১১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

শবে বরাত উপলক্ষে সবাই ভালো খেতে চায় সামর্থ্যটাই সমস্যা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৬৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:

মুসলিম উন্মার পবিত্র শবে বরাত আজ। এ উপলক্ষে বাজারগুলোতে বেড়েছে মুরগি ও গরু মাংসের কেনাবেচা। সারা বছর মাংস খেতে না পারলেও এই দিনে সাধ্য অনুযায়ী মাংস কিনছেন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (৭ ই-মার্চ) লালমনিরহাটের বিভিন্ন কাঁচা বাজার, ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকালে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্য দিনের তুলনায় মাংসের দোকান গুলোতে কিছুটা বেশি ভিড়। কেউ-কেউ মাংস কিনেছেন, কেউবা দাঁড়িয়ে আছেন কসাই-এর কাটা শেষ হওয়ার অপেক্ষায়৷ তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।
দিনমজুর আব্দুর সোবহান আলী ৩৫০ টাকায় আধা কেজি গরুর মাংস কিনেছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো সারা বছর মাংস খেতে পারি না। আগে তাও মাঝে-মধ্যে মুরগির মাংস খেতে পারতাম। এখন দাম বাড়ায় সেটাও বন্ধ হয়েছে। আজ শবে বরাত, বাসায় বাচ্চা-কাচ্চা আছে। তাই একটু মাংস নিলাম। এই একটা দিন একটু ভালো-মন্দ খাওয়া আরকি।
একই দোকানে গরুর মাংস নিচ্ছেন বেসরকারি চাকরিজীবী লিয়াকত আলী। তিনি বলেন, মাংস আসলে আমরা সব সময় কিনতে পারি না। বিশেষ করে গরুর মাংস। আমরা ব্যাচেলর বাসায় থাকি। আমাদের তো আর এখানে পরিবার নেই। সবাই মিলে চাঁদা তুলে মাংস কিনলাম। রাতে শবে-বরাতের ইবাদত-বন্দেগি করব। একটু ভালো-মন্দও খাওয়ার জন্য এই আরকি।
মাংসের দোকানদার বলেন, অন্যদিনের তুলনায় আজ বিক্রি বেশ ভালো। দুই মণের ওপরে সকাল থেকে মাংস বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য দিনে বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানের অর্ডার না পেলে সাধারণত এক থেকে দেড় মণ মাংস বিক্রি হয়। অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি শবে বরাত, আর প্রথম রোজা এই দুই দিনে মাংসটা ভালো বিক্রি হয়।

এদিকে, মুরগির মাংসের দোকানেও ছিল ভিড়। ২৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ৩৫০ টাকা কেজি।
মুরগি কিনতে হাসিবুর রহমান নামে একজন বলেন, গরুর মাংসের দাম বেশি। তাই মুরগি কিনতে এসেছি। মুরগির মাংসের দাম গরুর মাংসের তুলনায় কম।
পাশেই ব্রয়লার মুরগির পা-মাথা, গিলা-কলিজা বিক্রি হচ্ছিল কেজি দরে। সেখানেও ভিড় ছিল দেখার মতো। ১২০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গিলা-কলিজা। দামের হিসেবে মাছের দাম বেশি হওয়ায় মাছ না কিনে অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন সেখানে।
বিক্রেতা আব্দুল মতিন বলেন, অন্য দিনের চেয়ে আজকে একটু বিক্রি ভালো৷ শবে বরাত আমাদের দেশে বরাবরই একটু উৎসবের মতো করে উদযাপন করা হয়। তাই, আজ একটু বিক্রি ভালো। পাশেই আমার মুরগির দোকান। আসলে মানুষ তো ভালোই খেতে চায়-সামর্থ্যটাই সমস্যা।
বাজারে ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৩৫-২৪০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৫০-৩৭০ টাকা, মুরগির গিলা-কলিজা ১২০-১৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

শবে বরাত উপলক্ষে সবাই ভালো খেতে চায় সামর্থ্যটাই সমস্যা

আপডেট সময় : ০৭:০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:

মুসলিম উন্মার পবিত্র শবে বরাত আজ। এ উপলক্ষে বাজারগুলোতে বেড়েছে মুরগি ও গরু মাংসের কেনাবেচা। সারা বছর মাংস খেতে না পারলেও এই দিনে সাধ্য অনুযায়ী মাংস কিনছেন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (৭ ই-মার্চ) লালমনিরহাটের বিভিন্ন কাঁচা বাজার, ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকালে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্য দিনের তুলনায় মাংসের দোকান গুলোতে কিছুটা বেশি ভিড়। কেউ-কেউ মাংস কিনেছেন, কেউবা দাঁড়িয়ে আছেন কসাই-এর কাটা শেষ হওয়ার অপেক্ষায়৷ তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।
দিনমজুর আব্দুর সোবহান আলী ৩৫০ টাকায় আধা কেজি গরুর মাংস কিনেছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো সারা বছর মাংস খেতে পারি না। আগে তাও মাঝে-মধ্যে মুরগির মাংস খেতে পারতাম। এখন দাম বাড়ায় সেটাও বন্ধ হয়েছে। আজ শবে বরাত, বাসায় বাচ্চা-কাচ্চা আছে। তাই একটু মাংস নিলাম। এই একটা দিন একটু ভালো-মন্দ খাওয়া আরকি।
একই দোকানে গরুর মাংস নিচ্ছেন বেসরকারি চাকরিজীবী লিয়াকত আলী। তিনি বলেন, মাংস আসলে আমরা সব সময় কিনতে পারি না। বিশেষ করে গরুর মাংস। আমরা ব্যাচেলর বাসায় থাকি। আমাদের তো আর এখানে পরিবার নেই। সবাই মিলে চাঁদা তুলে মাংস কিনলাম। রাতে শবে-বরাতের ইবাদত-বন্দেগি করব। একটু ভালো-মন্দও খাওয়ার জন্য এই আরকি।
মাংসের দোকানদার বলেন, অন্যদিনের তুলনায় আজ বিক্রি বেশ ভালো। দুই মণের ওপরে সকাল থেকে মাংস বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য দিনে বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানের অর্ডার না পেলে সাধারণত এক থেকে দেড় মণ মাংস বিক্রি হয়। অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি শবে বরাত, আর প্রথম রোজা এই দুই দিনে মাংসটা ভালো বিক্রি হয়।

এদিকে, মুরগির মাংসের দোকানেও ছিল ভিড়। ২৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ৩৫০ টাকা কেজি।
মুরগি কিনতে হাসিবুর রহমান নামে একজন বলেন, গরুর মাংসের দাম বেশি। তাই মুরগি কিনতে এসেছি। মুরগির মাংসের দাম গরুর মাংসের তুলনায় কম।
পাশেই ব্রয়লার মুরগির পা-মাথা, গিলা-কলিজা বিক্রি হচ্ছিল কেজি দরে। সেখানেও ভিড় ছিল দেখার মতো। ১২০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গিলা-কলিজা। দামের হিসেবে মাছের দাম বেশি হওয়ায় মাছ না কিনে অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন সেখানে।
বিক্রেতা আব্দুল মতিন বলেন, অন্য দিনের চেয়ে আজকে একটু বিক্রি ভালো৷ শবে বরাত আমাদের দেশে বরাবরই একটু উৎসবের মতো করে উদযাপন করা হয়। তাই, আজ একটু বিক্রি ভালো। পাশেই আমার মুরগির দোকান। আসলে মানুষ তো ভালোই খেতে চায়-সামর্থ্যটাই সমস্যা।
বাজারে ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৩৫-২৪০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৫০-৩৭০ টাকা, মুরগির গিলা-কলিজা ১২০-১৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন