১০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রধানমন্ত্রীর মডেল মসজিদ উদ্বোধন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
  • / ৬৯

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:

দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নির্মাণাধীন ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা, কেন্দুয়া এবং মদন উপজেলায় ৩টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মসজিদগুলো উদ্বোধন করেন।
নেত্রকোনার বারহাট্টা মডেল মসজিদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশ এবং উক্ত অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস. এম. মাজহারুল ইসলাম।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত কুমার সরকার (সজল), জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. শামসুর রহমান, বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, সাধারণ সম্পাদক এবং বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন, বারহাট্টা উপজেলা চেয়ারম্যান মাইনুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী (গণপূর্ত),উপপরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জনপ্রতিনিধগণ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, এসকল মডেল মসজিদে রয়েছে ১৪টি বিশেষ সুবিধা সেগুলো হলো- মসজিদে হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণসহ পবিত্র হজ পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা, নারী ও পুরুষের পৃথক অজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ইসলামিক গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়াত কার্যক্রম, পবিত্র কোরআন হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষা ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা। মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ১ হাজার ২০০ জন নামাজ আদায় করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, এবং ১৯৭৫ সালের ইসলামিক ফাউন্ডেশন আইন প্রণয়ন করেন। বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার সঙ্গে সংগতি রেখে সারা দেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ইসলামি সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে উঠবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রধানমন্ত্রীর মডেল মসজিদ উদ্বোধন

আপডেট সময় : ০৫:২০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:

দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নির্মাণাধীন ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা, কেন্দুয়া এবং মদন উপজেলায় ৩টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মসজিদগুলো উদ্বোধন করেন।
নেত্রকোনার বারহাট্টা মডেল মসজিদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশ এবং উক্ত অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস. এম. মাজহারুল ইসলাম।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত কুমার সরকার (সজল), জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. শামসুর রহমান, বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, সাধারণ সম্পাদক এবং বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন, বারহাট্টা উপজেলা চেয়ারম্যান মাইনুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী (গণপূর্ত),উপপরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জনপ্রতিনিধগণ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, এসকল মডেল মসজিদে রয়েছে ১৪টি বিশেষ সুবিধা সেগুলো হলো- মসজিদে হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণসহ পবিত্র হজ পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা, নারী ও পুরুষের পৃথক অজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ইসলামিক গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়াত কার্যক্রম, পবিত্র কোরআন হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষা ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা। মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ১ হাজার ২০০ জন নামাজ আদায় করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, এবং ১৯৭৫ সালের ইসলামিক ফাউন্ডেশন আইন প্রণয়ন করেন। বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার সঙ্গে সংগতি রেখে সারা দেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ইসলামি সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে উঠবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন