০৪:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নেত্রকোনা বিআরটিএ অফিস জিম্মি হয়ে আছে দালাল চক্রের কাছে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৬০

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নেত্রকোনা সার্কেল অফিস, বর্তমানে জিম্মি হয়ে আছে স্থানীয় প্রভাবশালী দালালদের কাছে। লাইসেন্স করতে আসা সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে দালালরা ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে দওয়ার জন্য চুক্তি ভিত্তিতে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। নেত্রকোনা বিআরটিএ অফিসে দালাল ছাড়া লাইসেন্স করতে গেলেই সেবা প্রত্যাশীদের পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নেত্রকোনা বিআরটিএ অফিস প্রাঙ্গণে এসে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লাইসেন্স করতে আসা সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে এমন অভিযোগ উঠে এসেছে।
মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ দিতে আসা বারহাট্টা উপজেলার মাছিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা শেরকুল ইসলাম ও বাউসী ইউনিয়নের শেখেরপাড়া গ্রামের মোঃ জলিল উদ্দীন জানান, আমরা ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। গত চার মাস আগে স্থানীয় দালাল কামরুলের সঙ্গে কথা বললে, কামরুল লাইসেন্সের জন্য জনপ্রতি আট হাজার ৫০০ টাকা করে চুক্তি করেন।
তারা আরও বলেন, এখানে দালাল ছাড়া কোনো কাজ হয় না। তাই, টাকা কিছু বেশি নিলেও দালাল দিয়ে কাজ করানো সহজ। দালালরা লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা এবং ফিল্ড টেস্টর সব দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে দেন।
সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া গ্রামের তানভীর জানান, তিনি রবিবার দুপুরে বিআরটিএ অফিসে স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে তার ছোট ভাইয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। তাজবীর বলেন, দালাল না ধরলে এখানে কোনো কাজ হবে না। তাই বাধ্য হয়ে ১২ হাজার টাকা দিয়ে চুক্তি করে আজ আবেদন করেছি।

নেত্রকোনার তাতিয়র এলাকার বাসিন্দা রফিক ইসলাম আজাদ গাড়ীর লাইসেন্সের কাজ করিয়েছেন শো-রুমের মাধ্যমে। এজন্য ওই শো-রুমকে তার দিতে হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।
খালিয়াজুড়ি উপজেলার শাল্লা গ্রামের বাসিন্দা আরিফুল হক, ইয়ামাহা শো-রুম এবং কেন্দুয়া উপজেলার সাউদপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুবেল মিয়া হিরো শো-রুমের মাধ্যমে ১৬ হাজার টাকায় লাইসেন্সের কাজ করিয়েছেন বলে জানান।
কলমাকান্দা উপজেলার পাবই গ্রামের বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, দালালদের সঙ্গে চুক্তি করলে পরীক্ষা না দিয়েও পাস করা যায়। শুধুমাত্র প্রার্থী উপস্থিত থাকলেই চলে। তারা নিজেরাই সব ব্যবস্থা করে দেয়।
লাইসেন্স প্রার্থীরা আরও বলেন, ‘শো-রুমের মাধ্যমে কাজ করাতে গিয়ে কিছু টাকা বেশি লাগলেও তাদের তেমন কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। দুই মাসের মধ্যেই তাদের লাইসেন্সের কাজ মোটামুটি হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে থাকা প্রায় প্রতিটি কম্পিউটার দোকানের লোকজন বিআরটিএ অফিসের দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নেত্রকোণা বিআরটিএ অফিসে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ জন দালাল কাজ করেন। তারা সবাই স্থানীয়। স্থানীয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি, সরকার দলীয় নেতা ও শ্রমিক নেতাদের নাম ভাঙিয়ে তারা দাপটের সঙ্গে দালালি করে চলেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- কামরুল, নভেল, আনারুল, শরীফ, সোহাগ, আলমগীর, মিলন ও জীবন। এছাড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আবুলসহ অনেক কর্মচারী এর সঙ্গে জড়িত। তাদের যোগসাজশ রয়েছে বিআরটিএ অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে।
দালালদের সঙ্গে চুক্তি করলে, সেবা প্রত্যাশীদের সময় মতো আসা-যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে হয় না। পরীক্ষায় শুধু উপস্থিত হলেই সবাইকে পাস করিয়ে দিতে পারেন তারা। আবার পরীক্ষা না দিলেও পাস করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এমনকি অষ্টম শ্রেণির ভুয়া সনদপত্রও বানিয়ে দেন তারা। তিন মাসের মধ্যেই সব কাজ শেষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দালালের এক সহকর্মী জানান, তাদের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর আবেদনকারীকে আর কিছুই করতে হয় না। শুধু চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিলেই হয়। পরীক্ষায় পাস করানোর জন্য অফিসের লোকজনকে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা করে দিলেই হয়।
এসব অনিয়মের বিষয়ে নেত্রকোণা বিআরটিএ সার্কেলের সহকারী পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মোটর পরিদর্শক কেশব কুমার দাসের সঙ্গে কথা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দালালির সঙ্গে জড়িত এমন কেউই আমার অফিসে নেই। যদি এমন হয় তবে আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আমার অফিসের দরজা সেবা প্রত্যাশীদের জন্য সবসময়ই খোলা।
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছুদিন আগে চারজন দালালকে আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরিয়ে দিয়েছি। আমার অফিসে বর্তমানে দালালদের কোন স্থান নেই। আর পরীক্ষা ছাড়া লাইসেন্স পাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। তবে, অফিসের বাইরে কোনো দোকানে যদি দালাল থাকে সেক্ষেত্রে আমার করার কিছু নেই।
জেলায় মোট মোটরযানের সংখ্যা কত এবং এর বিপরীতে কতটি লাইসেন্স আছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, সত্যি বলতে এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান বর্তমানে আমাদের কাছে নেই। অনলাইন হওয়ায় সব হেড অফিসে আছে। তবে, জেলায় আনুমানিক ২৩ হাজারের মতো লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোটরসাইকেল, ৮৭০টির মতো সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৯৭টির মতো প্রাইভেট কার, ১০৫টির মতো ট্রাক রয়েছে। কিন্তু লাইসেন্স নেই এমন মোটরযানের সংখ্যাটা সঠিক বলতে পারব না। এর সংখ্যা অনেক বেশি হবে। সময় দিলে কিছু দিনের মধ্যে এসব পরিসংখ্যান খুঁজে বের করে দিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় ভিডিও বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে, তারপর সাক্ষৎকার দিতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এছাড়া কোন বক্তব্য দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

নেত্রকোনা বিআরটিএ অফিস জিম্মি হয়ে আছে দালাল চক্রের কাছে

আপডেট সময় : ০৯:৩১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা:

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নেত্রকোনা সার্কেল অফিস, বর্তমানে জিম্মি হয়ে আছে স্থানীয় প্রভাবশালী দালালদের কাছে। লাইসেন্স করতে আসা সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে দালালরা ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে দওয়ার জন্য চুক্তি ভিত্তিতে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। নেত্রকোনা বিআরটিএ অফিসে দালাল ছাড়া লাইসেন্স করতে গেলেই সেবা প্রত্যাশীদের পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নেত্রকোনা বিআরটিএ অফিস প্রাঙ্গণে এসে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লাইসেন্স করতে আসা সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে এমন অভিযোগ উঠে এসেছে।
মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ দিতে আসা বারহাট্টা উপজেলার মাছিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা শেরকুল ইসলাম ও বাউসী ইউনিয়নের শেখেরপাড়া গ্রামের মোঃ জলিল উদ্দীন জানান, আমরা ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। গত চার মাস আগে স্থানীয় দালাল কামরুলের সঙ্গে কথা বললে, কামরুল লাইসেন্সের জন্য জনপ্রতি আট হাজার ৫০০ টাকা করে চুক্তি করেন।
তারা আরও বলেন, এখানে দালাল ছাড়া কোনো কাজ হয় না। তাই, টাকা কিছু বেশি নিলেও দালাল দিয়ে কাজ করানো সহজ। দালালরা লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা এবং ফিল্ড টেস্টর সব দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে দেন।
সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া গ্রামের তানভীর জানান, তিনি রবিবার দুপুরে বিআরটিএ অফিসে স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে তার ছোট ভাইয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। তাজবীর বলেন, দালাল না ধরলে এখানে কোনো কাজ হবে না। তাই বাধ্য হয়ে ১২ হাজার টাকা দিয়ে চুক্তি করে আজ আবেদন করেছি।

নেত্রকোনার তাতিয়র এলাকার বাসিন্দা রফিক ইসলাম আজাদ গাড়ীর লাইসেন্সের কাজ করিয়েছেন শো-রুমের মাধ্যমে। এজন্য ওই শো-রুমকে তার দিতে হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।
খালিয়াজুড়ি উপজেলার শাল্লা গ্রামের বাসিন্দা আরিফুল হক, ইয়ামাহা শো-রুম এবং কেন্দুয়া উপজেলার সাউদপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুবেল মিয়া হিরো শো-রুমের মাধ্যমে ১৬ হাজার টাকায় লাইসেন্সের কাজ করিয়েছেন বলে জানান।
কলমাকান্দা উপজেলার পাবই গ্রামের বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, দালালদের সঙ্গে চুক্তি করলে পরীক্ষা না দিয়েও পাস করা যায়। শুধুমাত্র প্রার্থী উপস্থিত থাকলেই চলে। তারা নিজেরাই সব ব্যবস্থা করে দেয়।
লাইসেন্স প্রার্থীরা আরও বলেন, ‘শো-রুমের মাধ্যমে কাজ করাতে গিয়ে কিছু টাকা বেশি লাগলেও তাদের তেমন কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। দুই মাসের মধ্যেই তাদের লাইসেন্সের কাজ মোটামুটি হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে থাকা প্রায় প্রতিটি কম্পিউটার দোকানের লোকজন বিআরটিএ অফিসের দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নেত্রকোণা বিআরটিএ অফিসে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ জন দালাল কাজ করেন। তারা সবাই স্থানীয়। স্থানীয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি, সরকার দলীয় নেতা ও শ্রমিক নেতাদের নাম ভাঙিয়ে তারা দাপটের সঙ্গে দালালি করে চলেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- কামরুল, নভেল, আনারুল, শরীফ, সোহাগ, আলমগীর, মিলন ও জীবন। এছাড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আবুলসহ অনেক কর্মচারী এর সঙ্গে জড়িত। তাদের যোগসাজশ রয়েছে বিআরটিএ অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে।
দালালদের সঙ্গে চুক্তি করলে, সেবা প্রত্যাশীদের সময় মতো আসা-যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে হয় না। পরীক্ষায় শুধু উপস্থিত হলেই সবাইকে পাস করিয়ে দিতে পারেন তারা। আবার পরীক্ষা না দিলেও পাস করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এমনকি অষ্টম শ্রেণির ভুয়া সনদপত্রও বানিয়ে দেন তারা। তিন মাসের মধ্যেই সব কাজ শেষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দালালের এক সহকর্মী জানান, তাদের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর আবেদনকারীকে আর কিছুই করতে হয় না। শুধু চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিলেই হয়। পরীক্ষায় পাস করানোর জন্য অফিসের লোকজনকে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা করে দিলেই হয়।
এসব অনিয়মের বিষয়ে নেত্রকোণা বিআরটিএ সার্কেলের সহকারী পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মোটর পরিদর্শক কেশব কুমার দাসের সঙ্গে কথা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দালালির সঙ্গে জড়িত এমন কেউই আমার অফিসে নেই। যদি এমন হয় তবে আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আমার অফিসের দরজা সেবা প্রত্যাশীদের জন্য সবসময়ই খোলা।
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছুদিন আগে চারজন দালালকে আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরিয়ে দিয়েছি। আমার অফিসে বর্তমানে দালালদের কোন স্থান নেই। আর পরীক্ষা ছাড়া লাইসেন্স পাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। তবে, অফিসের বাইরে কোনো দোকানে যদি দালাল থাকে সেক্ষেত্রে আমার করার কিছু নেই।
জেলায় মোট মোটরযানের সংখ্যা কত এবং এর বিপরীতে কতটি লাইসেন্স আছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, সত্যি বলতে এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান বর্তমানে আমাদের কাছে নেই। অনলাইন হওয়ায় সব হেড অফিসে আছে। তবে, জেলায় আনুমানিক ২৩ হাজারের মতো লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোটরসাইকেল, ৮৭০টির মতো সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৯৭টির মতো প্রাইভেট কার, ১০৫টির মতো ট্রাক রয়েছে। কিন্তু লাইসেন্স নেই এমন মোটরযানের সংখ্যাটা সঠিক বলতে পারব না। এর সংখ্যা অনেক বেশি হবে। সময় দিলে কিছু দিনের মধ্যে এসব পরিসংখ্যান খুঁজে বের করে দিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় ভিডিও বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে, তারপর সাক্ষৎকার দিতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এছাড়া কোন বক্তব্য দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন