০৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

লালমনিরহাটে সাঈদীকে ঘিরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস ১৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বহিষ্কার

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:২৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:

জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় লালমনিরহাটে ১৩ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীকে বহিস্কার করা হয়েছে। শনিবার(১৯ আগস্ট) রাতে জেলা ছাত্রলীগের জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে সাময়িক বহিস্কার করা হয় বলে প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে দাবি করেন জেলা ছাত্রলীগ।
বহিস্কার আদেশ প্রাপ্তরা হলেন, লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরু, চলবলা ইউনিয়ন সভাপতি সাইদুর রহমান সুমন, গড্ডিমারী ইউনিয়ন সভাপতি হাসান ভুইয়া, গোতামারী ইউনিয়ন যুগ্ন সম্পাদক মোনাব্বেরুল হক মিশেল, টংভাঙ্গা ইউনিয়নের যুগ্ন সম্পাদক আল আমিন হোসেন সাগর, উত্তরণ ডিগ্রী কলেজের কর্মী মামুনুর রশিদ লিওন খান, মোগলহাট ইউনিয়ন শাখার সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম রানা, যুগ্ন সম্পাদক ইব্রাহীম ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবিন, লালমনিরহাট পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সহ সভাপতি শ্রাবন হোসেন, লালমনিরহাট পৌর শাখার সদস্য ইসমাইল হোসেন, পাটগ্রাম পৌর শাখার ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য ইবনে রুসদ ও জোংডা ইউনিয়ন শাখার সহ সভাপতি সহিদ হোসেন।
প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় তাদের সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে এদের প্রত্যেককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে সুনির্দিষ্ট কী কারণে ১৩জন ছাত্রলীগ নেতাকে একসাথে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তা ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
ছাত্রলীগের একাধিক নেতা দাবি করেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরু তার ব্যাক্তিগত ফেসবুকে গত ১৪ আগস্ট রাতে একটি স্ট্যাটাস দেন। যার ছিল, “আজকে শিবির চেনার দিন! দলের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা মানসিকভাবে জামাত-শিবিরদের আজকে চিনতে পারবেন!। এই স্ট্যাটাসে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্ঠি হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য করেন। শনিবার(১৯ আগস্ট) রাতে রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে এই স্ট্যাটাসকে ঘিরে তাকে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলেও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরু।
সেখানে তিনি দাবি করেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকসহ কতিপয় লোকজন তাকে মারপিট ও লাঞ্চিত করে। যা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদককেও মৌখিক অবগত করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পরেই জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরুসহ ১৩ জন নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিস্কারের প্রেস বিজ্ঞাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক আরিফ ইসলাম ও সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশকে একাধিকবার ফোন করেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেন নি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

লালমনিরহাটে সাঈদীকে ঘিরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস ১৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বহিষ্কার

আপডেট সময় : ০৬:২৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:

জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় লালমনিরহাটে ১৩ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীকে বহিস্কার করা হয়েছে। শনিবার(১৯ আগস্ট) রাতে জেলা ছাত্রলীগের জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে সাময়িক বহিস্কার করা হয় বলে প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে দাবি করেন জেলা ছাত্রলীগ।
বহিস্কার আদেশ প্রাপ্তরা হলেন, লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরু, চলবলা ইউনিয়ন সভাপতি সাইদুর রহমান সুমন, গড্ডিমারী ইউনিয়ন সভাপতি হাসান ভুইয়া, গোতামারী ইউনিয়ন যুগ্ন সম্পাদক মোনাব্বেরুল হক মিশেল, টংভাঙ্গা ইউনিয়নের যুগ্ন সম্পাদক আল আমিন হোসেন সাগর, উত্তরণ ডিগ্রী কলেজের কর্মী মামুনুর রশিদ লিওন খান, মোগলহাট ইউনিয়ন শাখার সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম রানা, যুগ্ন সম্পাদক ইব্রাহীম ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবিন, লালমনিরহাট পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সহ সভাপতি শ্রাবন হোসেন, লালমনিরহাট পৌর শাখার সদস্য ইসমাইল হোসেন, পাটগ্রাম পৌর শাখার ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য ইবনে রুসদ ও জোংডা ইউনিয়ন শাখার সহ সভাপতি সহিদ হোসেন।
প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় তাদের সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে এদের প্রত্যেককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে সুনির্দিষ্ট কী কারণে ১৩জন ছাত্রলীগ নেতাকে একসাথে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তা ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
ছাত্রলীগের একাধিক নেতা দাবি করেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরু তার ব্যাক্তিগত ফেসবুকে গত ১৪ আগস্ট রাতে একটি স্ট্যাটাস দেন। যার ছিল, “আজকে শিবির চেনার দিন! দলের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা মানসিকভাবে জামাত-শিবিরদের আজকে চিনতে পারবেন!। এই স্ট্যাটাসে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্ঠি হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য করেন। শনিবার(১৯ আগস্ট) রাতে রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে এই স্ট্যাটাসকে ঘিরে তাকে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলেও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরু।
সেখানে তিনি দাবি করেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকসহ কতিপয় লোকজন তাকে মারপিট ও লাঞ্চিত করে। যা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদককেও মৌখিক অবগত করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পরেই জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরুসহ ১৩ জন নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিস্কারের প্রেস বিজ্ঞাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক আরিফ ইসলাম ও সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশকে একাধিকবার ফোন করেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেন নি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন