গাজীপুরে ফসলি জমিতে থেকে মাটি কাটার হিড়িক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে
- আপডেট সময় : ১০:১১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৬৬
প্রতিদিনের নিউজ:
দর্শক গাজীপুর মহানগর ও জেলায় কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি অনুমতি ছাড়াই চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার হিড়িক ১৭ জন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।
গাজীপুর মহানগর ও জেলায় কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি অনুমতি ছাড়াই চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার হিড়িক । এ সব মাটি যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা ও ফসলি জমিতে বিভিন্ন স্থাপনার কাজে।উপজেলা প্রশাসন থেকে অবৈধ ইটভাটা ও মাটি কাটার বন্ধে একাধিক বার অভিযান পরিচালনা করে ভেকু জব্দ ও জরিমানা করার পরও প্রশাসনকে বৃদ্ধ আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে অবৈধভাবে মাটি কাটার হিড়িক ।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নে মহাশিন ও নরেন্দ্র এবং ওবায়দুল এমএম ব্রিকস শ্যামলদা আবুল মুসল্লী আয়নাল হক এবং আনোয়ার ও কালাম হালিম ও নাসু ও গাজীপুর মহানগরের ২১ নং ওয়ার্ডে মূল হোতা সাধন চন্দ্র রায় সহ মনির হোসেন খান ও জাহিদ কবির ও লোকমান অন্যদিকে বাসন সড়ক এলাকায় এই মাটি কাটার অন্যতম সেন্টিকেট নাসির তয়েজ আমজাদ সরকার রিপন ও ইসলামপুর এলাকায় আইজদিন ইসুফ ও লোকমান মাটি বিক্রি কার্যক্রম চলছে।কাউলতিয়া কারখানা বাজার পাইনশিয়াল মির্জাপুর ও বাসন সড়ক ১৪ নংওয়ার্ড সহ গাজীপুর মহানগর ও জেলায় বিভিন্ন এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে একাধিক সিন্ডিকেট। অসহায় কৃষকদের আর্থিক সংকটের সুযোগ নিচ্ছে মাটি খেকো সিন্ডিকেট ও ইটভাটার মালিকরা। আর্থিক সহযোগিতাসহ মাছ চাষের প্রলোভন দেখিয়ে ও ফসলের থেকে মাছ চাষে অধিক লাভের কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে ফসলি জমি। বিভিন্ন ফসলি জমি ২০ফুট গর্ত করে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়, এতে পাশের ফসলি জমি ধ্বসে পড়ছে। একাধিক চাষের জমির মাঝে জলাশয় তৈরি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দুঃচিন্তার ছায়া।এছাড়াও ভাটা ট্রাক ও হাইড্রলিক ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়ার সময় রাস্তার পাশে থাকা ফসল ধুলায় ঢেকে যাচ্ছে। এতে রাস্তার পাশের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসকল বেপরোয়াভাবে ট্রাক চলাচলে রাস্তায় ভাঙন ধরেছে। পাকাঁ রাস্তায় মাটির প্রলেপ পড়তে শুরু করেছে।স্থানীয়রা বলেন, শুধু ফসলি জমি না নদীর পাড়ে মাটি, সরকারি খাঁস জমিসহ সরকারি বিলের মাটিও কেটে নিচ্ছে এসকল সিন্ডিকেট।এলাকাবাসীসহ একাধিক কৃষক জানায়, এই সব মাটি ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষমতাশালী। তাদের বিরোধে প্রতিবাদ করলে তার জীবননাশসহ মামলা হামলার হুমকি দেয়। আমাদের ফসলি জমির এতো ক্ষতি করার পরও আমরা কিছুই বলতে পারি না। আগের মতো ফসল ফলাতে পারব কিনা সেটাও জানি না। এলাকার নায়েব অফিসের লোক ও বিভিন্ন উপর মহলের লোকজন আনাগোনা করে ওদের কাছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, মাটির উপরের স্তর বেশ উর্বর, যা এই সিন্ডিকেটের ফলে ফসলি জমি বেশ হুমকির মুখে। মাটি কাটার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি প্রয়োজন, অন্যথায় মাটি কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী বলেন, আমি এসকল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। একাধিক মাটির ব্যসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে পদক্ষেপ নিলেও পরর্বতীতে প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা শুরু করে। মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও তিনি জানান।