১০:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

জামালগঞ্জে পুড়ে যাওয়া গ্রামে নগদ অর্থ ও পরিদর্শন করেন : সেলিম আহমেদ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • / ৬৬

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জ-১ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচে মনোনয়ন প্রত্যাশী মো.সেলিম আহমেদ হটামার গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ৪০টি পরিবারের মাঝে নগদ দশ হাজার টাকা,এক পিচ লুঙ্গি, শাড়ি,ও গামছা বিতরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার,২ মার্চ বিকাল ৪ ঘটিকায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের দেখার জন্য সেলিম আহমেদ হটামার গ্রামের সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ মহিলা আসনের সাংসদ সদস্য শামিমা আক্তার খানম, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষ ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিনালী আফিন্দী রাজু, বেনারবাখ ইউ/পি সচিব অজিত কুমার রায়, জামালগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, তাহিরপুর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সন্তানের সভাপতি হুসাইন সরিপ বিপ্লব, ছাত্রলীগের সভাপতি এ,জেড ইমন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, সুনামগঞ্জ সদর শ্রমিক লীগে সদস্য সচিব তৈবুর রহমান, সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
গত সোমবার দুপুর ১ টায় জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের হটামারা গ্রামে আগুন লেগে অন্তত ৩৮ কৃষকের ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।
ঐই গ্রামের বাসিন্ধা মো: শামছুল হকে’র ঘর থেকে বিদ্যুৎতিক লাইনে সটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় প্রায় ৮০ লাখ টাকা সমপরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার গুলো। দুপুরে আগুনের সূত্রপাতেই হঠামারা গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা চিৎকার শুরু করে। এরপর আশপাশে থাকা কিছু লোক দৌড়ে এসে আগুন নেভানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা করে। এ সময় ধীরে ধীরে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তে থাকে। এ সময় গ্রামের বেশীর ভাগ পুরুষ বোরো মওসুমে তাদের কৃষি কাজে জমিতে কাজ করছিলেন। পড়ে কৃষকরা তাদের গ্রামে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে দ্রুত বাড়িতে চলে গিয়ে প্রায় ২ ঘন্টা পর আগুন নেভাতে সক্ষম হন। গ্রামটি খুব ঘনবসতি হওয়ায় আগুন লাগার পর দ্রুত প্রতিবেশীদের ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো না থাকায় জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কোন দল সেখানে যেতে পারেনি।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন, আমিন মিয়া, সোহেল মিয়া, শামসুল আলম, জাহির মিয়া, মুন্নাফ মিয়া, অরুনা বেগম, রব্বানী মিয়া, আলমগীর, রাজা মিয়া, মস্কুর মিয়া, হালান মিয়া,নুরজাহান, সালেক মিঞা, মুতুল্লির বউ, নজরুল, ইসানুর, জহিরুল ইসলাম, হরজুল, সায়েদ, আমিরুল, রোকশানা, বকুল মেম্বার, নুরজালাল মাষ্টার, দুলাল, আলমগীর সহ আরো অনেকেই।
এঘটনার খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশাী সেলিম আহমেদ ছুটে যান হঠামারা গ্রামে। তিনি জানান, গ্রামবাসীদের ভাষ্য মতে ৪০ টি ঘর পুড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এতে প্রায় ৮০-৯০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের আরও সহায়তা করা হবে তিনি আশ্বাস প্রধান করেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

জামালগঞ্জে পুড়ে যাওয়া গ্রামে নগদ অর্থ ও পরিদর্শন করেন : সেলিম আহমেদ

আপডেট সময় : ০৭:১৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জ-১ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচে মনোনয়ন প্রত্যাশী মো.সেলিম আহমেদ হটামার গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ৪০টি পরিবারের মাঝে নগদ দশ হাজার টাকা,এক পিচ লুঙ্গি, শাড়ি,ও গামছা বিতরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার,২ মার্চ বিকাল ৪ ঘটিকায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের দেখার জন্য সেলিম আহমেদ হটামার গ্রামের সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ মহিলা আসনের সাংসদ সদস্য শামিমা আক্তার খানম, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষ ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিনালী আফিন্দী রাজু, বেনারবাখ ইউ/পি সচিব অজিত কুমার রায়, জামালগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, তাহিরপুর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সন্তানের সভাপতি হুসাইন সরিপ বিপ্লব, ছাত্রলীগের সভাপতি এ,জেড ইমন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, সুনামগঞ্জ সদর শ্রমিক লীগে সদস্য সচিব তৈবুর রহমান, সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
গত সোমবার দুপুর ১ টায় জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের হটামারা গ্রামে আগুন লেগে অন্তত ৩৮ কৃষকের ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।
ঐই গ্রামের বাসিন্ধা মো: শামছুল হকে’র ঘর থেকে বিদ্যুৎতিক লাইনে সটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় প্রায় ৮০ লাখ টাকা সমপরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার গুলো। দুপুরে আগুনের সূত্রপাতেই হঠামারা গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা চিৎকার শুরু করে। এরপর আশপাশে থাকা কিছু লোক দৌড়ে এসে আগুন নেভানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা করে। এ সময় ধীরে ধীরে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তে থাকে। এ সময় গ্রামের বেশীর ভাগ পুরুষ বোরো মওসুমে তাদের কৃষি কাজে জমিতে কাজ করছিলেন। পড়ে কৃষকরা তাদের গ্রামে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে দ্রুত বাড়িতে চলে গিয়ে প্রায় ২ ঘন্টা পর আগুন নেভাতে সক্ষম হন। গ্রামটি খুব ঘনবসতি হওয়ায় আগুন লাগার পর দ্রুত প্রতিবেশীদের ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো না থাকায় জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কোন দল সেখানে যেতে পারেনি।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন, আমিন মিয়া, সোহেল মিয়া, শামসুল আলম, জাহির মিয়া, মুন্নাফ মিয়া, অরুনা বেগম, রব্বানী মিয়া, আলমগীর, রাজা মিয়া, মস্কুর মিয়া, হালান মিয়া,নুরজাহান, সালেক মিঞা, মুতুল্লির বউ, নজরুল, ইসানুর, জহিরুল ইসলাম, হরজুল, সায়েদ, আমিরুল, রোকশানা, বকুল মেম্বার, নুরজালাল মাষ্টার, দুলাল, আলমগীর সহ আরো অনেকেই।
এঘটনার খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশাী সেলিম আহমেদ ছুটে যান হঠামারা গ্রামে। তিনি জানান, গ্রামবাসীদের ভাষ্য মতে ৪০ টি ঘর পুড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এতে প্রায় ৮০-৯০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের আরও সহায়তা করা হবে তিনি আশ্বাস প্রধান করেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন