০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

চাটখিলে ধসে পড়া ব্রীজটি ১০বছরেও যেন দেখার কেউ নেই

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১১
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোজাম্মেল হক লিটন:

চাটখিলে ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত দশঘরিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে মসজিদ গলির সাথে চাটখিল রামগঞ্জ সড়কের সংযুক্ত ব্রীজটি দীর্ঘদিন পূর্বে ধসে পড়লেও যেন দেখার কেউ নেই। এতে করে বাজারের ব্যবসায়ীসহ বাজারে আসা লোকজন প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোড়াতে হচ্ছে।
গত ২০২১ সালের ২১মার্চ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নিরবতায় জনসাধারণের চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা আর স্বদিচ্ছার অভাবে ব্রীজটি সংস্কার করা হচ্ছে না। সরেজমিনে গিয়ে গত রোববার বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্রীজটি গত ১০বছর পূর্বে ধসে পড়েছে। ব্রীজটি দিয়ে স্থানীয় গৌরনিতাই মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেলুন ব্যবসায়ী জানান প্রতি বছরই পূজা মণ্ডপ স্থানীয় এমপি সহ জনপ্রতিনিধিরা পরিদর্শন করতে গেলে ব্রীজটি সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে চলে আসেন। বাস্তবে ব্রীজটি সংস্কার করা হয়নি।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ব্রীজটির উপর তারা নিজেরা কাঠ দিয়ে কোনমতে পায়ে হেটে চলাচল করছেন কিন্তু কোন যানবাহন চলাচল করা যাচ্ছে না। ফলে ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন করতে বিকল্প ব্রীজ ও সড়ক ব্যবহার করতে হয়। এতে নানাবিধ ভোগান্তি পোড়াতে হয়। এই বাজারে ৫শতাধিক ব্যবসায়ী ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাছাড়া বাজারে রয়েছে একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি কিন্ডারগার্টেন, ইউপি অফিস, দুইটি মসজিদ সহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বাজারের পশ্চিম পাশে মসজিদ গলি দিয়ে মূল সড়ক চলাচলের জন্য ব্রীজটি একমাত্র মাধ্যম।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাহার আলম মুন্সি জানান, স্থানীয় এমপি এইচ এম ইব্রাহিম মহোদয় কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি দেখবেন বলে জানান। তবে এখনও ব্রীজটি সংস্কারের উদ্যােগ নেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে চাটখিল উপজেলা পকৌশলীর সরকারি দাপ্তরিক নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

চাটখিলে ধসে পড়া ব্রীজটি ১০বছরেও যেন দেখার কেউ নেই

আপডেট সময় : ০৬:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মোজাম্মেল হক লিটন:

চাটখিলে ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত দশঘরিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে মসজিদ গলির সাথে চাটখিল রামগঞ্জ সড়কের সংযুক্ত ব্রীজটি দীর্ঘদিন পূর্বে ধসে পড়লেও যেন দেখার কেউ নেই। এতে করে বাজারের ব্যবসায়ীসহ বাজারে আসা লোকজন প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোড়াতে হচ্ছে।
গত ২০২১ সালের ২১মার্চ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নিরবতায় জনসাধারণের চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা আর স্বদিচ্ছার অভাবে ব্রীজটি সংস্কার করা হচ্ছে না। সরেজমিনে গিয়ে গত রোববার বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্রীজটি গত ১০বছর পূর্বে ধসে পড়েছে। ব্রীজটি দিয়ে স্থানীয় গৌরনিতাই মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেলুন ব্যবসায়ী জানান প্রতি বছরই পূজা মণ্ডপ স্থানীয় এমপি সহ জনপ্রতিনিধিরা পরিদর্শন করতে গেলে ব্রীজটি সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে চলে আসেন। বাস্তবে ব্রীজটি সংস্কার করা হয়নি।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ব্রীজটির উপর তারা নিজেরা কাঠ দিয়ে কোনমতে পায়ে হেটে চলাচল করছেন কিন্তু কোন যানবাহন চলাচল করা যাচ্ছে না। ফলে ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন করতে বিকল্প ব্রীজ ও সড়ক ব্যবহার করতে হয়। এতে নানাবিধ ভোগান্তি পোড়াতে হয়। এই বাজারে ৫শতাধিক ব্যবসায়ী ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাছাড়া বাজারে রয়েছে একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি কিন্ডারগার্টেন, ইউপি অফিস, দুইটি মসজিদ সহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বাজারের পশ্চিম পাশে মসজিদ গলি দিয়ে মূল সড়ক চলাচলের জন্য ব্রীজটি একমাত্র মাধ্যম।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাহার আলম মুন্সি জানান, স্থানীয় এমপি এইচ এম ইব্রাহিম মহোদয় কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি দেখবেন বলে জানান। তবে এখনও ব্রীজটি সংস্কারের উদ্যােগ নেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে চাটখিল উপজেলা পকৌশলীর সরকারি দাপ্তরিক নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন