তারাকান্দায় অর্ধশতাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি’র প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন
- আপডেট সময় : ০৭:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৪
তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১৬ সালে সওগাত নাজবিন খানের কমনওয়েলথ পুরস্কার পাওয়া নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার তারাকান্দা বাজারে অবস্থিত হার্ভার্ড এক্সেস (এইচ এ) ডিজিটাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যা খায়রুজ্জামান খান সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
তারাকান্দায় প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড এক্সেস স্কুল এন্ড কলেজে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে খায়রুজ্জামান খান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তাঁর লিখিত বক্তব্য অনুযায়ী তথ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রপ্ত যুগ্ম সচিব মোখলেছুর রহমান খানসহ তিনজনের কাছ থেকে একটি একতলা বাড়িসহ জমি ইজারা নিয়ে পাঁচ বিশিষ্ট ভবন করে খায়রুজ্জামান প্রতিষ্ঠান করেন এইচ এ ডিজিটাল স্কুল। ওই স্কুলের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দেন অবসরে যাওয়া যাওয়া সচিব মোখলেছুর রহমান খানকে। মোখলেছুর রহমান খান ও খায়রুজ্জামান খান একে অপরের চাচাত ভাই। মোখলেছুর রহমান খান অধ্যক্ষ হিসাবে থাকায় তাঁর (মোখলেছুর রহমান) মেয়ে সওগাত নাজবিন খান নিজেকেই এইচ ডিজিটাল স্কুলের ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সেজে প্রতিষ্ঠানের ভুয়া নাম দেখিয়ে ২০১৬ সালে কমনওয়েলথ পুরুস্কার পান। প্রতিষ্ঠিানের নাম হার্ভার্ড এক্সেস ডিজিটাল স্কুলে এন্ড কলেজ, যার সংক্ষেপ নাম এইচ এ। সওগাত নাজবিন খান পূর্ণ নামটি না জানার কারনে পুরস্কারের আবেদনে এইচ এর পূর্ণ রূপ লিখেন হাসনা-আহমেদ। হাসনা ও আহমেদ যথাক্রমে সওগাতের দাদা ও দাদীর নাম। ২০১৬ সালে ভুয়া পরিচয়ে কমনওয়েলথ পুরস্কার জয়ের পর খায়রুজ্জামান প্রতিবাদ করতে চাইলে মোখলেছুর রহমান ও সওগাত খায়রুজ্জামানকে বুঝান, এটি স্কুলের জন্য ভালই হয়েছে।পুরস্কারের যাবতীয় টাকা স্কুলের তহবিলে দেওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তীতে সওগাত নাজবিন খান পরস্কারে কোন টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে দেননি।
খায়রুজ্জামানের অভিযোগ, এ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে ২০১৯ সালে তিনি ইজারার চুক্তি অনুযায়ী ভবন নির্মাণের ২ কোটি ৩৯ টাকা মোখলেছুর রহমানের কাছ ফেরত চান। এরপর থেকে মোখলেছুর রহমান খায়রুজ্জামানের প্রতি প্রতিহিংসা প্রয়ারণ হয়ে উঠেন।মিথ্যা মামলা দিয়ে খায়রুজ্জামানকে হয়রানি শুরু করেন। সম্প্রতি একটি মিথ্যা মামলায় খায়রুজ্জামান ১২ দিন জেলে ছিলেন। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
খায়রুজ্জামানের অভিযোগ, মোখলেছুর রহমান প্রতিষ্ঠানটি দখল করার নানা পায়তারা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীন সমাজকল্যাণ সংস্থা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিতি ছিলেন।খায়রুজ্জামান খান এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে মোখলেছুর রহামনের তারাকান্দা মৌজায় ৭৩ শতাংশ জমি প্রতিষ্ঠানের নামে ৫ কোটি ১১ টাকা নির্ধাণ করে বায়না করেন।পরে জমির দাম বেড়ে গেলে মোখলেছুর রহমান জমি না দিয়ে চেকের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চেকের বিনিময়ে টাকা না পাওয়া এ নিয়ে খায়রুজ্জামনের বিরুদ্ধে মামলা করে গ্রামীন সমাজ কল্যাণ সংস্থা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গ্রামীণ সমাজ কণ্যাল সংস্থার সহ-সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক আজাদীসহ আরও কয়েকজন।
তবে খায়রুজ্জামানের সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মোখলেছুর রহমান খান মুঠোফোনে বলেন, সব বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। কাজেই আদালতেই এগুলোর সমাধাণ হবে।