০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

আমরা সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবো : মার্কিন রাষ্ট্রদূত

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ৭৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, আমরা সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবো। শুধু গ্যাস, কয়লা বা ডিজেলভিত্তিক গতানুগতিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে নয়। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে আমাদের কোম্পানীগুলো বাংলাদেশের কোম্পানীগুলোর সঙ্গে কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চর সানাউল্লায় নির্মানাধীন সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড-২ এবং উৎপাদনে থাকা সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আইনের শাসন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সামিটের এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আমেরিকান কোম্পানী জি.ই এর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আমেরিকান কোম্পানী জি.ই ও স্থানীয় কোম্পানী সামিট এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী করছে। যৌথভাবে এই কোম্পানী গড়ে তোলা আমেরিকান অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে জ্বালানিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।

বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানার তেল-গ্যাস উত্তোলনে আমেরিকা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিষয়টিতে আমি বিশেষজ্ঞ না। তবে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় থাকা তেল, গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাব্যতা আমেরিকান কোম্পানিগুলো যাচাই করে দেখবে।

তিনি বলেন, আমেরিকা উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাওয়ার সেক্টরের উন্নতিতে কাজ করছে। আমেরিকান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও উন্নতিতে সহায়তা করছে।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, ভাইস চেয়ারম্যান লতিফ খান, জি.ই গ্যাস পাওয়ার এর দক্ষিণ এশিয়া অ’লের সিই ও দীপেশ নন্দা, জি.ই গ্যাস পাওয়ার এর কান্ট্রি লিডার নওশাদ আলী প্রমুখ।

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান জানান, সামিটের নির্মাণাধীন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। গত ১০-১২ বছরে জিডিপি যে শতকরা ৭-৮ ভাগ উন্নতি হয়েছে সেটা বিদ্যুতের কারণে হয়েছে। জিডিপি’র গ্রোথকে ধরে রাখতে চাইলে বিদ্যুতের প্রয়োজন। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস থেকে ৬২ ভাগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে ফলে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।

তিনি আরো জানান, এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাসে চলতে পারে। ডিজেলে চলতে পারে। হাইড্রোজেনে চলতে পারে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কার্বন নিঃসরন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ষাট ভাগ কম ও অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চল্লিশ ভাগ কম। বিশ্ববাজারে তেল ও গ্যাসের দাম আগের চেয়ে কমেছে। আমরা একশ ভাগ নিশ্চিত, পেট্রোবাংলা আমাদের গ্যাস দিবে। কারণ, এখানে গ্যাস দিলে সর্বনিম্ন মুল্যে বিদ্যুৎ পাবে।

তিনি বলেন, রাশিয়া বিশ্বের বিশ ভাগ জ্বালানী সরবরাহ করতো। সে জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ইউরোপ বাকি বিশ্বের জ্বালানী নিয়ে নিচ্ছে। তবে তাদের সামারে অর্থ্যাৎ জুন-জুলাই মাসে যখন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হবে তখন তাদের জ্বালানী সবচেয়ে কম লাগে। ফলে এ প্ল্যান্ট চালুর ফলে বিশ্ব বাজারে জ্বালানীর মূল্য কমে আসবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

আমরা সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবো : মার্কিন রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, আমরা সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবো। শুধু গ্যাস, কয়লা বা ডিজেলভিত্তিক গতানুগতিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে নয়। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে আমাদের কোম্পানীগুলো বাংলাদেশের কোম্পানীগুলোর সঙ্গে কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চর সানাউল্লায় নির্মানাধীন সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড-২ এবং উৎপাদনে থাকা সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আইনের শাসন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সামিটের এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আমেরিকান কোম্পানী জি.ই এর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আমেরিকান কোম্পানী জি.ই ও স্থানীয় কোম্পানী সামিট এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী করছে। যৌথভাবে এই কোম্পানী গড়ে তোলা আমেরিকান অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে জ্বালানিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।

বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানার তেল-গ্যাস উত্তোলনে আমেরিকা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, বিষয়টিতে আমি বিশেষজ্ঞ না। তবে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় থাকা তেল, গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাব্যতা আমেরিকান কোম্পানিগুলো যাচাই করে দেখবে।

তিনি বলেন, আমেরিকা উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাওয়ার সেক্টরের উন্নতিতে কাজ করছে। আমেরিকান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও উন্নতিতে সহায়তা করছে।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, ভাইস চেয়ারম্যান লতিফ খান, জি.ই গ্যাস পাওয়ার এর দক্ষিণ এশিয়া অ’লের সিই ও দীপেশ নন্দা, জি.ই গ্যাস পাওয়ার এর কান্ট্রি লিডার নওশাদ আলী প্রমুখ।

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান জানান, সামিটের নির্মাণাধীন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। গত ১০-১২ বছরে জিডিপি যে শতকরা ৭-৮ ভাগ উন্নতি হয়েছে সেটা বিদ্যুতের কারণে হয়েছে। জিডিপি’র গ্রোথকে ধরে রাখতে চাইলে বিদ্যুতের প্রয়োজন। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস থেকে ৬২ ভাগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে ফলে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।

তিনি আরো জানান, এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাসে চলতে পারে। ডিজেলে চলতে পারে। হাইড্রোজেনে চলতে পারে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কার্বন নিঃসরন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ষাট ভাগ কম ও অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চল্লিশ ভাগ কম। বিশ্ববাজারে তেল ও গ্যাসের দাম আগের চেয়ে কমেছে। আমরা একশ ভাগ নিশ্চিত, পেট্রোবাংলা আমাদের গ্যাস দিবে। কারণ, এখানে গ্যাস দিলে সর্বনিম্ন মুল্যে বিদ্যুৎ পাবে।

তিনি বলেন, রাশিয়া বিশ্বের বিশ ভাগ জ্বালানী সরবরাহ করতো। সে জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ইউরোপ বাকি বিশ্বের জ্বালানী নিয়ে নিচ্ছে। তবে তাদের সামারে অর্থ্যাৎ জুন-জুলাই মাসে যখন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হবে তখন তাদের জ্বালানী সবচেয়ে কম লাগে। ফলে এ প্ল্যান্ট চালুর ফলে বিশ্ব বাজারে জ্বালানীর মূল্য কমে আসবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন