০২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

ত্রিশালে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এসিল্যান্ডের অভিযান

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৬৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরিফ রববানী ময়মনসিংহ:

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠে নেমেছে ত্রিশাল সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। রবিবার (১৯শে ফেব্রুয়ারী) সকালে ত্রিশাল উপজেলার ধলাইমান, কালির বাজার এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে ব্রম্মপুত্র নদে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের অভিযানে গাঁ ঢাকা দিয়েছে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা।
অভিযানের খবর পেয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা ড্রেজার মেশিন নিয়ে চলে যায় এবং তারা নিজেরাও গাঁ ঢাকা দেয়ে। সে সময় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান সহকারী কমিশনার ভূমি হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
সুত্র জানায়- ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী গ্রাম গুলোর বাসিন্দারা বর্ষা মুওসুমে ভাঙ্গন আতংকে পরিবার পরিজন নিয়ে উৎকন্ঠায় রয়েছেন। দীর্ঘদিন থেকে ঝুকিপুর্ন নদী রক্ষা বাঁধে সংস্কার না করায় বেহাল অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদের তীরে বসবাসকারীরা। ইজারা না নিয়েও নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন নির্দ্বিধায়। ফলে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব অন্যদিকে মাটি ও বালি ব্যাবস্থাপনা আইন অমান্য করে ধ্বংস করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনে প্রতি বছরই নদের পাড়ে বসতীরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারনে বর্ষা মৌসুম এলেই নদী পাড়ের বাসিন্দারা বাঁধ ভাঙ্গার আতংকে উৎকন্ঠায় দিন যাপন করে আসছেন।ব্রহ্মপুত্র নদের দু পাড়ে গা ঘেষে বালু উত্তোলনে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গনের আতংক। সরজমিনে নদীর দুপাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন থেকে একেক সময় একেক জায়গায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অংকের টাকা। স্থানীয়দের ক্ষয়ক্ষতির প্রতি দৃষ্টি না দিয়েই যখন বালু উত্তোলন করায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিতারিত করলেও পর পর অন্য স্থানে স্থান ত্যাগ করে সেখানে কিছু দাপটশালী ও স্থানীয় পাতি নেতাদেও সহযোগীতায় আবারো বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসী জানান- সাধারন মানুষের জমি হারানোর কান্না ও প্রতিবাদের প্রতি কোন তোয়াক্কা করছেন না কেউ। এদের হাহাকার তাদের নিকট কোন মূল্য নেই। তাদের দাপটে সাথে প্রতিদিন ড্র্রেজার মেশিন দিয়ে প্রায় লাখ-লাখ টাকার বালু উত্তোলন করছে। প্রতিদিন চলছে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব। এলাকাবাসীর দাবী প্রশাসনের অভিযানের সময় বালু উত্তোলনকারীর ড্রেজার মেশিন গুলো ক্ষনিক সময়ের জন্য আড়ালে চলে যা। প্রশাসন চলে গেলে আবারও শুরু হতো বালু উত্তোলন ।এভাবে চলচ্ছে অবৈধ বালু উত্তোলনকারী ও প্রশাসনের মাঝে ” চোর পুলিশ খেলা”। এর ফলে দেখা দিচ্ছে মারাত্মক নদী ভাঙ্গন ও পরিবেশের উপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অনেকেই সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন নদের তীরে বসতীরা।
সহকারী কমিশনার ভূমি হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান- ত্রিশাল উপজেলার আংশিক এলাকাসহ পাশ্ববর্তী সদর উপজেলার আশপাশের এলাকা গুলো থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে । আমরা এক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করলে বালু উত্তোলনকারীরা পাশ্ববর্তী অন্য এলাকায় পালিয়ে ড্রেজার ম্যাশিন নিয়ে চলে যায়। ব্রহ্মপুত্রের নদ ঈশ্বরগঞ্জ, সদর,গৌরীপুর,ত্রিশাল উপজেলার সীমানার সংযোগ স্থল হওয়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা এক দিকে অভিযান হলে অন্য সীমানায় চলে যায়। প্রায় সময় আমরা অভিযান চালিয়ে জরিমানা করি। সবশেষে তিনি আরো বলেন,যারাই অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করবে আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আসছি এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

সাবধান
এই পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু কপি করতে পারবেন না

ত্রিশালে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এসিল্যান্ডের অভিযান

আপডেট সময় : ০৬:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরিফ রববানী ময়মনসিংহ:

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠে নেমেছে ত্রিশাল সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। রবিবার (১৯শে ফেব্রুয়ারী) সকালে ত্রিশাল উপজেলার ধলাইমান, কালির বাজার এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে ব্রম্মপুত্র নদে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের অভিযানে গাঁ ঢাকা দিয়েছে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা।
অভিযানের খবর পেয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা ড্রেজার মেশিন নিয়ে চলে যায় এবং তারা নিজেরাও গাঁ ঢাকা দেয়ে। সে সময় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান সহকারী কমিশনার ভূমি হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
সুত্র জানায়- ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী গ্রাম গুলোর বাসিন্দারা বর্ষা মুওসুমে ভাঙ্গন আতংকে পরিবার পরিজন নিয়ে উৎকন্ঠায় রয়েছেন। দীর্ঘদিন থেকে ঝুকিপুর্ন নদী রক্ষা বাঁধে সংস্কার না করায় বেহাল অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদের তীরে বসবাসকারীরা। ইজারা না নিয়েও নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন নির্দ্বিধায়। ফলে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব অন্যদিকে মাটি ও বালি ব্যাবস্থাপনা আইন অমান্য করে ধ্বংস করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনে প্রতি বছরই নদের পাড়ে বসতীরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারনে বর্ষা মৌসুম এলেই নদী পাড়ের বাসিন্দারা বাঁধ ভাঙ্গার আতংকে উৎকন্ঠায় দিন যাপন করে আসছেন।ব্রহ্মপুত্র নদের দু পাড়ে গা ঘেষে বালু উত্তোলনে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গনের আতংক। সরজমিনে নদীর দুপাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন থেকে একেক সময় একেক জায়গায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অংকের টাকা। স্থানীয়দের ক্ষয়ক্ষতির প্রতি দৃষ্টি না দিয়েই যখন বালু উত্তোলন করায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিতারিত করলেও পর পর অন্য স্থানে স্থান ত্যাগ করে সেখানে কিছু দাপটশালী ও স্থানীয় পাতি নেতাদেও সহযোগীতায় আবারো বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসী জানান- সাধারন মানুষের জমি হারানোর কান্না ও প্রতিবাদের প্রতি কোন তোয়াক্কা করছেন না কেউ। এদের হাহাকার তাদের নিকট কোন মূল্য নেই। তাদের দাপটে সাথে প্রতিদিন ড্র্রেজার মেশিন দিয়ে প্রায় লাখ-লাখ টাকার বালু উত্তোলন করছে। প্রতিদিন চলছে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব। এলাকাবাসীর দাবী প্রশাসনের অভিযানের সময় বালু উত্তোলনকারীর ড্রেজার মেশিন গুলো ক্ষনিক সময়ের জন্য আড়ালে চলে যা। প্রশাসন চলে গেলে আবারও শুরু হতো বালু উত্তোলন ।এভাবে চলচ্ছে অবৈধ বালু উত্তোলনকারী ও প্রশাসনের মাঝে ” চোর পুলিশ খেলা”। এর ফলে দেখা দিচ্ছে মারাত্মক নদী ভাঙ্গন ও পরিবেশের উপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অনেকেই সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন নদের তীরে বসতীরা।
সহকারী কমিশনার ভূমি হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান- ত্রিশাল উপজেলার আংশিক এলাকাসহ পাশ্ববর্তী সদর উপজেলার আশপাশের এলাকা গুলো থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে । আমরা এক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করলে বালু উত্তোলনকারীরা পাশ্ববর্তী অন্য এলাকায় পালিয়ে ড্রেজার ম্যাশিন নিয়ে চলে যায়। ব্রহ্মপুত্রের নদ ঈশ্বরগঞ্জ, সদর,গৌরীপুর,ত্রিশাল উপজেলার সীমানার সংযোগ স্থল হওয়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা এক দিকে অভিযান হলে অন্য সীমানায় চলে যায়। প্রায় সময় আমরা অভিযান চালিয়ে জরিমানা করি। সবশেষে তিনি আরো বলেন,যারাই অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করবে আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আসছি এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন