১০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

পীরগঞ্জে মধ্যযুগীয় কায়দায় শিশু নির্যাতন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১১
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঠাকুরগাঁও  প্রতিনিধি
শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ৯ নং সেনগাঁও ইউনিয়নের সেন্দুরল্যা গ্রামের সাহাবদ্দীন (১২) কে তার বাবা  আ: খালেক ও  বিমাতা  আমিনা বেগম মধ্যযুগীয় কায়দায়  ৩/৪ দিন ধরে গোয়াল ঘরে  বাশ দিয়ে দুই পায়ের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে দুই হাত ও দুই পা পিছনে  রশি দিয়ে বেঁধে রেখে আটক করে রাখে। গত কয়েক দিন যাবৎ শিশু সাহাবদ্দীনের আন্তীয় স্বজনরা তাকে দেখা পাচ্ছিলানা  মর্মে তারা তাকে খুজতে থাকে এবং তার বাবা ও তার বিমাতা মাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন শাহাবুদ্দিন  বাসায় আছে ভাল আছে।
শনিবার দুপুরে তাকে দেখার জন্য যখন তার আন্তীয় স্বজনেরা তার বাসায় যান।এবং তার খোঁজ খবর নিতে থাকেন, এক পর্য়ায় তাকে তার বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করলে তাকে তার হাত পা বাঁধা  অবস্থায় তাদের গোয়াল ঘরে পাওয়া যায়, এমন অবস্থা দেখে তার মামাতো ভাই আনেয়ার হুসেইন স্হানীয়  লোকজনকে ডেকে নিয়ে তাকে উদ্ধার করেন, এবং পরে স্হানীয় সাংবাদিকের  ডেকে নিয়ে  সেখানকার ঘটনার কথা খুলে বলেন, সাংবাদিকেরা ঘটনা স্হানে পৌছালে  তাদের বাড়িতে তার বিমাতাকে পায় এবং তার বিমাতাকে  ঘটনার কথা  জিজ্ঞাসা  করলে তার বিমাতা ছেলেটির ঘটনার কথা প্রথমে অস্বীকার করেন এবং তিনি ছেলিটির নাম বলতে পারেন না বলে সাংবাদিকদের জানান , এবং বলেন এটা কিভাবে হলো তিনি জানেন না। লোম হর্ষক এই শিশু নির্যাতনর  ঘটনা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাচ্চাটির গায়ে অনেক মারপিটের চিহ্ন পাওয়া এবং বাচ্চাটি মাটি, ও গোয়াল ঘরের আবর্জনা খেয়ে দিন যাপন করে। পরে শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে  পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করে পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এব্যাপারে  পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনার ভিডিও ও অভিযোগ  আমরা পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে  আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

পীরগঞ্জে মধ্যযুগীয় কায়দায় শিশু নির্যাতন

আপডেট সময় : ০৭:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঠাকুরগাঁও  প্রতিনিধি
শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ৯ নং সেনগাঁও ইউনিয়নের সেন্দুরল্যা গ্রামের সাহাবদ্দীন (১২) কে তার বাবা  আ: খালেক ও  বিমাতা  আমিনা বেগম মধ্যযুগীয় কায়দায়  ৩/৪ দিন ধরে গোয়াল ঘরে  বাশ দিয়ে দুই পায়ের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে দুই হাত ও দুই পা পিছনে  রশি দিয়ে বেঁধে রেখে আটক করে রাখে। গত কয়েক দিন যাবৎ শিশু সাহাবদ্দীনের আন্তীয় স্বজনরা তাকে দেখা পাচ্ছিলানা  মর্মে তারা তাকে খুজতে থাকে এবং তার বাবা ও তার বিমাতা মাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন শাহাবুদ্দিন  বাসায় আছে ভাল আছে।
শনিবার দুপুরে তাকে দেখার জন্য যখন তার আন্তীয় স্বজনেরা তার বাসায় যান।এবং তার খোঁজ খবর নিতে থাকেন, এক পর্য়ায় তাকে তার বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করলে তাকে তার হাত পা বাঁধা  অবস্থায় তাদের গোয়াল ঘরে পাওয়া যায়, এমন অবস্থা দেখে তার মামাতো ভাই আনেয়ার হুসেইন স্হানীয়  লোকজনকে ডেকে নিয়ে তাকে উদ্ধার করেন, এবং পরে স্হানীয় সাংবাদিকের  ডেকে নিয়ে  সেখানকার ঘটনার কথা খুলে বলেন, সাংবাদিকেরা ঘটনা স্হানে পৌছালে  তাদের বাড়িতে তার বিমাতাকে পায় এবং তার বিমাতাকে  ঘটনার কথা  জিজ্ঞাসা  করলে তার বিমাতা ছেলেটির ঘটনার কথা প্রথমে অস্বীকার করেন এবং তিনি ছেলিটির নাম বলতে পারেন না বলে সাংবাদিকদের জানান , এবং বলেন এটা কিভাবে হলো তিনি জানেন না। লোম হর্ষক এই শিশু নির্যাতনর  ঘটনা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাচ্চাটির গায়ে অনেক মারপিটের চিহ্ন পাওয়া এবং বাচ্চাটি মাটি, ও গোয়াল ঘরের আবর্জনা খেয়ে দিন যাপন করে। পরে শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে  পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করে পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এব্যাপারে  পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনার ভিডিও ও অভিযোগ  আমরা পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে  আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন