০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

বি এম স্কুলের কোচিং বানিজ্যের টাকায় প্রধান শিক্ষকের কোটি টাকার বাড়ি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুজন মাহমুদ:

যশোরের ঝিকরগাছা বদরুদ্দীন মুসলিম (বি এম) হাইস্কুলের কোচিং বানিজ্যের টাকা জোগাতে অভিভাবকেরা হিমশিম খেলেও সেই টাকায় বিলাসী জীবন যাপন করছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ। মাত্র ৩৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে তিনি ঝিকরগাছা পৌর সদরের উপজেলা মোড়ে যশোর বেনাপোল মহাসড়ক সংলগ্ন জায়গায় কোটি টাকা খরচ করে জমি কিনে ৪ তলা বাড়ি করেছেন। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় প্রতি মাসে সরকারি বেতন বাদে শুধু কোচিং থেকেই লক্ষাধিক টাকা, কমিটির বেতনের নামে ৩০ হাজার টাকা, কন্টিজেন্সি বাবদ ৫ হাজার টাকা স্কুল থেকে নিচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে খরচের অতিরিক্ত বিল দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা কাজ না করেই তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে।
জামাত ইসলামের কট্টরপন্থী সমর্থক, সাবেক চারদলীয় জামায়াতের এমপি মুহাদ্দিস আবু সাইদের ঘনিষ্ঠজন, চরম আওয়ামী বিদ্বেষী এই প্রধান শিক্ষক সুযোগ পেলেই সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করে বক্তব্য দেন। বি এম স্কুলে তার কোচিং বানিজ্যের মুল সহযোগী হিসেবে আছেন ভাইপো বেনজির রহমান এবং বর্তমান স্ত্রীর ছোট বোন তাহমিনা খাতুন। ভাইপো বেনজিরের কাছে যে সমস্ত শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ে, স্কুলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো শিক্ষক কথা বলতে পারেন না। সম্প্রতি ইভটিজিং এর বলি হওয়া ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনি রায়কে যারা হেনস্তা করেছিলো তারা বেনজির এর ছাত্র। এ সকল ছাত্রদের কোনো শিক্ষক শাসন করতে গেলে বেনজির তার চাচা প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদকে দিয়ে উক্ত শিক্ষককে শায়েস্তা করান। এ কারণে প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অশোভন আচরণ দেখলেও কিছু বলতে পারেন না।
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকের তৃতীয় পক্ষের আপন শ্যালিকা তহমিনা খাতুন পূর্বে তার স্বামীর সাথে থাকলেও গত ডিসেম্বরে তাকে স্বামীর কাছ থেকে নিজ বাড়িতে এনে রেখে স্কুলে খন্ড কালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে তাকে দিয়ে কোচিং এবং অন্য শিক্ষকদের উপর খবরদারী করাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন উক্ত স্কুলেরই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকবৃন্দ। স্কুলে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইংরেজি শিক্ষিকা থাকলেও তাকে বাদ দিয়ে ৭ম শ্রেণির বি২ গ্রুপের শ্রেণি শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছেন কোনোরকম পেশাদারি প্রশিক্ষণ ছাড়াই আপন শালী তাহমিনা খাতুনকে। প্রথমে শ্যালিকাকে অফিস সহায়ক হিসেবে নিয়োগ দিতে ব্যার্থ হয়ে পরবর্তীতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

বি এম স্কুলের কোচিং বানিজ্যের টাকায় প্রধান শিক্ষকের কোটি টাকার বাড়ি

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুজন মাহমুদ:

যশোরের ঝিকরগাছা বদরুদ্দীন মুসলিম (বি এম) হাইস্কুলের কোচিং বানিজ্যের টাকা জোগাতে অভিভাবকেরা হিমশিম খেলেও সেই টাকায় বিলাসী জীবন যাপন করছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ। মাত্র ৩৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে তিনি ঝিকরগাছা পৌর সদরের উপজেলা মোড়ে যশোর বেনাপোল মহাসড়ক সংলগ্ন জায়গায় কোটি টাকা খরচ করে জমি কিনে ৪ তলা বাড়ি করেছেন। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় প্রতি মাসে সরকারি বেতন বাদে শুধু কোচিং থেকেই লক্ষাধিক টাকা, কমিটির বেতনের নামে ৩০ হাজার টাকা, কন্টিজেন্সি বাবদ ৫ হাজার টাকা স্কুল থেকে নিচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে খরচের অতিরিক্ত বিল দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা কাজ না করেই তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে।
জামাত ইসলামের কট্টরপন্থী সমর্থক, সাবেক চারদলীয় জামায়াতের এমপি মুহাদ্দিস আবু সাইদের ঘনিষ্ঠজন, চরম আওয়ামী বিদ্বেষী এই প্রধান শিক্ষক সুযোগ পেলেই সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করে বক্তব্য দেন। বি এম স্কুলে তার কোচিং বানিজ্যের মুল সহযোগী হিসেবে আছেন ভাইপো বেনজির রহমান এবং বর্তমান স্ত্রীর ছোট বোন তাহমিনা খাতুন। ভাইপো বেনজিরের কাছে যে সমস্ত শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ে, স্কুলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো শিক্ষক কথা বলতে পারেন না। সম্প্রতি ইভটিজিং এর বলি হওয়া ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনি রায়কে যারা হেনস্তা করেছিলো তারা বেনজির এর ছাত্র। এ সকল ছাত্রদের কোনো শিক্ষক শাসন করতে গেলে বেনজির তার চাচা প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদকে দিয়ে উক্ত শিক্ষককে শায়েস্তা করান। এ কারণে প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অশোভন আচরণ দেখলেও কিছু বলতে পারেন না।
অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকের তৃতীয় পক্ষের আপন শ্যালিকা তহমিনা খাতুন পূর্বে তার স্বামীর সাথে থাকলেও গত ডিসেম্বরে তাকে স্বামীর কাছ থেকে নিজ বাড়িতে এনে রেখে স্কুলে খন্ড কালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে তাকে দিয়ে কোচিং এবং অন্য শিক্ষকদের উপর খবরদারী করাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন উক্ত স্কুলেরই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকবৃন্দ। স্কুলে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইংরেজি শিক্ষিকা থাকলেও তাকে বাদ দিয়ে ৭ম শ্রেণির বি২ গ্রুপের শ্রেণি শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছেন কোনোরকম পেশাদারি প্রশিক্ষণ ছাড়াই আপন শালী তাহমিনা খাতুনকে। প্রথমে শ্যালিকাকে অফিস সহায়ক হিসেবে নিয়োগ দিতে ব্যার্থ হয়ে পরবর্তীতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন