০৩:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

নিহতের ৮ মাসেও আটক হলো না প্রধান আসামিরা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:২৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • / ২৬
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সফিকুল ইসলাম রিংকু:

লাভলু মেম্বার দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত ৮ মাসেও আটক হলো না প্রধান আসামিরা সিআইডি ও পুলিশ প্রশাসন অদৃশ্য কারণে নিরব এই কথাগুলো বলেন নিহতের স্ত্রী।
নিহতের বড় ভাই মামলার বাদী বলেন, ৮জন কে আসামি করে মামলা করলেও ১ থেকে ৪ নাম্বার আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ বাহিনী বা সিআইডি। এ আসামীদের এলাকায় ঘোরাফেরা করতো দেখা গেছে। বাকি আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে বিভিন্ন এলাকার মোবাইলের দোকান থেকে ফোন করে দিচ্ছে হুমকি। আসামিদের ভয়ে আতঙ্কে থাকি সারাক্ষণ।
নাম প্রকাশে একাধিক ব্যক্তিরা জানান, আসামিরা দুর্দান্ত ও ভয়ানক, এলাকায় তাদের ভয়ে অনেকে কথা বলে না। এদেরকে গ্রেফতার করতে পারলেই হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সলিমুল্লাহ লাভলু মেম্বার (৫০) ১ নভেম্বর দিনগত রাতে খুন হয়েছেন। নিহত লাভলু মান্দারতলী গ্রামের আমির হোসেন মাস্টারের ছেলে। তিনি সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন। বুধবার সকাল ভোরে ভ্যান চালক জাহাঙ্গীর আলম মান্দারতলী গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হেরিংবোন্ড রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় লাশ দেখে ডাক চিৎকার দেন।
মতলব উত্তর থানার ওসি মোঃ মহিউদ্দিন জানান, লাশ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে এসে সুরুতাহাল রিপোর্ট তৈরি ও মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
মৃত্যুর পর নিহতের স্ত্রী শাহজাদী আক্তার নিন্নি সহ আত্মীয় স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এমন নির্মম মৃত্যুর কারণে এলাকায় শোক ছায়া নেমে আশে। নিহতের মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া লুবনা আক্তার ও ৯ম শ্রেণির ছাত্র লাবিব এতিম হয়ে গেল।

পারিবারিক সূত্র জানায়, তার স’মিলে মিস্ত্রি না থাকায় গত কয়েকদিন ধরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাত্রিযাপন করেছেন। ঘটনার রাতেও তিনি ওখানে ঘুমিয়েছেন বলে ধারনা ছিল স্ত্রী সন্তানের। কিন্তু ভোর হতেই খবর পাওয়া গেল মৃত্যু সংবাদ।
ঘটনার পরে খবর পেয়ে, সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, ওসি মোঃ মহিউদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সানোয়ার হোসেন ও সিআইডি, পিবিআই সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সিআইডি কর্মকর্তা বাপ্পি কুমার জানান, আমরা বেশিদিন হয়নি মামলাটার দায়িত্ব নিয়েছি, এরই মধ্যে একজনকে আটকও করেছিলাম। আশা করছি অচিরেই বাকি আসামিদের আটক করতে সক্ষম হবো। আইনের হাত অনেক লম্বা দোষী ব্যক্তিরা পার পাবে না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

নিহতের ৮ মাসেও আটক হলো না প্রধান আসামিরা

আপডেট সময় : ১০:২৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সফিকুল ইসলাম রিংকু:

লাভলু মেম্বার দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত ৮ মাসেও আটক হলো না প্রধান আসামিরা সিআইডি ও পুলিশ প্রশাসন অদৃশ্য কারণে নিরব এই কথাগুলো বলেন নিহতের স্ত্রী।
নিহতের বড় ভাই মামলার বাদী বলেন, ৮জন কে আসামি করে মামলা করলেও ১ থেকে ৪ নাম্বার আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ বাহিনী বা সিআইডি। এ আসামীদের এলাকায় ঘোরাফেরা করতো দেখা গেছে। বাকি আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে বিভিন্ন এলাকার মোবাইলের দোকান থেকে ফোন করে দিচ্ছে হুমকি। আসামিদের ভয়ে আতঙ্কে থাকি সারাক্ষণ।
নাম প্রকাশে একাধিক ব্যক্তিরা জানান, আসামিরা দুর্দান্ত ও ভয়ানক, এলাকায় তাদের ভয়ে অনেকে কথা বলে না। এদেরকে গ্রেফতার করতে পারলেই হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সলিমুল্লাহ লাভলু মেম্বার (৫০) ১ নভেম্বর দিনগত রাতে খুন হয়েছেন। নিহত লাভলু মান্দারতলী গ্রামের আমির হোসেন মাস্টারের ছেলে। তিনি সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন। বুধবার সকাল ভোরে ভ্যান চালক জাহাঙ্গীর আলম মান্দারতলী গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হেরিংবোন্ড রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় লাশ দেখে ডাক চিৎকার দেন।
মতলব উত্তর থানার ওসি মোঃ মহিউদ্দিন জানান, লাশ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে এসে সুরুতাহাল রিপোর্ট তৈরি ও মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
মৃত্যুর পর নিহতের স্ত্রী শাহজাদী আক্তার নিন্নি সহ আত্মীয় স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এমন নির্মম মৃত্যুর কারণে এলাকায় শোক ছায়া নেমে আশে। নিহতের মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া লুবনা আক্তার ও ৯ম শ্রেণির ছাত্র লাবিব এতিম হয়ে গেল।

পারিবারিক সূত্র জানায়, তার স’মিলে মিস্ত্রি না থাকায় গত কয়েকদিন ধরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাত্রিযাপন করেছেন। ঘটনার রাতেও তিনি ওখানে ঘুমিয়েছেন বলে ধারনা ছিল স্ত্রী সন্তানের। কিন্তু ভোর হতেই খবর পাওয়া গেল মৃত্যু সংবাদ।
ঘটনার পরে খবর পেয়ে, সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, ওসি মোঃ মহিউদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সানোয়ার হোসেন ও সিআইডি, পিবিআই সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সিআইডি কর্মকর্তা বাপ্পি কুমার জানান, আমরা বেশিদিন হয়নি মামলাটার দায়িত্ব নিয়েছি, এরই মধ্যে একজনকে আটকও করেছিলাম। আশা করছি অচিরেই বাকি আসামিদের আটক করতে সক্ষম হবো। আইনের হাত অনেক লম্বা দোষী ব্যক্তিরা পার পাবে না।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন