারের অনেক ভুল ত্রুটি হয়েছে আবার ভালো কিছু হয়েছে। তারা খবর রাখে কারা দলের ভাবমূ্তি ক্ষুন্ন করেছে। ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী, অনুপ্রবেশকারীদের কর্মকান্ড জড়িতদের নাম পরিচয় জানেন।
ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ সহ জীবনের শুরু থেকে যারা দল করে আওয়ামীলীগে এসেছেন তারা দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেনি।
মুক্তিযুদ্ধ,সাম্যবাদ, ক্ষুধা,দারিদ্র্যমুক্ত বাংলার স্বপ্ন দ্যাখে তারা। তাই কারো কোন হুমকি ধামকিতে কখনো ভয় পায় না। এরা লক্ষ্য ভেদ করে সামনে এগিয়ে যায়। দলের কাছে চাওয়া পাওয়ার নেই। তবে গেল তিন মেয়াদে কেউ আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়নি। বড়বড় নেতারা দল ছেড়ে গেলেও তৃণমূলের দিন আনে দিন খায় মানুষ কখনো শেখ হাসিনাকে ছেড়ে যাবে না।
এদের লন্ডন, আমেরিকা,মালেশিয়া,দুবাই বা কানাডা কোন বাড়িঘর নেই। সুইচব্যাংক তো দূরের কথা দেশের কোন ব্যাংকে এদের কোন একাউন্ট নেই। লড়াই সংগ্রামের দিনগুলোতে পালিয়ে যায়নি আর যাবেও না। এরা তৃণমূল খেটে খাওয়া কর্মী সমর্থক। রাজপথ এদের ঠিকানা আগেও রাজপথে ছিলো এখনো রাজপথে আছে পরেও রাজপথে থাকবে।
এরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। এরা রাজপথের খেলায় দক্ষ খেলোয়াড়। এরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডান হাত। এরা জানবাজ খেলোয়াড় রাজপথের তপ্ত কালো পিচের গরমে পাকাপোক্ত পিছুটানহীন খেলোয়াড়। এরা জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বিশ্বাসী।
তিন মেয়াদে সুবিধাবাদী আর সুবিধা ভোগীদের দৌরাত্বে কোনঠাসা হয়ে পড়ে আছে। অর্থ বিত্ত প্রাচূর্য সহায় সম্পদহীন মানুষ তারা। গেল তিন মেয়াদে নির্বাচনের পরে কেউ তাদের খোঁজ খবর নেয়নি।
তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের অপেক্ষা। রাজপথে যাওয়ার জন্য সদা প্রস্তুত। তারা ক্ষন গননা করছেন রাজপথে যাওয়ার। প্রহর গুনেছেন। শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে রাজপথে দাপিয়ে বেড়াবে।
তারা তৃণমূল আওয়ামী লীগের নির্লোভ, নিরহঙ্কার,নির্মোহ কর্মী। একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাসী ও আপোষহীন। কোন ক্ষমতাশালী দেশের হুমকি ধামকিতে ভয় পায় না। হারানোর ভয় নেই তাদের। বিনিময়ে কোন কিছু পাওয়ার লোভ লালসা নেই।
কোটি কোটি তৃণমূল কর্মী সমর্থকের অকৃত্রিম অকৃপণ ভালোবাসায় আবৃত আওয়ামীলীগ। এরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের অমূল্য সম্পদ। এরা তৃণমূল। নেত্রীর প্রশ্নে এক তিল ছাড় দেয় না দেবে না তারা।
দলের অন্যদের প্রতি অনেক অভিযোগ অনুযোগ অবিশ্বাস রয়েছে তাদের। তিন মেয়াদে দলীয় অনেক নেতা-নেত্রীর জন সমর্থন কমলেও বেড়েছে শেখ হাসিনার সমর্থন। তারা বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণনেত্রী।
প্রতিদিন এরা রোদে পোড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, শীতের কুয়াশায় ঝেরে ফেলে মাঠে কাজ করে। হাওর নদীতে মাছ ধরে এরা ভ্যান চালক, রিকসা চালক কুলি মজুর শ্রমিক। মোটা চালের ভাত, মরিচ ভর্তা, শুটকি ভর্তা দিয়ে উদর পুরে ভাত খায়। খাবার নিয়ে এদের কোন আপসোস নেই। কায়িক শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলে শক্ত কাথা বালিশে আরামে ঘুমায়।
তৃণমূল জন্মছে আওয়ামীলীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। এরা অপ্রকাশ্য দল করে কিন্তু দলীয় সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে না এরা ত্যাগী। তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা নেতানেত্রী দল শোধ করতে পারবেন না। তারা নিজের সবটুকু দিয়ে দল করে দলের জানবাজ কর্মী সমর্থক। তারা খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। পেশায় কৃষক, শ্রমিক, মজুর, জেলে, ক্লিনার, ঋষি সম্প্রদায়ের লোকজন। তারা সবাই দিন আনে দিন খায়। তারা দলের কট্টর কর্মী সমর্থক। তারা শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। তারা নৌকা মার্কার কট্টর ভোটার। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল। দলীয়, নীতিতে হিমালয়ের অনড় অটল। তাদের সংগে দায়িত্বশীল নেতাদের পরিচয়,স্বাক্ষাত, চেনাজানা, কোন কিছু নেই। তারা দায়িত্বশীলদের নাম জানে কিন্তু আসেনা। দলের কর্মসুচিতে তারা সরবে ওঠে আবার নীরবে চলে যায়।
এরা সরকারের তিন মেয়াদের তারা কোন কিছুর আবদার নিয়ে এমপি মন্ত্রী কাছে যাননি। দীর্ঘ সময়ে সরকার, দল,নেতানেত্রীর কাছে কোন চাওয়া পাওয়ার নেই তাদের।
এরা দলের নিঃস্বার্থ নীরব কর্মী ও সরব সমর্থক। এরা শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে। এরা অসম্ভব মুজিববাদী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। লোক দেখানো দল করে না। তারা না নীরবে নিভৃতে সংগঠন করে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বস্ত স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী। এরা দলের দুঃসময়ের কান্ডারী। এরা পায়ে হেঁটে দলীয় কর্মসুচিতে অংশ গ্রহণ করে। আবার পেট পুরে পানি খেয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
তবে এরা প্রতিবাদী, ন্যায়বাদী, মানবিক ও সুবিবেচক। এরা দলকে সন্তানের মতো ভালোবাসে। এরা দলে দুষ্টোর দমম আর শিষ্টের পালন চায়। তাই দলীয় ভাবমূর্তি বিনষ্ট কারী, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী,ক্ষমতার অপব্যবহারকারী,সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট,অনুপ্রবেশকারী, বিশৃঙ্খলাকারী, গ্রুপিং সৃষ্টি কারী, আধিপত্যবাদী, দলে অনুপ্রবেশকারীদের ঠাই দেয়ার বিপক্ষে তারা।
অপকর্মে লিপ্তরা যত প্রভাবশালী ধনাঢ্য শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে চিহ্নিত করে নেতৃত্ব থেকে বাদ দিয়ে ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যার গায়ে জামায়াত বিএনপি বা অন্যকোন দলের ট্যাগ মার্ক নেই। যাদের বিরুদ্ধে জামায়াত বিএনপির পৃষ্টপোষকতা ও প্রতিপালনের অভিযোগ আছে তাদের বাদ দিতে হবে। নয়তো দলের দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতি হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ, হাইব্রিড, দলের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী, জামায়াত বিএনপির পৃষ্টপোষকদের দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার কথা বলেন।
তারা বলেন, আগামী নির্বাচন সরকার ও দলের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। তাই সঠিক প্রার্থী মনোনয়ন দিলে সহজে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা যাবে। প্রার্থী মনোনয়ন ক্ষেত্রে এতো টুকু ভুল করলে বিপর্যয় নেমে আসবে।
নোট: এই লেখায় নিজস্ব মতামত নেই। মাঠে ঘাটে, হাটবাজারে, চায়ের দোকানের, রেস্টুরেন্টে, পর্যটনকেন্দ্রে,ট্রলার ঘাটে,গ্রামীণ বাজারে, হাওরে নদীতে বা সড়কে অর্থাৎ শ্রমজীবী, জেলে কামার, কুমার, মজুর, কৃষক, কৃষি শ্রমিক, রিকসা, ঠেলা, ভ্যন চালক, ভাসমান দোকানদার, শিক্ষিত রাজনীতি সচেতন যুবক, নুতন ভোটার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, এমন অনেক মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন স্থানীয় জাতীয় ও আন্তরিকতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। কথা বলেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। তারা খোলামেলা আলোচনা করেছেন এসব বিষয় নিয়ে মতামত দিয়েছেন নিজেদের।
লেখক হিমাদ্রি শেখর ভদ্র: স্টাফ রিপোর্টার সময় টেলিভিশন ও সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন