০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

শিক্ষকের থাপড়ে কান ফাটলো ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ৭৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যশোর জেলা প্রতিনিধি:-

যশোরের চৌগাছা উপজেলার বহিলাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীনের উপর্যুপরি থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফেটে গেছে বিদ্যালয়ের পান্না খাতুন নামে ৫ম শ্রেনির এক শিক্ষার্থীর। গত রোববার এ ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করতে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন। তবে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীন একটি থাপ্পড় মেরেছেন বলে লিখিতভাবে দাবি করেছেন বলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানান। প্রশ্ন উঠেছে মাত্র একটি থাপ্পড়েই ছাত্রীর কান ফাটলো কিভাবে।

এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও ভিকটিম পান্না খাতুন ও তার মা শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক আসলাম হোসেনও যখন তখন শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারপিট করেন। আসলাম হোসেনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেছে তিনি মুখে পানি নিয়ে বিদ্যালয়ের ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ছাত্রীদের গায়ে পানি কুলি করেন। যা চরম নোংরামি বলে অভিভাবকরা জানিয়েছেন। অভিভাবকদের দাবি অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরকে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন। তিনি বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

শিক্ষকের থাপড়ে কান ফাটলো ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর

আপডেট সময় : ১০:৫১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যশোর জেলা প্রতিনিধি:-

যশোরের চৌগাছা উপজেলার বহিলাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীনের উপর্যুপরি থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফেটে গেছে বিদ্যালয়ের পান্না খাতুন নামে ৫ম শ্রেনির এক শিক্ষার্থীর। গত রোববার এ ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করতে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন। তবে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীন একটি থাপ্পড় মেরেছেন বলে লিখিতভাবে দাবি করেছেন বলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানান। প্রশ্ন উঠেছে মাত্র একটি থাপ্পড়েই ছাত্রীর কান ফাটলো কিভাবে।

এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও ভিকটিম পান্না খাতুন ও তার মা শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক আসলাম হোসেনও যখন তখন শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারপিট করেন। আসলাম হোসেনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেছে তিনি মুখে পানি নিয়ে বিদ্যালয়ের ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ছাত্রীদের গায়ে পানি কুলি করেন। যা চরম নোংরামি বলে অভিভাবকরা জানিয়েছেন। অভিভাবকদের দাবি অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরকে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন। তিনি বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন