০৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

রেলওয়ে’র অস্থায়ী শ্রমিক টিএলআর মানবেতর জীবন যাপন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:১৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩
  • / ৫৬
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:

মানবেতর জীবন যাপন করছেন লালমনিরহাট রেলওয়ে’র ১৮৬ জন অস্থায়ী শ্রমিক টিএলআর। চলতি বছরে কোনো বেতন না পাওয়ায় দুর্বিষহ জীবন পাড় করতে হচ্ছে এই শ্রমিকদের।
সোমবার (১২ জুন) নিজেদের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরেন লালমনিরহাটে কর্মরত অস্থায়ী রেলওয়ে শ্রমিক টিএলআরগণ।
রেলওয়ে সুত্রে জানা যায়, সারা দেশে রেলওয়ের মঞ্জুরী পদের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৬ শত ৩৭ জন। এর বিপরীতে প্রায় ২৫ হাজার জনবল দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মঞ্জুরির বাহিরে বছরের পর বছর সারা দেশে প্রায় ৭ হাজার অস্থায়ী শ্রমিক টিএলআর দিয়ে রেলওয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ৭২ টি স্টেশনে ১৮৫ জন শ্রমিক টিএলআর কাজ করছেন। রেলওয়ের পয়েসম্যান, গেটকিপার, পোর্টার, স্টেশন মাষ্টার এসব পদে কর্মরত ১৮৬ জন শ্রমিক টিএলআর সরাসরি রেলওয়ে’র নিরাপত্তার সাথে জড়িত। এ বছরের পবিত্র ইদুল ফিতরে বেতন না পাওয়া ও আসন্ন ইদুল আজহায় বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন অস্থায়ী বিভিন্ন পদে কর্মরত শ্রমিক টিএলআর গণ।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়েতে অস্থায়ী গেটকিপার পদে কর্মরত জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, এ বছরে বেতন না পাওয়ায় গত ইদুল ফিতর উৎযাপন করতে পারিনি আমরা। ভেবেছিলাম ঈদের পর বেতন পাবো কিন্তু বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে আমরা। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে কাটছে দিনগুলো।

ল্যাম্পম্যান পদে কর্মরত মোহাম্মদ ফুহাদ বলেন, চাকুরী করি কিন্তু পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে পারি না। গত ঈদে পরিবারের সদস্যদের জামা কাপড় কিনতে পারি নাই। এবার ঈদের আগে বেতন না পেলে সকলকে না খেয়ে থাকতে হবে।
ল্যাম্পম্যান পদে কর্মরত মোহাম্মদ রাকিব বলেন, যেসব দোকান থেকে বাকি খরচ নিয়ে পরিবারকে দেই তারাও এখন বাকি দিতে চায় না। আমাদের এ কষ্টের কথা কে শুনবে। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই আমাদের বকেয়া বেতন যেনো তাড়াতাড়ি দেয়া হয়। তা না হলে পরিবারের সদস্যদের না খেয়ে মরতে হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, রেলওয়ের কর্মরত অস্হায়ী শ্রমিক টিএলআরগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝর বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন রেল স্টেশনে দায়িত্ব পালন করে আসছে অথচ তাদের কাজের মজুরি পাচ্ছে না। তাই রেল কতৃপক্ষের কাছে টিএলআর দের বকেয়া বেতন পরিষদেরর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাজেট বরাদ্দ না থাকায় অস্থায়ী পদে অর্থাৎ টিএলআরে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন প্রদান করা সম্ভব হয়নি। আমরা তাদের বেতন প্রদানের জন্য অফিসিয়াল ভাবে পত্র প্রদান করেছি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

রেলওয়ে’র অস্থায়ী শ্রমিক টিএলআর মানবেতর জীবন যাপন

আপডেট সময় : ০৬:১৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:

মানবেতর জীবন যাপন করছেন লালমনিরহাট রেলওয়ে’র ১৮৬ জন অস্থায়ী শ্রমিক টিএলআর। চলতি বছরে কোনো বেতন না পাওয়ায় দুর্বিষহ জীবন পাড় করতে হচ্ছে এই শ্রমিকদের।
সোমবার (১২ জুন) নিজেদের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরেন লালমনিরহাটে কর্মরত অস্থায়ী রেলওয়ে শ্রমিক টিএলআরগণ।
রেলওয়ে সুত্রে জানা যায়, সারা দেশে রেলওয়ের মঞ্জুরী পদের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৬ শত ৩৭ জন। এর বিপরীতে প্রায় ২৫ হাজার জনবল দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মঞ্জুরির বাহিরে বছরের পর বছর সারা দেশে প্রায় ৭ হাজার অস্থায়ী শ্রমিক টিএলআর দিয়ে রেলওয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ৭২ টি স্টেশনে ১৮৫ জন শ্রমিক টিএলআর কাজ করছেন। রেলওয়ের পয়েসম্যান, গেটকিপার, পোর্টার, স্টেশন মাষ্টার এসব পদে কর্মরত ১৮৬ জন শ্রমিক টিএলআর সরাসরি রেলওয়ে’র নিরাপত্তার সাথে জড়িত। এ বছরের পবিত্র ইদুল ফিতরে বেতন না পাওয়া ও আসন্ন ইদুল আজহায় বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন অস্থায়ী বিভিন্ন পদে কর্মরত শ্রমিক টিএলআর গণ।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়েতে অস্থায়ী গেটকিপার পদে কর্মরত জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, এ বছরে বেতন না পাওয়ায় গত ইদুল ফিতর উৎযাপন করতে পারিনি আমরা। ভেবেছিলাম ঈদের পর বেতন পাবো কিন্তু বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে আমরা। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে কাটছে দিনগুলো।

ল্যাম্পম্যান পদে কর্মরত মোহাম্মদ ফুহাদ বলেন, চাকুরী করি কিন্তু পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে পারি না। গত ঈদে পরিবারের সদস্যদের জামা কাপড় কিনতে পারি নাই। এবার ঈদের আগে বেতন না পেলে সকলকে না খেয়ে থাকতে হবে।
ল্যাম্পম্যান পদে কর্মরত মোহাম্মদ রাকিব বলেন, যেসব দোকান থেকে বাকি খরচ নিয়ে পরিবারকে দেই তারাও এখন বাকি দিতে চায় না। আমাদের এ কষ্টের কথা কে শুনবে। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই আমাদের বকেয়া বেতন যেনো তাড়াতাড়ি দেয়া হয়। তা না হলে পরিবারের সদস্যদের না খেয়ে মরতে হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, রেলওয়ের কর্মরত অস্হায়ী শ্রমিক টিএলআরগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝর বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন রেল স্টেশনে দায়িত্ব পালন করে আসছে অথচ তাদের কাজের মজুরি পাচ্ছে না। তাই রেল কতৃপক্ষের কাছে টিএলআর দের বকেয়া বেতন পরিষদেরর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাজেট বরাদ্দ না থাকায় অস্থায়ী পদে অর্থাৎ টিএলআরে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন প্রদান করা সম্ভব হয়নি। আমরা তাদের বেতন প্রদানের জন্য অফিসিয়াল ভাবে পত্র প্রদান করেছি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন