০২:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

সুন্দরবনে পারমিট ছাড়াই মাছের পোনা আহরণ, বনবিভাগের ভূমিকা রহস্যজনক

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • / ৬৭

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

খুলনা সংবাদদাতা:

কোন প্রকার পাস-পারমিট ছাড়াই খুলনা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের গহীন বনের নদী-খালে অবাধে পারশে মাছের পোনা আহরণ চলছে। অথচ বন বিভাগ নীরব। এটি লাভজনক হওয়ায় ফড়িয়ারা মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে পারশে মাছের পোনা ধরার কাজে লিপ্ত রয়েছে। বন বিভাগ বিষয়টি জেনেও রহস্যজনক কারনে অবৈধ ভাবে পোনা আহরণকারীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না ।
স্থানীয় একাধিক সুত্র থেকে জানা গেছে, বর্তমানে সুন্দরবনে কোন ধরনের পোনা আহরনের পারমিট নেই। কিন্তু এক শ্রেনীর অসাধু সিন্ডিকেট বিভিন্ন ফরেস্ট স্টেশন ও বন টহল ফাঁড়িতে কর্মরত বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে গোপন চুক্তির মাধ্যমে উৎকোচ দিয়ে দিদারসে পারশে মাছের পোনা আহরণ করছে। এতে বন বিভাগ বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। আর বিলুপ্ত ঘটছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছের।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে, পোনা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী,কোবাদক, কাশিয়াবাদ,বানিয়াখালী ও কৈখালী ফরেস্ট ষ্টেশন থেকে সাদা মাছ পরিবহণের নামে ট্রলারের পারমিট নিয়ে পোনা ধরার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। জানুয়ারী-ফেব্রয়ারী মাস থেকে পোনা ধরা শুরু হয়েছে। যা চলমান রয়েছে। তবে পোনা নিধনযজ্ঞ চললেও বন বিভাগ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
বর্তমানে অর্ধশতাধিক ট্রলার সুন্দরবনের আলোরকোল,নীলকোমল,কালিরচর,দুবলারচর,নারিকেলবাড়িয়া,শাপখালি, বাটলু ও দোবেকী সহ বনের গভীরে পারসে মাছের পোনা ধরছে। ওই পোনা লোকালয়ে উচ্চ দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আর বনের ভিতর পোনা পরিবহণের ট্রলারগুলো অবাধে চলাচলের সুযোগ দিয়ে অসাধু বন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুবিধা নিচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পোনা আহরণের সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজন জেলে জানান,পারশে মাছের পোনা ধরার সুযোগের বিনিময়ে বন বিভাগের প্রতি গোনে টাকা দিতে হয়। এছাড়া বুড়িগোয়ালীনি, বানিয়াখালী, নলিয়ান ফরেস্ট ষ্টেশনেও মাসোয়ারা দিয়ে ঝাপালি, নওয়াবেকী,আমাদি ,গড়ই খালী ও পাইকগাছা সেটে নির্বেঘ্নে পোনা বিক্রির পথ সুগম করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সহকারী বন সংরক্ষক এজেডএম হাসানুর রহমান বলেন, সুন্দরবনে পারশে মাছের পোনা নিধনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডক্টর আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, যদি এ ধরনের কোন অপতৎপরতা লক্ষ করা যায় তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া অবৈধ কাজের সাথে বনবিভাগের কারো কোন সম্পৃক্ততা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

সুন্দরবনে পারমিট ছাড়াই মাছের পোনা আহরণ, বনবিভাগের ভূমিকা রহস্যজনক

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

খুলনা সংবাদদাতা:

কোন প্রকার পাস-পারমিট ছাড়াই খুলনা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের গহীন বনের নদী-খালে অবাধে পারশে মাছের পোনা আহরণ চলছে। অথচ বন বিভাগ নীরব। এটি লাভজনক হওয়ায় ফড়িয়ারা মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে পারশে মাছের পোনা ধরার কাজে লিপ্ত রয়েছে। বন বিভাগ বিষয়টি জেনেও রহস্যজনক কারনে অবৈধ ভাবে পোনা আহরণকারীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না ।
স্থানীয় একাধিক সুত্র থেকে জানা গেছে, বর্তমানে সুন্দরবনে কোন ধরনের পোনা আহরনের পারমিট নেই। কিন্তু এক শ্রেনীর অসাধু সিন্ডিকেট বিভিন্ন ফরেস্ট স্টেশন ও বন টহল ফাঁড়িতে কর্মরত বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে গোপন চুক্তির মাধ্যমে উৎকোচ দিয়ে দিদারসে পারশে মাছের পোনা আহরণ করছে। এতে বন বিভাগ বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। আর বিলুপ্ত ঘটছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছের।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে, পোনা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী,কোবাদক, কাশিয়াবাদ,বানিয়াখালী ও কৈখালী ফরেস্ট ষ্টেশন থেকে সাদা মাছ পরিবহণের নামে ট্রলারের পারমিট নিয়ে পোনা ধরার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। জানুয়ারী-ফেব্রয়ারী মাস থেকে পোনা ধরা শুরু হয়েছে। যা চলমান রয়েছে। তবে পোনা নিধনযজ্ঞ চললেও বন বিভাগ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
বর্তমানে অর্ধশতাধিক ট্রলার সুন্দরবনের আলোরকোল,নীলকোমল,কালিরচর,দুবলারচর,নারিকেলবাড়িয়া,শাপখালি, বাটলু ও দোবেকী সহ বনের গভীরে পারসে মাছের পোনা ধরছে। ওই পোনা লোকালয়ে উচ্চ দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আর বনের ভিতর পোনা পরিবহণের ট্রলারগুলো অবাধে চলাচলের সুযোগ দিয়ে অসাধু বন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুবিধা নিচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পোনা আহরণের সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজন জেলে জানান,পারশে মাছের পোনা ধরার সুযোগের বিনিময়ে বন বিভাগের প্রতি গোনে টাকা দিতে হয়। এছাড়া বুড়িগোয়ালীনি, বানিয়াখালী, নলিয়ান ফরেস্ট ষ্টেশনেও মাসোয়ারা দিয়ে ঝাপালি, নওয়াবেকী,আমাদি ,গড়ই খালী ও পাইকগাছা সেটে নির্বেঘ্নে পোনা বিক্রির পথ সুগম করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সহকারী বন সংরক্ষক এজেডএম হাসানুর রহমান বলেন, সুন্দরবনে পারশে মাছের পোনা নিধনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডক্টর আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, যদি এ ধরনের কোন অপতৎপরতা লক্ষ করা যায় তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া অবৈধ কাজের সাথে বনবিভাগের কারো কোন সম্পৃক্ততা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন