জুড়ীতে এমবিবিএস মেডিকেল পরীক্ষায় মেধাক্রমে উত্তীর্ন ৪ জন
- আপডেট সময় : ০৬:১৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
- / ৫৫
জসিম উদ্দিন,জুড়ী:
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় চমক দেখিয়েছেন উপজেলার চার কৃতি শিক্ষার্থী। সরকারি মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় এরই মধ্যে উপজেলা জুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তাঁরা।
জায়ফরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাঙ্গিরাই গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান আজিজি ও গৃহিণী ইসমত আরা আক্তার দম্পতির সন্তান আব্দুল্লাহ আল মাহি আজিজি সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। তিনি জুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পান। মেডিকেলে চান্স পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মাহি জানান, তিনি ডাক্তার হয়ে আর্তমানবতার সেবা করতে চান। যাতে মানুষ ডাক্তারের কাছে ভালো সেবা পায় উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলতলা ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকার মরহুম লুৎফর রহমান ও নাজমুন নাহার দম্পতির মেয়ে নাজিফা আক্তার মীম নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে ভর্তির চান্স পেয়েছেন। নাজিফা উপজেলার ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৪.৯৪ এবং তৈয়বুন্নেছা খানম একাডেমি সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পান। মেডিকেলে চান্স পেয়ে নাজিফা আক্তার মীম জানান, আমার বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।আমি ডাক্তার হয়ে আর্ত মানবতার সেবা করতে চাই।
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ,বরিশালে চান্স পেয়েছেন উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাঁও গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান ও সানোয়ারা বেগম দম্পতির সন্তান আমিনুল ইসলাম। তিনি উপজেলার জায়ফরনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং বিএএফ শাহীন কলেজ, শমসেরনগর থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ অর্জন করেন। ৪ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।মেডিকেলে কলেজে চান্স পাওয়ায় এক প্রতিক্রিয়ায় আমিনুল ইসলাম বলেন, একজন আদর্শ ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই।
উপজলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাঁও গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ও শিক্ষিকা সাবিনা বেগম দম্পতির সন্তান সাবিহা আক্তার শিমলা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, ঢাকায় চান্স পেয়েছেন। তিনি মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি তে এবং সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পান। মেডিকেলে পড়ার চান্স পাওয়ায় তিনি পিতা-মাতা, শিক্ষকমন্ডলী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ডাক্তার হয়ে গ্রামের অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের সেবা করতে চাই।