১২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সিনজেনটা ব্রি ধানের ৮৮ এর বাম্পার ফলন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • / ১৭
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ শাহাদাত হোসেন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এবার ৪৯৫ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান ৮৮-এর চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, শিবগঞ্জে ৫০ হেক্টর, গোমস্তাপুরে ২৫০ হেক্টর, নাচোলে ৩০ হেক্টর এবং ভোলাহাটে ১১০ হেক্টর অর্থাৎ প্রায় ৩ হাজার বিঘার উপর জমিতে এই ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর গড় ফল পাওয়া যাচ্ছে প্রতি বিঘায় ২৫ মণের বেশি।
অপরদিকে হাইব্রিড ধান সিনজেনটা ১২০৩ জাতটি শুধু সদর উপজেলায় ২৫৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এর প্রতি বিঘায় ফলন পাওয়া যাচ্ছে গড়ে ২৮ মণ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
রবিবার সকালে সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের এক ধান ক্ষেতে নমুনা হিসেবে এই ধান কাটা ও মাড়াই করা হয়েছে।
এসময় দেবনীগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কানিজ তাসনোভা, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সলেহ আকরাম, কৃষক সালাউদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রি ধান ৮৮ এর জীবনকাল ১৪০ থেকে ১৪৫ দিন এবং সিনজেনটা ১২০৩ এর জীবনকাল ১৫০ দিন। ব্রি ধান ৮৮ জাতের মধ্যে আধুনিক উফশী ধানের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ জাতটি ব্রি ধান ২৮ এর চেয়ে খাটো এবং ঢলে পড়া সহিষ্ণু। ডিগপাতা খাড়া, লম্বা এবং ধান পাকার পরে সবুজ থাকে। চালের আকার-আকৃতি মাঝারি চিকন ও ভাত ঝরঝরে। চালে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৬.৩ শতাংশ এবং প্রোটিন ৯.৮ শতাংশ। ১ হাজারটি পুষ্ট ধানের ওজন ২২.১ গ্রাম। এ জাতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো শীষ থেকে ধান ঝরে পড়ে না।
অন্যদিকে সিনজেনটা ১২০৩ ধানের গড় উচ্চতা ৮০ সেন্টিমিটার। প্রায় ব্রি ধান ২৮ এর মতো উচ্চমাত্রার জিংক ও আয়রন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ এই ধানের চালের ভাত ও পোলাও বেশ সুস্বাদু। উৎপাদনের উদ্দেশ্য হলোÑ কৃষক পর্যায়ে ধান উৎপাদন করে বীজ সংরক্ষণ ও নিজের জন্য ব্যবহার এবং পার্শ্ববর্তী কৃষকদের মধ্যে বিক্রি করে জাত সম্প্রসারণ করা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সিনজেনটা ব্রি ধানের ৮৮ এর বাম্পার ফলন

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোঃ শাহাদাত হোসেন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এবার ৪৯৫ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান ৮৮-এর চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, শিবগঞ্জে ৫০ হেক্টর, গোমস্তাপুরে ২৫০ হেক্টর, নাচোলে ৩০ হেক্টর এবং ভোলাহাটে ১১০ হেক্টর অর্থাৎ প্রায় ৩ হাজার বিঘার উপর জমিতে এই ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর গড় ফল পাওয়া যাচ্ছে প্রতি বিঘায় ২৫ মণের বেশি।
অপরদিকে হাইব্রিড ধান সিনজেনটা ১২০৩ জাতটি শুধু সদর উপজেলায় ২৫৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এর প্রতি বিঘায় ফলন পাওয়া যাচ্ছে গড়ে ২৮ মণ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
রবিবার সকালে সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের এক ধান ক্ষেতে নমুনা হিসেবে এই ধান কাটা ও মাড়াই করা হয়েছে।
এসময় দেবনীগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কানিজ তাসনোভা, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সলেহ আকরাম, কৃষক সালাউদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রি ধান ৮৮ এর জীবনকাল ১৪০ থেকে ১৪৫ দিন এবং সিনজেনটা ১২০৩ এর জীবনকাল ১৫০ দিন। ব্রি ধান ৮৮ জাতের মধ্যে আধুনিক উফশী ধানের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ জাতটি ব্রি ধান ২৮ এর চেয়ে খাটো এবং ঢলে পড়া সহিষ্ণু। ডিগপাতা খাড়া, লম্বা এবং ধান পাকার পরে সবুজ থাকে। চালের আকার-আকৃতি মাঝারি চিকন ও ভাত ঝরঝরে। চালে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৬.৩ শতাংশ এবং প্রোটিন ৯.৮ শতাংশ। ১ হাজারটি পুষ্ট ধানের ওজন ২২.১ গ্রাম। এ জাতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো শীষ থেকে ধান ঝরে পড়ে না।
অন্যদিকে সিনজেনটা ১২০৩ ধানের গড় উচ্চতা ৮০ সেন্টিমিটার। প্রায় ব্রি ধান ২৮ এর মতো উচ্চমাত্রার জিংক ও আয়রন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ এই ধানের চালের ভাত ও পোলাও বেশ সুস্বাদু। উৎপাদনের উদ্দেশ্য হলোÑ কৃষক পর্যায়ে ধান উৎপাদন করে বীজ সংরক্ষণ ও নিজের জন্য ব্যবহার এবং পার্শ্ববর্তী কৃষকদের মধ্যে বিক্রি করে জাত সম্প্রসারণ করা।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন